এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার গাউছিয়ায় টার্গেট ৫০০ কোটি টাকা by জয়নাল আবেদীন জয়
ঢাকার
পূর্ব প্রবেশদ্বার রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতার গাউসিয়া হাটে অভাবনীয় বাণিজ্যেক
লেনদেন চলছে। প্রতি মঙ্গলবার সারা দেশের কাপড় ব্যবসায়ীদের বিপণন-তীর্থ হয়ে
ওঠে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের এই মোকাম। তিন যুগের কিংবদন্তি হয়ে ওঠা এই
বস্ত্র-হাটের অলিগলিতে আলো-আঁধারিতে হাজার হাজার দোকানের বিস্ময় হাজারো
ক্রেতার ভিড়ে পা ফেলা দায়। ব্যবসায়ীদের জন্য এখানে দিন-রাতের ফারাক থাকে
না। ফুরসত মেলে না নাওয়া-খাওয়া-ঘুমের। সপ্তাহের একদিন বিক্রি-বাট্টা হয়
অবিশ্বাস্য অঙ্কে। শুধু মঙ্গলবার দিনেই বিক্রি হয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আর এ
হাটের ক্রেতার সিংগভাগই নারী। এ হাটকে ঘিরে সারা দেশের ৩০ হাজার নারীর
ভাগ্যের চাকা সচল হয়ে উঠেছে। আর যাকাতের কাপড়ের জন্য প্রসিদ্ধ এ হাটে
এবারের ঈদ মৌসুমে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার যাকাতের কাপড় বিক্রি করার আশা করছেন
হাটের ব্যবসায়ীরা। ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন বসছে হাট। বিক্রিবাট্টাও হচ্ছে
অভাবনীয়। প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। রাতের নিস্তব্ধতা
যখন চারদিকে নিথর থাকে আসে তখন শুরু হয় গাউসিয়া কাপড়ের বাজারের হাঁক-ডাক।
দরদামের কোলাহল, কুলিদের ব্যস্ততা। মার্কেটের সামনে ভ্যানের দীর্ঘ সারি।
হাটের গা-ঘেঁষে সড়কে ট্রাকের বহর। কাপড়ের বিশাল গাঁট উঠছে, নামছে। লোড নিয়ে
চলেছে দূরদূরান্তের গন্তব্যে। সেই ১৯৭৯ সাল থেকে আজ অব্দি ব্যবসায়ের
কৌলিন্য এই হাটকে ইতিমধ্যে ‘প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার’ উপাধি দেওয়া হয়েছে।
গাউছিয়া মার্কেটের থান কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে রঙের গন্ধ। বেশি ক্রেতা, বেশি বিক্রি। এর বাইরে আর কোন দৃশ্য নেই এখানে। একসময় কেবল শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা ও চাদরের জন্য যে গাউছিয়া হাটের সুখ্যাতি ছিল তার বর্ণাঢ্য এখন প্রশস্ত হয়েছে। বর্তমানে এই হাটটি দেশের বড় তাতবস্ত্র বিপণন কেন্দ্র। রুমাল থেকে জামদানি শাড়ি, মাথার টুপি থেকে পাঞ্জাবি সব মিলে এই হাটে। ছাপা কাপড়, থান কাপড়, সুতি কাপড়, থ্রি-পিস, ওড়না, শার্ট-প্যান্ট কি নেই এখানে। রমজানের ঈদে বাড়তি যোগ হয় যাকাতের কাপড় আর লুঙ্গি। এবারের ঈদে সাড়ে ৭ হাজার পাইকারি কাপড়ের মোকাম থেকে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার যাকাতের কাপড় কেনাবেচা হবে বলে আশা করছেন দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা। বিভাগীয় শহরসহ দেশের সব প্রান্তের পাইকারি ক্রেতাদের ভিড়ে মুখর গাউছিয়া হাট। ব্যবসায়ীদের কোন টোল জমা, খাজনা বা চাঁদা দিতে হয় না। টোল-খাজনা না থাকায় গাউছিয়া হাটই ব্যবসায়ীদের প্রথম পছন্দ। তাছাড়া চোর-বাটপাড় কিংবা ছিনতাইকারীর কোনো ভয় নেই এই হাটে। এ কারণে নিশ্চিতে পসরা সাজিয়ে বসেন বণিক আর ক্রেতারাও নির্ভাবনায় খরিদ করেন তা। অভিশপ্ত দরিদ্রতাকে জয় করতে জীবনযুদ্ধ আর জীবিকা নির্বাহের সংগ্রামে নামা নারী নামের অগ্রনায়িকা প্রতি মঙ্গলবারের হাটে ভিড় করেন এইখানে। এটাই তাদের তীর্থস্থান। অল্প অল্প কাপড় কিনে এরা নিজেদের এলাকায় বিক্রি করে আবার হাটবারে ছুটে আসেন গাউছিয়ায়। এভাবেই দেশের আনুমানিক ৩০ হাজার ভাগ্য বিতাড়িত নারী আজ সংগ্রামী জীবনে স্বাবলম্বী হওয়ায় গল্প শোনায়। শুধু মঙ্গলবারে পাইকারি কাপড় বিক্রি হয় প্রায় ৪০ কোটি টাকার। ঈদে যাকাতের কাপড়ের জন্য দেশের প্রায় সকল জেলার লোকজন ভিড় করায় এ হিসাব দিনের বেচাকেনায় চলে আসে। এবারের ঈদ মৌসুমে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার শুধু যাকাতের কাপড় বিক্রি হওয়ার আশা করছেন গাউছিয়া মার্কেটের বণিক সমিতি।
