পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকা-বেশির ভাগই হাওয়া হয়েছে মূল্য পতনে by আশরাফুল ইসলাম
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্রমান্বয়েই কমে যাচ্ছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকের ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকের মোট শেয়ার ধারণ ছিল মূলধনের ৫৯ শতাংশ, যা বাজারমূল্যে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। গত আগস্টে তা নেমে এসেছে ২৫ হাজার কোটি টাকায়। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, আইনের বাধ্যবাধকতায় কিছু শেয়ার যে দামে কিনেছিল তার চেয়ে কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগই কমেছে শেয়ারের মূল্য পতনের কারণে। তারা জানান, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো লোকসান সমন্বয় করতে বর্তমানে পুঁজিবাজারে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছে না। আবার মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে যে পরিমাণ বিনিয়োগ ছিল পুঁজিবাজারে মন্দার কারণে ওইসব ঋণ দীর্ঘ দিন ধরে আদায় না হওয়ায় তা এখন মন্দ ঋণে পরিণত হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন সংরক্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ দিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লোকসানের ঘানি টানতে হিমশিম খাচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বেশির ভাগ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। ব্যাংকের বিনিয়োগ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের দায় ব্যাংকগুলোকে বহন করতে হচ্ছে। আর লোকসান সমন্বয় করতে ব্যাংকগুলোর নিট লোকসান বেড়ে যাচ্ছে। এতে বছর শেষে লভ্যাংশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ শেয়ার হোল্ডার।
আইনের বাধ্যবাধকতা : জানা গেছে, আগে ব্যাংকগুলো মোট দায়ের ১০ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বা শেয়ার ধারণ করতে পারত। মোট দায় বলতে ব্যাংকগুলো মূলধন বাদে সব সম্পদের মূল্যের যোগফল বোঝানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ব্যাংকগুলোতে পাঁচ লাখ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। সে হিসাবে ২০১০ সালের আগে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে শেয়ার ধারণ করেছিল। কিন্তু ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতনের পর থেকে ব্যাংকগুলোর মূলধন কমতে থাকে। একপর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এরই ফাঁকে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হয়।
সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো এখন পরিশোধিত মূলধন, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি, রিটেইন আর্নিং ও শেয়ার প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্টের সমন্বয়ে যে অর্থ থাকবে তার ২৫ শতাংশের বেশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর এখন মোট সমন্বিত মূলধন রয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে ব্যাংকগুলো শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ ব্যাংকেরই বাড়তি বিনিয়োগ রয়েছে। আইন অনুযায়ী এ বাড়তি বিনিয়োগ ধাপে ধাপে অর্থাৎ আগামী ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। আইন পরিপালনের জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ কমিয়ে নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। আর সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর হাতে সময় রয়েছে পৌনে দুই বছর। অর্থাৎ আগামী ২০১৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই ব্যাংকগুলোকে পর্যায়ক্রমে বাড়তি বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে হবে। আইনের বাধ্যবাধকতায় এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো শিথিল বা ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। কিছু করতে হলে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করতে হবে।
