অবশেষে ইসরাইলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ বাতিল করল আর্জেন্টিনা
ইহুদিবাদি
ইসরাইলের সঙ্গে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে (জেরুজালেম) পূর্বনির্ধারিত
প্রীতি ম্যাচটি বাতিল করেছে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দল। বিশ্বব্যাপী
তীব্র সমালোচনা ও ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে এ
সিদ্ধান্ত নেয়া হল।
আর্জেন্টিনার ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট মিনুতুনো জানিয়েছে, সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা, হুমকি ও সমালোচনার মুখে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনার ফুটবল দল ইসরাইলের সঙ্গে ৯ জুনের প্রস্তুতি ম্যাচটি বাতিল করেছে। এমন সিদ্ধান্তের পর ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আর্জেন্টিনার ফুটবল খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমনকি গাজায় এ নিয়ে উল্লাস করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর সুসান শালাবি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি ম্যাচটি বাতিল হয়েছে, তবে অফিসিয়ালি আমরা এখনও নিশ্চিত হইনি। যদি নিশ্চয়তা পাই তবে, আর্জেন্টিনা দলকে আমি অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই, যে তারা রাজনীতির বাজে অংশ হচ্ছে না।’
ম্যাচটি বাতিল প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইন স্বস্তি প্রকাশ করেই বলেছেন, ‘আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্তটিই নেয়া হয়েছে। এটা এখন আমাদের অতীত। অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্য ও সাধারণ বিষয়গুলো সবার আগে প্রাধান্য পাবে। সেখানে না যাওয়াটাই আমাদের জন্য শ্রেয়।’
প্রথমে ইসরাইলের হাইফাতে এই ম্যাচটি হওয়ার কথা থাকলেও পরে ভেন্যু বদলে তা পশ্চিম বায়তুল মুকাদ্দাসের টেডি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৪৮ সালে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে এই স্টেডিয়ামটি বানিয়েছিল ইহুদিবাদি ইসরাইল। এছাড়া, এই স্টেডিয়ামটি ফিলিস্তিনিদের গুপ্তহত্যায় ব্যবহার করা হতো।
এ কারণে ফিলিস্তিনিরা এ শুরু থেকেই এ ম্যাচটির বিরোধিতা করে আসছিলেন। তারা মনে করেন, বায়তুল মুকাদ্দাসে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনার খেলতে আসার অর্থ ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের পরোক্ষ স্বীকৃতি দেয়া। এ প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান জিবরিল রাজুব আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান ক্লদিও তাপিয়াকে লেখা এক চিঠিতে ম্যাচটি বাতিলের আহ্বান জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, ইসরাইল খেলাকেও রাজনীতিকীকরণ করছে। তারা এমন একটি মাঠে খেলা আয়োজন করেছে, যেটা ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে বানানো। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের গ্রাম ধ্বংস করে অধিবাসীদের উচ্ছেদ করে টেডি স্টেডিয়াম বানিয়েছিল।
জিবরিল বলেন, ইসরাইল হচ্ছে একটা দখলদার ও বর্ণবাদী বাহিনী। তারা সবসময় বৈশ্বিক মূল্যবোধ ও নীতিলঙ্ঘন করে আসছে। আর সেই মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেই তারা এই প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছে।
ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের অনুরোধ সত্ত্বেও আর্জেন্টিনা তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় জিবরিল আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসির প্রতি আহ্বান জানান, ‘মেসি তুমি ইসরাইলে খেলতে এসো না। ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে জাতি বিদ্বেষের আগুন জ্বালিয়েছে ইসরাইলে খেলতে এসে তার বৈধতা তুমি দিও না—এটা আমাদের অনুরোধ!’