মার্কেট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার পূর্বে ভুলতা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠেছে গাউছিয়া মার্কেট। ১৯৭৯ সালে ছোট পরিসরে বেচাকেনা শুরু হয়। পরে ১৯৮৫ সালের ৪ঠা জানুয়ারি গাউছিয়া মার্কেটের প্রথম ভবন গড়ে ওঠে। পরে ধীরে ধীরে ১২০ বিঘা জমির উপড় মার্কেট সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে গাউছিয়া-১ ও গাউছিয়া-২ মার্কেটে পাইকারি কাপড়, শাড়ি, ওড়না, লুঙ্গি, গামছাসহ সকল বস্ত্রই বিক্রি হয়। গাউছিয়া মার্কেটের দোকান মালিকরা জানান, গাউছিয়া মার্কেটে পাইকারি কাপড়ের দোকান রয়েছে সাড়ে ৭ হাজারের উপড়ে। তবে এসব দোকান সবগুলো খোলা থাকে মঙ্গলবার। আর ঈদুর ফিতরে রোজার ১৫ দিন আগে থেকে প্রতিদিনই সকল দোকান খোলা থাকে। এছাড়া বছরের অন্যদিনগুলোতে কিছু দোকান বন্ধ থাকে। মঙ্গলবারে একেকটি দোকানে বিক্রি হয় কমপক্ষে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। আবার কোনো কোনো দোকান ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা বিক্রি করে। আর যাকাতের কাপড়ের দোকানের বিক্রি বাট্টা হয় অবিশ্বাস্য অঙ্কে। কেউ কেউ অর্ধকোটি কোটি টাকার বেচাকেনা করে ফেলেন ভাগ্য সহায় হলে কেনো কোনো দিন। রহিম শাড়ি-কাপড় বিতানের মালিক আব্দুর রহিম বলেন, ভাই ব্যবসা ভালোই।
তয় দেশের পরিস্থিতি খারাপ অইলে ব্যবসা মন্দা হয়। আমাগো কাস্টমার বেশির ভাগ মহিলা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেইক্যা আহে। তাই পরিস্থিতি খারাপ অইলে মনডা খারাপ অইয়া যায় গা। আগে বেচবার পারতাম দেড়-দুই লাখ টাকা। সিটি প্রিন্ট শাড়ির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবারের সিজনে যাকাতের কাপড়ের বেশ ভালো কেনাবেচা হচ্ছে, বিশেষ করে চট্রগ্রাম আর সিলেট অঞ্চলের লোকজন প্রতিদিনই যাকাতের কাপড় কিনে গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন। এ কারনে তিনি শোকরিয়া আদায় করেন। প্রতি মঙ্গলবারে সাড়ে ৭ হাজার পাইকারি দোকানদার ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার বেচাকেনা করে। সে হিসাবে প্রায় মঙ্গলবারে ৪০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। গাউছিয়া দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, মার্কেটে সারাদেশ থেকে হাটবারে প্রায় ৩০ হাজার নারী ক্রেতারা আসে এটা ভাগ্যের বিষয়। তাই নারী ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেন ছিনতাই, চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনা না ঘটে। মার্কেটের উপড়েই রয়েছে পুলিশ ফাড়ি। তাছাড়া রয়েছে নিরাপত্তাপ্রহরী।
সাধারন সম্পাদক হাজী ইলিয়াছ হোসেন বলেন, রমজান মাসটা এখানকার ব্যবসায়ীদের জন্য সত্যি খোদার বিশেষ রহমত। যাকাতের কাপড় কিনতে কোটি কোটি টাকা নিয়ে লোকজন আসে। আল্লাহর রহমতে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি আজ পর্যন্ত। তবে ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে যানজট হচ্ছে প্রতিদিন। এ কারণে বিক্রিবাট্টা একটু কম। রাস্তা মেরামত থাকলে এবারের ঈদে আগের সকল রেকর্ড ভেঙে কেনাবেচা হতো। তবু আল্লাহর রহমকে বেচাকেনা ভালো। এ অবস্থা চলমান থাকলে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা আমদানি হওয়ার আশা করছি।
