সেই সন্ত্রাসীরা এখনো থামেনি by এম এ জব্বার
২৮ অক্টোবরের নৃশংসতা বাংলাদেশের আকাশে একখণ্ড কালো মেঘের বজ্রাঘাত। সে জমাট মেঘ এখনো তাণ্ডব থামায়নি। সে নিকশ কালো মেঘ আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ, পারস্পরিক সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ সব দুমড়ে-মুচড়ে নিঃশেষ করে দিতে ব্যতিব্যস্ত। ঘটনার খলনায়কেরা এখন ইতিহাসের সংরক্ষক, দরাজকণ্ঠী মানবতাবাদী! এক একটি চলমান ঘটনাই নতুন নতুন ২৮ অক্টোবর। পূর্বের ২৮-এর চেয়ে পরের ২৮ যেন আরো নৃশংস, হৃদয়বিদারক, লোমহর্ষক ও মানবেতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ নয়। প্রতিটি মুহূর্ত তাদের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে চরম উৎকণ্ঠায় কাটছে। স্বস্তিহীন, নিরাপত্তাবিহীন আর কতকাল এভাবে কাটাতে হবে? আমাদের আর কত দিন গুনে গুনে দেখতে হবে নতুন নতুন ভয়াল ২৮ অক্টোবর! ওরা কারা, যারা নতুন নতুন করে ২৮ অক্টোবর রচনা করছে? ওদের রুখে দিতে আর কত সময় দরকার? ওরা মানবতাবিরোধী অপরাধী। ওদের রুখে দিতে না পারলে আগামী প্রজন্মের কাছে আমরা হবো ক্ষমার অযোগ্য।
ক্ষমতালিপ্সুদের হিংস্র থাবায় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রক্তরঞ্জিত হলো রাজধানীর কালো পিচঢালা রাজপথ। লাঠি-বৈঠার আঘাতে ও লাশের ওপর নর্দন-কুর্তন করে সত্যের সেনানীদের চিরতরে নিঃশেষ করে দেয়াই ছিল তাদের টার্গেট। সে দিন নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও আনুগত্যের পরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে জীবন উৎসর্গ করল সাহসী কর্মীরা। কেউ পিছু হটেনি। মিডিয়ার সুবাদে হায়েনাদের বীভৎসতা, নীচতা ও পাশবিকতা প্রত্যক্ষ করল বিশ্বমানবতা। শহীদ ও আহতদের রাজপথে রেখে এক মুহূর্তের জন্য পিছপা হলো না আন্দোলনের সাথীরা। এ যেন কারবালার আরেক নিষ্ঠুর প্রান্তর। ভাইয়ের সামনে ভাইয়ের লাশ। বছর ঘুরে ২৮ অক্টোবর আসে। আজ প্রতিবাদী কর্মীদের কাছে ২৮ অক্টোবর প্রেরণার সুউচ্চ মিনার। যদিও বা ক্ষমতালিপ্সুরা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার লালসায় বাংলার জমিনে এখন ক্ষণে ক্ষণে ঘটিয়ে চলছে নতুন নতুন ২৮ অক্টোবর।
আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা দাবি করে। অথচ তারা বলে এক রকম, করে অন্য রকম। নেতাদের নেতৃত্বে ক্যাডাররা সে দিন ভয়াল নগ্ন চেহারা প্রদর্শন করেছিল। শান্তিপূর্ণ সভায় লগি-বৈঠাবাহিনীর নেতৃত্বে বিনা উসকানিতে হামলা ও দখলের চেষ্টা চলে। তাদের গতিবিধি, আচরণে দেশবাসীর কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছিল যে, এটা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। চোরাপথে ক্ষমতায় আসার ডিজিটাল নাটকের মঞ্চায়ন।
পাতানো নির্বাচনের মাধমে কুৎসিত ফ্যাসিবাদীদের চেহারা আবার প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নানা অভিযোগে দমনের ভয়ঙ্কর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সত্যপন্থীদের জীবন দিয়ে হলেও আন্দোলনের সুরক্ষার জন্য মরিয়াভাব দেখে দিশেহারা হয়ে তারা আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে।
২৮ অক্টোবরের শহীদ ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্বজনেরা খুনিদের বিচারের অপেক্ষায় আছেন। যাদের নির্দেশে একটা শান্ত জনপদ অশান্ত হয়ে গেল, সামাজিক সম্প্রীতি খানখান হয়ে গেল, দেশের অভ্যন্তরে ঐক্যের পরিবর্তে বিভেদের কালো মেঘ হানা দিলো, কে না চায় তাদের বিচার? বিচারের প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ। প্রকৃত অপরাধীদের বিচার বাংলার জমিনে হবেই ইনশাআল্লাহ।
