সবাইকে পদত্যাগ করার আহ্বান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর-প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় আমি হকি ফেডারেশনকে পদত্যাগ করতে বলেছি। এজন্য তাদের সামনে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১০ দিন

প্রশাসন পরিচালনা আর মাঠে নিয়মিত খেলা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটিকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। কাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের এ আহ্বান জানান তিনি। বর্তমান কমিটি পদত্যাগ করলে হকিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবে_এমন একটি অ্যাডহক কমিটি করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।খন্দকার জামিলের নেতৃত্বে হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নিয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।


যে নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে সেই নির্বাচনী প্রক্রিয়াটিও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দায়িত্ব পালন করতে এসেও বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তারা। ফেডারেশন কাপে ৭০ মিনিটের বদলে ৫৫ মিনিটে ম্যাচ শেষ করে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে মোহামেডানকে। বাইলজ পরিবর্তন করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে বিকেএসপিকে। এ ছাড়া সাড়ে তিন বছর এ কমিটি দায়িত্ব পালন করলেও প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগ আয়োজন করতে পেরেছে মাত্র একবার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে খেলার দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয়েছে হকি খেলোয়াড়দের। আর সেই দাবি আদায় করতে গিয়ে কদিন আগে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই জাতীয় যুব হকির ফাইনাল পণ্ড হওয়ায় ব্যাপারটি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। কাল তাঁর সঙ্গে দেখা করল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় আমি হকি ফেডারেশনকে পদত্যাগ করতে বলেছি। এজন্য তাদের সামনে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১০ দিন।'
প্রতিমন্ত্রীর এমন কথা স্বীকার করেছেন হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জামিলও, 'প্রশাসনিক কাজে ব্যর্থ হওয়ায় স্যার (আহাদ আলী সরকার) আমাদের পদত্যাগ করতে বলেছেন। ঈদের পর গভর্নিং বডির মিটিং শেষে আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।' ফেডারেশন কাপে মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় চুয়া বুনকে খেলানো নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে ্#৮১৯৪;সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন খন্দকার জামিল। কিন্তু ফেডারেশনের সভাপতি গ্রহণ করেননি তাঁর পদত্যাগপত্র। তাই নতুন করে আর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা ভাবছেন না খন্দকার জামিল, 'আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দিয়েছি। এটা গ্রহণ করলেই হয়।' তবে ফেডারেশনের অন্যদের কী হবে জানতে চাইলে তাঁর মন্তব্য, 'আমি আমার কথা বলতে পারি, অন্যদের ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারব না।'

No comments

Powered by Blogger.