১৫ কিলোমিটার হাঁটলে খাবার জোটে সবজি চাচার!
মাঠে
চাষাবাদের কোনও জমি নেই। ভারি কাজও করতে পারেন না। বেঁচে থাকার তাগিদে
কলার মোচাসহ নানা সবজি বিক্রি করেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঈশ্বরবা গ্রামের
তাহাজ মণ্ডল (৬৫)। কালীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কলার মোচা, কলাগাছের
ভেতরের নরম শাঁস, বিভিন্ন প্রকারের সবজি বিক্রি করেন তিনি। সবজি বিক্রি
করতে গড়ে প্রতিদিন তাকে ১০/১৫ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়। এখান থেকে যা আয় হয়
তা দিয়ে ৫ সদস্যের সংসার চালান তিনি। তবে যেদিন কাজে যেতে পারেন না সেদিন
পাতে খাবার জোটে না।
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে সবজি বিক্রি করায় তাহাজ মণ্ডল শহরের অনেকের কাছে সবজি চাচা হিসেবে পরিচিত। শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় রোজগারের জন্য পাড়ায় পাড়ায় হেঁটে সবজি বিক্রি করেন তিনি। তাহাজ উদ্দিনের ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে তোফাজ্জেল মণ্ডল (৩৮) গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত । বাকি ৩ ছেলে ওবাইদুল (৩২), শহিদুল (৩০) ও মোত্তাকিন (১৮) পরের জমিতে কাজ করে। ওবাইদুল ও শহিদুল আলাদা থাকেন। তোফাজ্জেল ও মোত্তাকিন বাবা-মার সঙ্গে থাকেন।
তাহাজ মণ্ডল জানান, তিনি যা আয় করেন তাতে সংসারই চলে না, তার ওপর অসুস্থ ছেলের ওষুধ খরচের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তাকে হিমশিম খেতে হয়। তাই এ বয়সেও কাজ করেন তিনি। কলার মোচাসহ বিভিন্ন সবজি দুটি ঝুড়িতে সাজিয়ে ঘাড়ে করে শহরের ১০/১৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে বাড়িতে সবজি বিক্রি করেন। ৩০/৪০টি মোচা বিক্রি করতে তাকে অন্তত একশ বাড়িতে ঘুরতে হয়। একইসঙ্গে তিনি কলাগাছের ভেতরের নরম অংশসহ বিভিন্ন সবজিও বিক্রি করেন। তবে প্রত্যেক দিন সব সবজি বিক্রি হয় না তার। যেদিন সবজি বিক্রি কম হয় সেদিন তিন বেলা খাবার জোটে না।
তিনি জানান, কলার মোচা সংগ্রহ করতে তাকে বিভিন্ন গ্রামের কলাচাষিদের কাছে ধরনা দিতে হয়। চাষিরা মোচা বাবদ কোনও টাকা-পয়সা নেন না। মোচা কাটার সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত থেকে তিনি বিনামূল্যে এগুলো সংগ্রহ করেন। কিন্তু সব সময় কলার মোচা পাওয়া যায় না। এজন্য বর্ষার মৌসুমে কলমিশাক, হেলেঞ্চা শাক ও শাপলা বিক্রি করেন।
সদা হাস্যোজ্জ্বল সবজি চাচা বলেন, ‘জীবনের বাকি সময়টুকু সুস্থ শরীরে এভাবেই কাটাতে চাই। তবে বেশি দিন হয়তো আর এভাবে ঘুরতে পারবো না। তাই স্থায়ী কোনও ব্যবসার ব্যবস্থা যদি কেউ করে দিতো তাহলে হয়তো অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কাটাতে পারতাম।’
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে সবজি বিক্রি করায় তাহাজ মণ্ডল শহরের অনেকের কাছে সবজি চাচা হিসেবে পরিচিত। শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় রোজগারের জন্য পাড়ায় পাড়ায় হেঁটে সবজি বিক্রি করেন তিনি। তাহাজ উদ্দিনের ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে তোফাজ্জেল মণ্ডল (৩৮) গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত । বাকি ৩ ছেলে ওবাইদুল (৩২), শহিদুল (৩০) ও মোত্তাকিন (১৮) পরের জমিতে কাজ করে। ওবাইদুল ও শহিদুল আলাদা থাকেন। তোফাজ্জেল ও মোত্তাকিন বাবা-মার সঙ্গে থাকেন।
তাহাজ মণ্ডল জানান, তিনি যা আয় করেন তাতে সংসারই চলে না, তার ওপর অসুস্থ ছেলের ওষুধ খরচের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তাকে হিমশিম খেতে হয়। তাই এ বয়সেও কাজ করেন তিনি। কলার মোচাসহ বিভিন্ন সবজি দুটি ঝুড়িতে সাজিয়ে ঘাড়ে করে শহরের ১০/১৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে বাড়িতে সবজি বিক্রি করেন। ৩০/৪০টি মোচা বিক্রি করতে তাকে অন্তত একশ বাড়িতে ঘুরতে হয়। একইসঙ্গে তিনি কলাগাছের ভেতরের নরম অংশসহ বিভিন্ন সবজিও বিক্রি করেন। তবে প্রত্যেক দিন সব সবজি বিক্রি হয় না তার। যেদিন সবজি বিক্রি কম হয় সেদিন তিন বেলা খাবার জোটে না।
তিনি জানান, কলার মোচা সংগ্রহ করতে তাকে বিভিন্ন গ্রামের কলাচাষিদের কাছে ধরনা দিতে হয়। চাষিরা মোচা বাবদ কোনও টাকা-পয়সা নেন না। মোচা কাটার সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত থেকে তিনি বিনামূল্যে এগুলো সংগ্রহ করেন। কিন্তু সব সময় কলার মোচা পাওয়া যায় না। এজন্য বর্ষার মৌসুমে কলমিশাক, হেলেঞ্চা শাক ও শাপলা বিক্রি করেন।
সদা হাস্যোজ্জ্বল সবজি চাচা বলেন, ‘জীবনের বাকি সময়টুকু সুস্থ শরীরে এভাবেই কাটাতে চাই। তবে বেশি দিন হয়তো আর এভাবে ঘুরতে পারবো না। তাই স্থায়ী কোনও ব্যবসার ব্যবস্থা যদি কেউ করে দিতো তাহলে হয়তো অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কাটাতে পারতাম।’
No comments