আজ দেশবাসী শঙ্কিত। তারা জানে না আরো কত ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। ৫ মে ২০১৩ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকায় মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ আহ্বান করে হেফাজত। সে দিন ৬ মে রাতের আঁধারে ফ্যাসিস্ট সরকার সত্যানুসন্ধানী মিডিয়াগুলোর সম্প্রচার বন্ধ ও লাইট বন্ধ করে দিয়ে ঘুমন্ত, ইবাদতরত কান্ত মুসাফির আলেম-ওলামাদের ওপর এক নারকীয় আক্রমণ পরিচালনা করে। সে গণহত্যার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো সরকার জনগণের কাছে উপস্থাপন করতে পারেনি। এভাবে আরো অনেক ঘটনা ফ্যাসিস্ট সরকার একের পর এক ঘটিয়ে চলছে। প্রতিটি ঘটনাই যেন ২৮ অক্টোবরকে হার মানিয়ে নতুন ২৮ অক্টোবর রচনা করছে। ২৮ অক্টোবর আমাদের প্রেরণার সুউচ্চ মিনার। এখন এই অশান্ত জনপদকে বদলে দেয়ার চ্যালেঞ্জ সমাজের নরখাদকদের মুখে এক প্রচণ্ড চাপেটাঘাত। সেই আঘাত হেনেই কাক্সিত বিজয় ছিনিয়ে আনাই হোক আজকের শপথ।
লেখক : ছাত্রনেতা
ক্ষমতালিপ্সুদের হিংস্র থাবায় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রক্তরঞ্জিত হলো রাজধানীর কালো পিচঢালা রাজপথ। লাঠি-বৈঠার আঘাতে ও লাশের ওপর নর্দন-কুর্তন করে সত্যের সেনানীদের চিরতরে নিঃশেষ করে দেয়াই ছিল তাদের টার্গেট। সে দিন নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও আনুগত্যের পরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে জীবন উৎসর্গ করল সাহসী কর্মীরা। কেউ পিছু হটেনি। মিডিয়ার সুবাদে হায়েনাদের বীভৎসতা, নীচতা ও পাশবিকতা প্রত্যক্ষ করল বিশ্বমানবতা। শহীদ ও আহতদের রাজপথে রেখে এক মুহূর্তের জন্য পিছপা হলো না আন্দোলনের সাথীরা। এ যেন কারবালার আরেক নিষ্ঠুর প্রান্তর। ভাইয়ের সামনে ভাইয়ের লাশ। বছর ঘুরে ২৮ অক্টোবর আসে। আজ প্রতিবাদী কর্মীদের কাছে ২৮ অক্টোবর প্রেরণার সুউচ্চ মিনার। যদিও বা ক্ষমতালিপ্সুরা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার লালসায় বাংলার জমিনে এখন ক্ষণে ক্ষণে ঘটিয়ে চলছে নতুন নতুন ২৮ অক্টোবর।
আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা দাবি করে। অথচ তারা বলে এক রকম, করে অন্য রকম। নেতাদের নেতৃত্বে ক্যাডাররা সে দিন ভয়াল নগ্ন চেহারা প্রদর্শন করেছিল। শান্তিপূর্ণ সভায় লগি-বৈঠাবাহিনীর নেতৃত্বে বিনা উসকানিতে হামলা ও দখলের চেষ্টা চলে। তাদের গতিবিধি, আচরণে দেশবাসীর কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছিল যে, এটা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। চোরাপথে ক্ষমতায় আসার ডিজিটাল নাটকের মঞ্চায়ন।
পাতানো নির্বাচনের মাধমে কুৎসিত ফ্যাসিবাদীদের চেহারা আবার প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নানা অভিযোগে দমনের ভয়ঙ্কর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সত্যপন্থীদের জীবন দিয়ে হলেও আন্দোলনের সুরক্ষার জন্য মরিয়াভাব দেখে দিশেহারা হয়ে তারা আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে।
২৮ অক্টোবরের শহীদ ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্বজনেরা খুনিদের বিচারের অপেক্ষায় আছেন। যাদের নির্দেশে একটা শান্ত জনপদ অশান্ত হয়ে গেল, সামাজিক সম্প্রীতি খানখান হয়ে গেল, দেশের অভ্যন্তরে ঐক্যের পরিবর্তে বিভেদের কালো মেঘ হানা দিলো, কে না চায় তাদের বিচার? বিচারের প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ। প্রকৃত অপরাধীদের বিচার বাংলার জমিনে হবেই ইনশাআল্লাহ।
আজ দেশবাসী শঙ্কিত। তারা জানে না আরো কত ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। ৫ মে ২০১৩ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকায় মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ আহ্বান করে হেফাজত। সে দিন ৬ মে রাতের আঁধারে ফ্যাসিস্ট সরকার সত্যানুসন্ধানী মিডিয়াগুলোর সম্প্রচার বন্ধ ও লাইট বন্ধ করে দিয়ে ঘুমন্ত, ইবাদতরত কান্ত মুসাফির আলেম-ওলামাদের ওপর এক নারকীয় আক্রমণ পরিচালনা করে। সে গণহত্যার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো সরকার জনগণের কাছে উপস্থাপন করতে পারেনি। এভাবে আরো অনেক ঘটনা ফ্যাসিস্ট সরকার একের পর এক ঘটিয়ে চলছে। প্রতিটি ঘটনাই যেন ২৮ অক্টোবরকে হার মানিয়ে নতুন ২৮ অক্টোবর রচনা করছে। ২৮ অক্টোবর আমাদের প্রেরণার সুউচ্চ মিনার। এখন এই অশান্ত জনপদকে বদলে দেয়ার চ্যালেঞ্জ সমাজের নরখাদকদের মুখে এক প্রচণ্ড চাপেটাঘাত। সেই আঘাত হেনেই কাক্সিত বিজয় ছিনিয়ে আনাই হোক আজকের শপথ।
লেখক : ছাত্রনেতা
No comments