মুসলিমরা মুসলিমদের হত্যা করুক, এটা আমরা চাই না-এরদোয়ান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলছেন, মুসলিমরা মুসলিমদের হত্যা করুক এটা তার দেশ কখনোই চায় না।
কাতার সংকট প্রসঙ্গে বিবিসি'র হার্ডটক অনুষ্ঠানে প্রশ্নের উত্তরে মি: এরদোয়ান বলেছেন, মুসলমানদের মধ্যে পারষ্পরিক সংঘাত দেখতে-দেখতে তারা ক্লান্ত-বিরক্ত হয়ে পড়েছেন।
মি: এরদোয়ান বলেন, " ইয়েমেনে যা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই না... ফিলিস্তিন এবং লিবিয়াতে যা ঘটছে সেটা আমরা দেখতে চাই না। সিরিয়াতে কী ঘটছে সেটা সবাই জানে। ইরাকে কী হচ্ছে সেটা সবার কাছে পরিষ্কার। এসব ঘটনার মূল্য দিতে হচ্ছে তুরস্ককে। আমরা এসব চাই না।"
সেজন্যই তুরস্ক কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাতারের উপর অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য সৌদি আরবের নেতৃত্বে দেশগুলো যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাতার থেকে তুরস্কের সেনা ঘাটি প্রত্যাহার করা।
কিন্তু সেটি না করে তুরস্ক কাতারে আরো সৈন্য পাঠিয়েছে।
কাতারকে কেন্দ্র করে যে অস্থিরতা চলছে সেটি আরো দ্বন্দ্বে রূপ নিতে পারে কী-না?
এমন প্রশ্নে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকাকে দায়ী করেন।
মি: এরদোয়ান বলেন, "দেখুন, আপনি আমাকে এ প্রশ্ন করছেন। আপনি এ প্রশ্ন আমেরিকাকে কেন করছেন না? আপনি এ প্রশ্ন ফ্রান্সকে কেন করছেন না? আপনি এ প্রশ্ন ইংল্যান্ডকে কেন করছেন না?"
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ কোন দ্বন্দ্বের অংশ হতে চায় না।
তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য আলোচনার উপর গুরুত্ব দিতে চায়।
সেজন্য একটি সমাধানে পৌঁছতে তুরস্ক দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছতে চায়।
ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে মি: এরদোয়ান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত নাও করে তাহলে তাদের কোন সমস্যা নেই। কারণ দেশ হিসেবে তুরস্ক নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম।
মি: এরদোয়ান অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তির জন্য আলোচনার নামে সময় নষ্ট হয়েছে।
মি: এরদোয়ান বলেন," আমরা আমাদের বিশ্বের প্রতি অনুগত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি আমাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে তারা তুরস্ককে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করবে না , তাহলে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করবো।"
ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের জন্য অপরিহার্য নয় বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তুরস্কের অধিকাংশ মানুষ এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত হতে চায় না বলে তিনি মনে করেন।
কারণ তুরস্কের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তরিক নয় বলেও মি: এরদোয়ান উল্লেখ করেন।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা
কাতার সংকট প্রসঙ্গে বিবিসি'র হার্ডটক অনুষ্ঠানে প্রশ্নের উত্তরে মি: এরদোয়ান বলেছেন, মুসলমানদের মধ্যে পারষ্পরিক সংঘাত দেখতে-দেখতে তারা ক্লান্ত-বিরক্ত হয়ে পড়েছেন।
মি: এরদোয়ান বলেন, " ইয়েমেনে যা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই না... ফিলিস্তিন এবং লিবিয়াতে যা ঘটছে সেটা আমরা দেখতে চাই না। সিরিয়াতে কী ঘটছে সেটা সবাই জানে। ইরাকে কী হচ্ছে সেটা সবার কাছে পরিষ্কার। এসব ঘটনার মূল্য দিতে হচ্ছে তুরস্ককে। আমরা এসব চাই না।"
সেজন্যই তুরস্ক কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাতারের উপর অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য সৌদি আরবের নেতৃত্বে দেশগুলো যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাতার থেকে তুরস্কের সেনা ঘাটি প্রত্যাহার করা।
কিন্তু সেটি না করে তুরস্ক কাতারে আরো সৈন্য পাঠিয়েছে।
কাতারকে কেন্দ্র করে যে অস্থিরতা চলছে সেটি আরো দ্বন্দ্বে রূপ নিতে পারে কী-না?
এমন প্রশ্নে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকাকে দায়ী করেন।
মি: এরদোয়ান বলেন, "দেখুন, আপনি আমাকে এ প্রশ্ন করছেন। আপনি এ প্রশ্ন আমেরিকাকে কেন করছেন না? আপনি এ প্রশ্ন ফ্রান্সকে কেন করছেন না? আপনি এ প্রশ্ন ইংল্যান্ডকে কেন করছেন না?"
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ কোন দ্বন্দ্বের অংশ হতে চায় না।
তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য আলোচনার উপর গুরুত্ব দিতে চায়।
সেজন্য একটি সমাধানে পৌঁছতে তুরস্ক দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছতে চায়।
ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে মি: এরদোয়ান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত নাও করে তাহলে তাদের কোন সমস্যা নেই। কারণ দেশ হিসেবে তুরস্ক নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম।
মি: এরদোয়ান অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তির জন্য আলোচনার নামে সময় নষ্ট হয়েছে।
মি: এরদোয়ান বলেন," আমরা আমাদের বিশ্বের প্রতি অনুগত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি আমাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে তারা তুরস্ককে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করবে না , তাহলে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করবো।"
ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের জন্য অপরিহার্য নয় বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তুরস্কের অধিকাংশ মানুষ এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত হতে চায় না বলে তিনি মনে করেন।
কারণ তুরস্কের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তরিক নয় বলেও মি: এরদোয়ান উল্লেখ করেন।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা
No comments