লোকসান সমন্বয় করার চেষ্টা ব্যর্থ : ২০১০ সালের পর থেকে মূল্যপতনের কারণে ক্রমান্বয়ে পুঁজিবাজারে ব্যাংক মূলধন হারাতে থাকে। এ পর্যায়ে ব্যাংক বিভিন্ন সময় নতুন করে শেয়ার কিনে লোকসান সমন্বয় করার চেষ্টা করে। গত বছরের শেষ দিকে প্রায় দুই ডজন ব্যাংক লোকসান সমন্বয় করতে নতুন করে শেয়ার কিনেছিল; কিন্তু আইনের বাধ্যবাধকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়া হয়। পাশাপাশি যেসব ব্যাংক নতুন করে শেয়ার কিনেছিল তাদের আইন অমান্যের দায়ে শোকজ ও জরিমানা করা হয়। এ প্রক্রিয়া থামাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমেই পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ কী পরিমাণ রয়েছে তার প্রতি দিনের তথ্য প্রতি সপ্তাহেই অবহিত করার নির্দেশ দেয়। গত মার্চের দিকে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক দেখতে পায়, কয়েকটি ব্যাংক আগের বিনিয়োগ তো কমায়ইনি, বরং তারা নতুন করে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। অনেক ব্যাংক বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার চেয়ে সাড়ে তিন শ’ থেকে চার শ’ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অনেক ব্যাংকই নতুন করে বিনিয়োগ করেছিল। ইতোমধ্যেই ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ১৫টি ব্যাংককে শোকজ করা হয়েছে। তাদের কয়েকটি উপযুক্ত জবাব দিতে না পারায় ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, আইনের ফাঁদে তারা আটকে গেছেন। কেননা, ব্যাংক ও মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যেসব গ্রাহক বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনেছিল, পুঁজিবাজারের দরপতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় তারা এখন শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। বিক্রি করলে মূলধনের অর্ধেকের বেশি লোকসান দিতে হয়। এ লোকসান সমন্বয় করার জন্য নতুন বিনিয়োগ করার সক্ষমতা নেই গ্রাহকদের। আর আইনের ফাঁদে পড়ে ব্যাংকও নতুন করে বাড়তি বিনিয়োগ করতে পারছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের প্রথম প্রজন্মের একটি ব্যাংকের এমডি জানিয়েছেন, আগে যেখানে একটি ব্যাংক এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারত, এখন ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী দেড় শ’ থেকে দুই শ’ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে পারছে না। অথচ ব্যাংকগুলো আগের নিয়মেই বিনিয়োগ করেছিল। এখন ওই ব্যাংকগুলো বেকায়দায় রয়েছে। এখন নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ পেলে কিছুটা হলেও ব্যাংকগুলো লোকসান সমন্বয় করতে পারত। এতে পুঁজিবাজারেও মূলধন বেড়ে যেত; কিন্তু নতুন করে বিনিয়োগ করলেই জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।
সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লোকসানের ঘানি টানতে হচ্ছে ব্যাংকের : এ দিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লোকসানের ঘানি টানতে হিমশিম খাচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বেশির ভাগ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। ব্যাংকের বিনিয়োগ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের দায় ব্যাংকগুলোকে বহন করতে হচ্ছে। আর লোকসান সমন্বয় করতে ব্যাংকগুলোর নিট লোকসান বেড়ে যাচ্ছে। এতে বছর শেষে লভ্যাংশপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারেরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৯ সালে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়। এ জন্য ব্যাংকগুলোর মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে আলাদা কোম্পানি হিসেবে গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করার আগে ব্যাংকগুলো তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ইচ্ছেমাফিক বিনিয়োগ করেছিল; কিন্তু যখনই মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজকে আলাদা কোম্পানি হিসেবে গঠন করা হয়, তখন প্রতিটি কোম্পানি একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক ঋণগ্রহীতার শর্তের আওতায় চলে আসে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ মূলধনের ১৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রহণ করে; কিন্তু এর আগে ব্যাংকগুলো এক-একটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল পুঁজিবাজারে। ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আলাদা কোম্পানি গঠন হওয়ায় ব্যাংকের বিনিয়োগ এসব কোম্পানির ওপর বর্তায়।
