দুই বছরেও মেলেনি মিতু হত্যার রহস্য
২০১৬
সালের ৫ই জুন প্রায় জনশূন্য সকালে দুুর্বৃত্তের গুলি ও উপর্যুপরি
ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন চাকরিচ্যুত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। মঙ্গলবার এই ঘটনার দুই বছর পার হলেও পুলিশ
উন্মোচন করতে পারেনি এই হত্যা মামলার রহস্য।
বরং পুলিশের তদন্ত কার্যক্রমই এ হত্যাকাণ্ডকে ক্রমেই রহস্যাবৃত করে তুলেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে জঙ্গি সংঠন জেএমবি নাশকতা বলে আশঙ্কা করেছিল। এ কারণে হাটহাজারী উপজেলার একটি মাজারের ফকিরকেও (খাদেম) গ্রেপ্তার করে।
যা বিতর্কের ঝড় তুলে। অভিযোগ ওঠে মাজার নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই খাদেমকে আটক করে মিতু হত্যা মামলায় জড়িত করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে বিতর্ক থামাতে পরিবর্তন করা হয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত এসে পড়ে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাঁধে। এরপর মামলা তদন্ত করতে গিয়ে গত দুই বছর অনেক হাঁকডাক ছেড়েছেন তিনিও। এই সময়ে উঠে এসেছে মিতু হত্যার পেছনে দুর্বৃত্তরা আর কেউ নন, খোদ বাবুল আকতারের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সোর্স মো. কামরুল সিকদার মুছা ও তার সহযোগীরা।
এরপর শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় বাবুল আক্তারই মিতুকে হত্যা করিয়েছে। এর পেছনে বাবুল আক্তারের পরকীয়ার কথাও উঠে আসে। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগেরই প্রমাণ পাননি বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। ফলে রহস্যই রয়ে গেল মিতু হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
কামরুজ্জামানও বলছেন, বাবুল আক্তারের সোর্স মুছা ও কালু ধরা পড়লে হয়তো বের হতো মিতু হত্যার মূল রহস্য। কিন্তু তারা পলাতক। অনেক খুঁজেও তাদের পাওয়া যায়নি। এদিকে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, ঘটনার পর দিন রাতের আঁধারে নগরীর বন্দর থানার তৎকালীন ওসি মুছাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তার কোনো হদিস নেই। তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার আশঙ্কা করে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেন স্ত্রী পান্না আক্তার।
এদিকে ঘটনার পর বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা কার্যালয়ে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিতুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন এ হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত নয় বলে দাবি করেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে সোর্স মুছার সংশ্লিষ্টতার প্রকাশের পর গণমাধ্যমে যখন বাবুল আক্তারের দিকে আঙুল ওঠে, ঠিক তখন মিতু হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই বছর ধরে মামলা তদন্ত করেছি। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অভিযোগপত্রও চূড়ান্ত করা হয়েছে। যেকোনো সময় আমরা অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করতে পারি।
প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্তে মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে মামলার বাদী হিসেবে অভিযোগপত্রে বাবুল আক্তার সাক্ষীই থাকছেন। তবে কেন বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের সোর্স মুছা ও তার সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মুছার যে কজন সহযোগী গ্রেপ্তার হয়েছে তারাও মিতু হত্যার মূল নায়ক মুছা বলে জানিয়েছে। তবে মুছাকে পাওয়া না যাওয়ায় কেন বা কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা রহস্যই রয়ে গেছে। মুছাকে পাওয়া গেলে হয়তো রহস্য উন্মোচন সম্ভব হতো।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মিতুর বাবা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাবুল আক্তারের সহকর্মী। তারা একসঙ্গে একই জোনে চাকরি করেছেন। ফলে তিনি বাবুল আক্তারকে বাঁচানোর তদন্তই করেছেন। তথ্য-প্রমাণ দিলেও তিনি আমাদের কোনো অভিযোগে কান দেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ই জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলায় জঙ্গি সংগঠনের নাশকতা সন্দেহে ওই বছরের ৮ই জুন ও ১১ই জুন নগর গোয়েন্দা পুলিশ হাটহাজারী উপজেলা থেকে মুসাবিয়া মাজারের খাদেম আবু নসুর গুন্নু ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার শীতল ঝর্ণা থেকে শাহ জামান ওরফে রবিন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিতু হত্যায় তাদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবু দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পান।
ওই বছরের ২৪শে জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর ফলে সন্দেহের তীর যায় বাবুলের দিকে। হত্যায় বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার তথ্য নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে।
২০১৬ সালের ৯ই আগস্ট পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন বাবুল আক্তার। নানা নাটকীয়তা শেষে ৬ই সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৬শে জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা জানায়, মিতু হত্যায় ব্যবহৃত ৩২ বোরের পিস্তলটি তাদের দিয়েছিলেন এহেতাশামুল হক ভোলা। এর পরপরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ভোলাকে। জিজ্ঞাসাবাদে ভোলা জানান, বাবুল আক্তারের বিশ্বস্ত সোর্স কামরুল সিকদার মুছার নেতৃত্বে মিতু হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ বলছে, মুছা পলাতক রয়েছে। তার স্ত্রী পান্না আক্তার বলছেন, মুছাকে তুলে নিয়ে গুম বা ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হয়েছে। আর এখানেই থেমে আছে মিতু হত্যার রহস্য।