এ মার্কেটের মালিক ও গাউছিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, গাউছিয়া মার্কেটের ৮০ ভাগ ক্রেতাই মহিলা। ঢাকার বাইরে থেকে যেসব নারী কাপড় কিনতে আসেন তাদের অনেক কষ্ট হয়। সেই বিবেচনা মাথায় নিয়ে পরিকল্পনা করেছি গাউছিয়ায় একটি মহিলা রেষ্ট হাউস তৈরি করবো। কম খরচে মহিলারা এখানে রাতযাপন করতে পারবে। আর ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে মার্কেটের পাশেই তৈরী করা হবে এ্যাপার্টমেন্ট। তাছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আগামী বিশাল একটি টার্মিনাল করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে মার্কেটের নিজস্ব জায়গায় আমরা একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের পাশাপাশি প্রায় দুইশ নিরাপত্তা কর্মী নিযুক্ত করেছি। এখানে ন্যায্যমূল্যে মানুষ কিনতে পারে আর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পায় বলেই সারা বছর ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে।
গাউছিয়া মার্কেটের থান কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে রঙের গন্ধ। বেশি ক্রেতা, বেশি বিক্রি। এর বাইরে আর কোন দৃশ্য নেই এখানে। একসময় কেবল শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা ও চাদরের জন্য যে গাউছিয়া হাটের সুখ্যাতি ছিল তার বর্ণাঢ্য এখন প্রশস্ত হয়েছে। বর্তমানে এই হাটটি দেশের বড় তাতবস্ত্র বিপণন কেন্দ্র। রুমাল থেকে জামদানি শাড়ি, মাথার টুপি থেকে পাঞ্জাবি সব মিলে এই হাটে। ছাপা কাপড়, থান কাপড়, সুতি কাপড়, থ্রি-পিস, ওড়না, শার্ট-প্যান্ট কি নেই এখানে। রমজানের ঈদে বাড়তি যোগ হয় যাকাতের কাপড় আর লুঙ্গি। এবারের ঈদে সাড়ে ৭ হাজার পাইকারি কাপড়ের মোকাম থেকে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার যাকাতের কাপড় কেনাবেচা হবে বলে আশা করছেন দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা। বিভাগীয় শহরসহ দেশের সব প্রান্তের পাইকারি ক্রেতাদের ভিড়ে মুখর গাউছিয়া হাট। ব্যবসায়ীদের কোন টোল জমা, খাজনা বা চাঁদা দিতে হয় না। টোল-খাজনা না থাকায় গাউছিয়া হাটই ব্যবসায়ীদের প্রথম পছন্দ। তাছাড়া চোর-বাটপাড় কিংবা ছিনতাইকারীর কোনো ভয় নেই এই হাটে। এ কারণে নিশ্চিতে পসরা সাজিয়ে বসেন বণিক আর ক্রেতারাও নির্ভাবনায় খরিদ করেন তা। অভিশপ্ত দরিদ্রতাকে জয় করতে জীবনযুদ্ধ আর জীবিকা নির্বাহের সংগ্রামে নামা নারী নামের অগ্রনায়িকা প্রতি মঙ্গলবারের হাটে ভিড় করেন এইখানে। এটাই তাদের তীর্থস্থান। অল্প অল্প কাপড় কিনে এরা নিজেদের এলাকায় বিক্রি করে আবার হাটবারে ছুটে আসেন গাউছিয়ায়। এভাবেই দেশের আনুমানিক ৩০ হাজার ভাগ্য বিতাড়িত নারী আজ সংগ্রামী জীবনে স্বাবলম্বী হওয়ায় গল্প শোনায়। শুধু মঙ্গলবারে পাইকারি কাপড় বিক্রি হয় প্রায় ৪০ কোটি টাকার। ঈদে যাকাতের কাপড়ের জন্য দেশের প্রায় সকল জেলার লোকজন ভিড় করায় এ হিসাব দিনের বেচাকেনায় চলে আসে। এবারের ঈদ মৌসুমে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার শুধু যাকাতের কাপড় বিক্রি হওয়ার আশা করছেন গাউছিয়া মার্কেটের বণিক সমিতি।
মার্কেট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার পূর্বে ভুলতা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠেছে গাউছিয়া মার্কেট। ১৯৭৯ সালে ছোট পরিসরে বেচাকেনা শুরু হয়। পরে ১৯৮৫ সালের ৪ঠা জানুয়ারি গাউছিয়া মার্কেটের প্রথম ভবন গড়ে ওঠে। পরে ধীরে ধীরে ১২০ বিঘা জমির উপড় মার্কেট সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে গাউছিয়া-১ ও গাউছিয়া-২ মার্কেটে পাইকারি কাপড়, শাড়ি, ওড়না, লুঙ্গি, গামছাসহ সকল বস্ত্রই বিক্রি হয়। গাউছিয়া মার্কেটের দোকান মালিকরা জানান, গাউছিয়া মার্কেটে পাইকারি কাপড়ের দোকান রয়েছে সাড়ে ৭ হাজারের উপড়ে। তবে এসব দোকান সবগুলো খোলা থাকে মঙ্গলবার। আর ঈদুর ফিতরে রোজার ১৫ দিন আগে থেকে প্রতিদিনই সকল দোকান খোলা থাকে। এছাড়া বছরের অন্যদিনগুলোতে কিছু দোকান বন্ধ থাকে। মঙ্গলবারে একেকটি দোকানে বিক্রি হয় কমপক্ষে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। আবার কোনো কোনো দোকান ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা বিক্রি করে। আর যাকাতের কাপড়ের দোকানের বিক্রি বাট্টা হয় অবিশ্বাস্য অঙ্কে। কেউ কেউ অর্ধকোটি কোটি টাকার বেচাকেনা করে ফেলেন ভাগ্য সহায় হলে কেনো কোনো দিন। রহিম শাড়ি-কাপড় বিতানের মালিক আব্দুর রহিম বলেন, ভাই ব্যবসা ভালোই।
তয় দেশের পরিস্থিতি খারাপ অইলে ব্যবসা মন্দা হয়। আমাগো কাস্টমার বেশির ভাগ মহিলা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেইক্যা আহে। তাই পরিস্থিতি খারাপ অইলে মনডা খারাপ অইয়া যায় গা। আগে বেচবার পারতাম দেড়-দুই লাখ টাকা। সিটি প্রিন্ট শাড়ির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবারের সিজনে যাকাতের কাপড়ের বেশ ভালো কেনাবেচা হচ্ছে, বিশেষ করে চট্রগ্রাম আর সিলেট অঞ্চলের লোকজন প্রতিদিনই যাকাতের কাপড় কিনে গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন। এ কারনে তিনি শোকরিয়া আদায় করেন। প্রতি মঙ্গলবারে সাড়ে ৭ হাজার পাইকারি দোকানদার ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার বেচাকেনা করে। সে হিসাবে প্রায় মঙ্গলবারে ৪০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। গাউছিয়া দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, মার্কেটে সারাদেশ থেকে হাটবারে প্রায় ৩০ হাজার নারী ক্রেতারা আসে এটা ভাগ্যের বিষয়। তাই নারী ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেন ছিনতাই, চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনা না ঘটে। মার্কেটের উপড়েই রয়েছে পুলিশ ফাড়ি। তাছাড়া রয়েছে নিরাপত্তাপ্রহরী।
সাধারন সম্পাদক হাজী ইলিয়াছ হোসেন বলেন, রমজান মাসটা এখানকার ব্যবসায়ীদের জন্য সত্যি খোদার বিশেষ রহমত। যাকাতের কাপড় কিনতে কোটি কোটি টাকা নিয়ে লোকজন আসে। আল্লাহর রহমতে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি আজ পর্যন্ত। তবে ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে যানজট হচ্ছে প্রতিদিন। এ কারণে বিক্রিবাট্টা একটু কম। রাস্তা মেরামত থাকলে এবারের ঈদে আগের সকল রেকর্ড ভেঙে কেনাবেচা হতো। তবু আল্লাহর রহমকে বেচাকেনা ভালো। এ অবস্থা চলমান থাকলে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা আমদানি হওয়ার আশা করছি।
এ মার্কেটের মালিক ও গাউছিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, গাউছিয়া মার্কেটের ৮০ ভাগ ক্রেতাই মহিলা। ঢাকার বাইরে থেকে যেসব নারী কাপড় কিনতে আসেন তাদের অনেক কষ্ট হয়। সেই বিবেচনা মাথায় নিয়ে পরিকল্পনা করেছি গাউছিয়ায় একটি মহিলা রেষ্ট হাউস তৈরি করবো। কম খরচে মহিলারা এখানে রাতযাপন করতে পারবে। আর ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে মার্কেটের পাশেই তৈরী করা হবে এ্যাপার্টমেন্ট। তাছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আগামী বিশাল একটি টার্মিনাল করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে মার্কেটের নিজস্ব জায়গায় আমরা একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের পাশাপাশি প্রায় দুইশ নিরাপত্তা কর্মী নিযুক্ত করেছি। এখানে ন্যায্যমূল্যে মানুষ কিনতে পারে আর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পায় বলেই সারা বছর ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে।
No comments