জিবলি আরও বলেন, ‘মেসি আমাদের কথা না শুনলে মুসলিম বিশ্বের সব তরুণদের বলব, তাঁর ছবি ও জার্সি পুড়িয়ে ফেলতে। মেসিকে বর্জন করতে।’
মূলত ফিলিস্তিনিদের অনুরোধ, হুঁশিয়ারি ও বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে অবৈধ ইসরাইলি রাষ্ট্রের ৭০ বছর পূর্তির অংশ হিসেবে বিশ্বকাপের আগে পূর্বনির্ধারিত প্রস্তুতি ম্যাচটি বাতিল হল।
আর্জেন্টিনার ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট মিনুতুনো জানিয়েছে, সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা, হুমকি ও সমালোচনার মুখে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনার ফুটবল দল ইসরাইলের সঙ্গে ৯ জুনের প্রস্তুতি ম্যাচটি বাতিল করেছে। এমন সিদ্ধান্তের পর ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আর্জেন্টিনার ফুটবল খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমনকি গাজায় এ নিয়ে উল্লাস করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর সুসান শালাবি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি ম্যাচটি বাতিল হয়েছে, তবে অফিসিয়ালি আমরা এখনও নিশ্চিত হইনি। যদি নিশ্চয়তা পাই তবে, আর্জেন্টিনা দলকে আমি অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই, যে তারা রাজনীতির বাজে অংশ হচ্ছে না।’
ম্যাচটি বাতিল প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইন স্বস্তি প্রকাশ করেই বলেছেন, ‘আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্তটিই নেয়া হয়েছে। এটা এখন আমাদের অতীত। অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্য ও সাধারণ বিষয়গুলো সবার আগে প্রাধান্য পাবে। সেখানে না যাওয়াটাই আমাদের জন্য শ্রেয়।’
প্রথমে ইসরাইলের হাইফাতে এই ম্যাচটি হওয়ার কথা থাকলেও পরে ভেন্যু বদলে তা পশ্চিম বায়তুল মুকাদ্দাসের টেডি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৪৮ সালে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে এই স্টেডিয়ামটি বানিয়েছিল ইহুদিবাদি ইসরাইল। এছাড়া, এই স্টেডিয়ামটি ফিলিস্তিনিদের গুপ্তহত্যায় ব্যবহার করা হতো।
এ কারণে ফিলিস্তিনিরা এ শুরু থেকেই এ ম্যাচটির বিরোধিতা করে আসছিলেন। তারা মনে করেন, বায়তুল মুকাদ্দাসে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনার খেলতে আসার অর্থ ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের পরোক্ষ স্বীকৃতি দেয়া। এ প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান জিবরিল রাজুব আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান ক্লদিও তাপিয়াকে লেখা এক চিঠিতে ম্যাচটি বাতিলের আহ্বান জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, ইসরাইল খেলাকেও রাজনীতিকীকরণ করছে। তারা এমন একটি মাঠে খেলা আয়োজন করেছে, যেটা ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে বানানো। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের গ্রাম ধ্বংস করে অধিবাসীদের উচ্ছেদ করে টেডি স্টেডিয়াম বানিয়েছিল।
জিবরিল বলেন, ইসরাইল হচ্ছে একটা দখলদার ও বর্ণবাদী বাহিনী। তারা সবসময় বৈশ্বিক মূল্যবোধ ও নীতিলঙ্ঘন করে আসছে। আর সেই মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেই তারা এই প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছে।
ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের অনুরোধ সত্ত্বেও আর্জেন্টিনা তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় জিবরিল আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসির প্রতি আহ্বান জানান, ‘মেসি তুমি ইসরাইলে খেলতে এসো না। ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে জাতি বিদ্বেষের আগুন জ্বালিয়েছে ইসরাইলে খেলতে এসে তার বৈধতা তুমি দিও না—এটা আমাদের অনুরোধ!’
জিবলি আরও বলেন, ‘মেসি আমাদের কথা না শুনলে মুসলিম বিশ্বের সব তরুণদের বলব, তাঁর ছবি ও জার্সি পুড়িয়ে ফেলতে। মেসিকে বর্জন করতে।’
মূলত ফিলিস্তিনিদের অনুরোধ, হুঁশিয়ারি ও বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে অবৈধ ইসরাইলি রাষ্ট্রের ৭০ বছর পূর্তির অংশ হিসেবে বিশ্বকাপের আগে পূর্বনির্ধারিত প্রস্তুতি ম্যাচটি বাতিল হল।
No comments