পুলিশের পক্ষ থেকে ভোলা ও মনিরকে আসামি করে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হলেও তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
বরং পুলিশের তদন্ত কার্যক্রমই এ হত্যাকাণ্ডকে ক্রমেই রহস্যাবৃত করে তুলেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে জঙ্গি সংঠন জেএমবি নাশকতা বলে আশঙ্কা করেছিল। এ কারণে হাটহাজারী উপজেলার একটি মাজারের ফকিরকেও (খাদেম) গ্রেপ্তার করে।
যা বিতর্কের ঝড় তুলে। অভিযোগ ওঠে মাজার নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই খাদেমকে আটক করে মিতু হত্যা মামলায় জড়িত করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে বিতর্ক থামাতে পরিবর্তন করা হয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত এসে পড়ে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাঁধে। এরপর মামলা তদন্ত করতে গিয়ে গত দুই বছর অনেক হাঁকডাক ছেড়েছেন তিনিও। এই সময়ে উঠে এসেছে মিতু হত্যার পেছনে দুর্বৃত্তরা আর কেউ নন, খোদ বাবুল আকতারের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সোর্স মো. কামরুল সিকদার মুছা ও তার সহযোগীরা।
এরপর শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় বাবুল আক্তারই মিতুকে হত্যা করিয়েছে। এর পেছনে বাবুল আক্তারের পরকীয়ার কথাও উঠে আসে। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগেরই প্রমাণ পাননি বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। ফলে রহস্যই রয়ে গেল মিতু হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
কামরুজ্জামানও বলছেন, বাবুল আক্তারের সোর্স মুছা ও কালু ধরা পড়লে হয়তো বের হতো মিতু হত্যার মূল রহস্য। কিন্তু তারা পলাতক। অনেক খুঁজেও তাদের পাওয়া যায়নি। এদিকে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, ঘটনার পর দিন রাতের আঁধারে নগরীর বন্দর থানার তৎকালীন ওসি মুছাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তার কোনো হদিস নেই। তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার আশঙ্কা করে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেন স্ত্রী পান্না আক্তার।
এদিকে ঘটনার পর বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা কার্যালয়ে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিতুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন এ হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত নয় বলে দাবি করেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে সোর্স মুছার সংশ্লিষ্টতার প্রকাশের পর গণমাধ্যমে যখন বাবুল আক্তারের দিকে আঙুল ওঠে, ঠিক তখন মিতু হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই বছর ধরে মামলা তদন্ত করেছি। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অভিযোগপত্রও চূড়ান্ত করা হয়েছে। যেকোনো সময় আমরা অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করতে পারি।
প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্তে মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে মামলার বাদী হিসেবে অভিযোগপত্রে বাবুল আক্তার সাক্ষীই থাকছেন। তবে কেন বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের সোর্স মুছা ও তার সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মুছার যে কজন সহযোগী গ্রেপ্তার হয়েছে তারাও মিতু হত্যার মূল নায়ক মুছা বলে জানিয়েছে। তবে মুছাকে পাওয়া না যাওয়ায় কেন বা কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা রহস্যই রয়ে গেছে। মুছাকে পাওয়া গেলে হয়তো রহস্য উন্মোচন সম্ভব হতো।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মিতুর বাবা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাবুল আক্তারের সহকর্মী। তারা একসঙ্গে একই জোনে চাকরি করেছেন। ফলে তিনি বাবুল আক্তারকে বাঁচানোর তদন্তই করেছেন। তথ্য-প্রমাণ দিলেও তিনি আমাদের কোনো অভিযোগে কান দেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ই জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলায় জঙ্গি সংগঠনের নাশকতা সন্দেহে ওই বছরের ৮ই জুন ও ১১ই জুন নগর গোয়েন্দা পুলিশ হাটহাজারী উপজেলা থেকে মুসাবিয়া মাজারের খাদেম আবু নসুর গুন্নু ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার শীতল ঝর্ণা থেকে শাহ জামান ওরফে রবিন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিতু হত্যায় তাদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবু দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পান।
ওই বছরের ২৪শে জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর ফলে সন্দেহের তীর যায় বাবুলের দিকে। হত্যায় বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার তথ্য নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে।
২০১৬ সালের ৯ই আগস্ট পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন বাবুল আক্তার। নানা নাটকীয়তা শেষে ৬ই সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৬শে জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা জানায়, মিতু হত্যায় ব্যবহৃত ৩২ বোরের পিস্তলটি তাদের দিয়েছিলেন এহেতাশামুল হক ভোলা। এর পরপরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ভোলাকে। জিজ্ঞাসাবাদে ভোলা জানান, বাবুল আক্তারের বিশ্বস্ত সোর্স কামরুল সিকদার মুছার নেতৃত্বে মিতু হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ বলছে, মুছা পলাতক রয়েছে। তার স্ত্রী পান্না আক্তার বলছেন, মুছাকে তুলে নিয়ে গুম বা ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হয়েছে। আর এখানেই থেমে আছে মিতু হত্যার রহস্য।
পুলিশের পক্ষ থেকে ভোলা ও মনিরকে আসামি করে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হলেও তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
No comments