কাতারের হুশিয়ারি, সামরিক পদক্ষেপ নিলে ‘চরম পরিণতি’
সংকট নিরসনে টিলারসনের কূটনৈতিক মিশন * সৌদি জোটের শর্তাবলী বাস্তবসম্মত নয় : যুক্তরাষ্ট্র * কাতার ইস্যুতে জিসিসি ভেঙে যেতে পারে : ইইউ
কাতারের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হলে মধ্যপ্রাচ্যকে ‘চরম পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে দোহা। অবরোধ আরোপকারীদের অন্যায় দাবির কাছে কাতার কখনোই মাথা নত করবে না বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ আবদুল রহমান আল থানি। ফ্রান্সের একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানায় মিডলইস্ট মনিটর। তবে চলতি সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, কাতার সংকটকে ঘিরে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা করছেন না তিনি। সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শত্রুতা ও বিদ্বেষের মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না এবং কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর চলমান সংকট সংলাপের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করতে হবে। আল থানি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী কোনো শর্ত তার দেশ মেনে নেবে না। কাতারের বিরুদ্ধে চার আরব দেশ সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার যে অভিযোগ তুলেছে তা নাকচ করে দিয়ে আল থানি বলেন, তার দেশ সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকরাই বরং উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দিয়েছে। এদিকে কাতার সংকট নিরসনের লক্ষ্যে নিজের প্রথম কূটনৈতিক মিশনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এখন মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। সংকট সমাধানে চলতি সপ্তাহের পুরোটাই উপসাগরীয় দেশগুলো সফরে কাটাবেন তিনি। সোমবার ইস্তাম্বুল থেকে কুয়েত সিটিতে পৌঁছান টিলারসন। এদিন সন্ধ্যায় কুয়েতের আমীর শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ ও দেশটির অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় কুয়েতি আমীর আল সাবাহ টিলারসনকে বলেন, ‘আমরা এমন একটা ইস্যু মীমাংসা করার চেষ্টা করছি যা শুধু আমাদেরকে নয় পুরো বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’ টিলারসন বলেন, কাতার সংকটের আশু কোনো সমাধান তিনি আশা করছেন না। তবে সংকট সমাধানে পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু করার সম্ভাবনার বিষয়টি যাচাই করে দেখছেন। কুয়েত সফর শেষে মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এখানে তিনি প্রথমে কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল থানির সঙ্গে বৈঠক করবেন। গত মাসে টিলারসন কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য সৌদি জোটের প্রতি আহ্বান জানান। ওই সময় তিনি বলেন, এতে করে অপ্রত্যাশিত মানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে এবং প্রভাব পড়ছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন লড়াইয়ে। কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহালে সৌদি আরবের দেয়া ১৩টি শর্ত বাস্তবসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। কাতার সংকটকে কেন্দ্র করে পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসিভুক্ত দেশগুলোর সংস্থাটি ভেঙে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিসর। তবে সংস্থার অন্য দুই সদস্য কুয়েত এবং ওমান নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার ব্রাসেলসে জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেছেন, চলমান উত্তেজনা থেকে বের না হতে পারলে পিজিসিসি ভেঙে যেতে পারে এবং বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চিন্তিত। চলমান সংকট নিরসনে কুয়েতের নেয়া উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, কুয়েতের এ উদ্যোগের মাধ্যমে সংকটের সমাধান হওয়া উচিত।
কাতারের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হলে মধ্যপ্রাচ্যকে ‘চরম পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে দোহা। অবরোধ আরোপকারীদের অন্যায় দাবির কাছে কাতার কখনোই মাথা নত করবে না বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ আবদুল রহমান আল থানি। ফ্রান্সের একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানায় মিডলইস্ট মনিটর। তবে চলতি সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, কাতার সংকটকে ঘিরে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা করছেন না তিনি। সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শত্রুতা ও বিদ্বেষের মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না এবং কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর চলমান সংকট সংলাপের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করতে হবে। আল থানি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী কোনো শর্ত তার দেশ মেনে নেবে না। কাতারের বিরুদ্ধে চার আরব দেশ সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার যে অভিযোগ তুলেছে তা নাকচ করে দিয়ে আল থানি বলেন, তার দেশ সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকরাই বরং উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দিয়েছে। এদিকে কাতার সংকট নিরসনের লক্ষ্যে নিজের প্রথম কূটনৈতিক মিশনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এখন মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। সংকট সমাধানে চলতি সপ্তাহের পুরোটাই উপসাগরীয় দেশগুলো সফরে কাটাবেন তিনি। সোমবার ইস্তাম্বুল থেকে কুয়েত সিটিতে পৌঁছান টিলারসন। এদিন সন্ধ্যায় কুয়েতের আমীর শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ ও দেশটির অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় কুয়েতি আমীর আল সাবাহ টিলারসনকে বলেন, ‘আমরা এমন একটা ইস্যু মীমাংসা করার চেষ্টা করছি যা শুধু আমাদেরকে নয় পুরো বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’ টিলারসন বলেন, কাতার সংকটের আশু কোনো সমাধান তিনি আশা করছেন না। তবে সংকট সমাধানে পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু করার সম্ভাবনার বিষয়টি যাচাই করে দেখছেন। কুয়েত সফর শেষে মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এখানে তিনি প্রথমে কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল থানির সঙ্গে বৈঠক করবেন। গত মাসে টিলারসন কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য সৌদি জোটের প্রতি আহ্বান জানান। ওই সময় তিনি বলেন, এতে করে অপ্রত্যাশিত মানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে এবং প্রভাব পড়ছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন লড়াইয়ে। কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহালে সৌদি আরবের দেয়া ১৩টি শর্ত বাস্তবসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। কাতার সংকটকে কেন্দ্র করে পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসিভুক্ত দেশগুলোর সংস্থাটি ভেঙে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিসর। তবে সংস্থার অন্য দুই সদস্য কুয়েত এবং ওমান নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার ব্রাসেলসে জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেছেন, চলমান উত্তেজনা থেকে বের না হতে পারলে পিজিসিসি ভেঙে যেতে পারে এবং বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চিন্তিত। চলমান সংকট নিরসনে কুয়েতের নেয়া উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, কুয়েতের এ উদ্যোগের মাধ্যমে সংকটের সমাধান হওয়া উচিত।
No comments