এমআইটিতে ৬ জনে একজন যৌন নির্যাতনের শিকার
বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বেশ কয়েক বছর ধরে স্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’- এর ওয়ার্ল্ড রেপুটেশন র্যাঙ্কিংয়ে ২০১১, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরের অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এমআইটি। মেধাবী শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখেন এমআইটিতে সুযোগ পাওয়ার। গবেষণার বিস্তর সুবিধা থাকায় বিখ্যাত এ বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ, স্নাতক পড়ুয়া ছাত্রীদের প্রতি ৬ জনে একজন কোন না কোন সময় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এমআইটিতে। কিন্তু, যৌন অপরাধের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন ৫ শতাংশেরও কম ছাত্রী। এমআইটিতে পরিচালিত এক জরিপে উদ্বেগজনক এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে চাপ বৃদ্ধি করার পর এমআইটিই প্রথম দীর্ঘ এ জরিপ প্রকাশ করলো। স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের ৫ শতাংশ বলেছেন, তারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এমআইটির প্রেসিডেন্ট রাফায়েল রিফ জরিপের তথ্য সংবলিত সংযুক্তিপত্রসহ একটি ই-মেইলে লিখেছেন, যৌন হামলা এমআইটি’র প্রধান মূল্যবোধের লঙ্ঘন। এখানে এর কোন স্থান নেই। জরিপে অংশগ্রহণ করা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ছাত্রী কাম্য নয় এমন যৌন অভিজ্ঞতার কথা কাউকে হয়তো জানিয়েছেন। কিন্তু, ৫ শতাংশেরও কম ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট করেছেন। তবে গত কয়েক মাসে যৌন নির্যাতন রিপোর্টের হার বেড়েছে। এ ব্যাপারে প্রচারণা ও সচেতনতা তৈরি হওয়ার ফলেই সেটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
No comments