২০১০ সালের শুরু থেকে পুঁজিবাজারের ভয়াবহ দরপতন হতে থাকে। এর প্রভাব পড়ে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ওপর। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালেন্সশিট রিপোর্টিং মার্ক টু মার্কেট ভিত্তিতে করা হয়। অর্থাৎ কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক একটি কোম্পানি শেয়ার ১০০ টাকায় কিনল। দাম কমে তা ৯০ টাকা হলো। নীতিমালা অনুযায়ী ৯০ টাকা আসল এবং ১০ টাকা লোকসান হিসেবে দেখাতে হয়। আর এ লোকসান সমন্বয় করতে হয় ব্যাংকের মুনাফা থেকে। বিভিন্ন ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেরই বর্তমান বিভিন্ন শেয়ারের বাজার দর অনুযায়ী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকৃত অর্থের গড়ে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ হাওয়া হয়ে গেছে। অর্থাৎ তারা যে দরে শেয়ার কিনেছিল ওই দিন বিক্রি করলে সমপরিমাণ অর্থ ফেরত পাবে না। এর মধ্যে এ মুহূর্তে বিক্রি করলে কোনো একটি ব্যাংকের ৫০ শতাংশ লোকসান দিতে হবে। এটা শুধু ব্যাংকের নিজস্ব বিনিয়োগের চিত্র; কিন্তু সামগ্রিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরো খারাপ। দেশের প্রথম প্রজন্মের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংকিং শাখার প্রধান নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের অংশের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যাংকের। গতকাল মঙ্গলবার বাজার দর অনুযায়ী বিক্রি করলে প্রায় ৬৫ শতাংশ লোকসান গুনতে হবে। আর সামগ্রিক পোর্টফলিও বিবেচনায় নিলে প্রায় ৭০ শতাংশ লোকসান হবে। অপর একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থের মধ্যে আড়াই শ’ কোটি টাকাই ব্যাংকের অংশ। এ মুহূর্তে বিক্রি করলে প্রায় ৬৫ শতাংশ লোকসান গুনতে হবে।
তৃতীয় প্রজন্মের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান জানান, তার ব্যাংকের সিকিউরিটিজের মাধ্যমে তারা শেয়ার ধারণ করেছিলেন প্রায় ৫০০ কোটি টাকার; কিন্তু এ মুহূর্তে তা বিক্রি করলে ৩০০ কোটি টাকার ওপর লোকসান দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো মার্চেন্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে যে বিনিয়োগ করেছে বছর শেষে ওই প্রতিষ্ঠান লোকসান দিলে ব্যাংকের মুনাফা দিতে পারবে না। আর এ লোকসানের অংশ প্রভিশন রাখতে হয়। আর প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় ব্যাংকের মুনাফা থেকে। কোনো ব্যাংকের প্রভিশন বা মূলধন ঘাটতি থাকলে নীতিমালা অনুযায়ী ওই ব্যাংক তার শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিতে পারে না। আর প্রভিশন সংরক্ষণের পর যে অংশ বাকি থাকবে তার ওপর লভ্যাংশ দিতে পারবে। এতে কমে যাচ্ছে ব্যাংকের নিট মুনাফার পরিমাণ।
নতুন বিনিয়োগের জন্য দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে ব্যাংকগুলোর : বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের মতে, এমনিতেই ব্যাংকগুলোর হাতে বাড়তি শেয়ার রয়েছে। এগুলো সমন্বয় করা ছাড়া নতুন শেয়ার কিনতে বা ধারণ করতে পারবে না। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে আগামী ২০১৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এর মধ্যে কোনো ব্যাংক তার ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি করলে অর্থাৎ মূলধনের ২৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনলে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারবে। তবে এটা ব্যাংকগুলোর জন্য আরো লোকসানদায়ক হবে। তবে বিক্রি না করলেও আগামী ২০১৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যে বেশির ভাগ শেয়ার সমন্বয় হয়ে যাবে। কারণ এ সময়ে ব্যাংকগুলোর মূলধন বাড়বে। গত আগস্ট শেষে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর মোট শেয়ার রয়েছে মূলধনের ৪৬ শতাংশ। তার ধারণা, আগামী দুই বছরের মধ্যে মূলধন বেড়ে তা ৩০ শতাংশে নেমে আসবে। সে ক্ষেত্রে তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ বাড়তি শেয়ার বিক্রি করতে হবে।
আইনের বাধ্যবাধকতা : জানা গেছে, আগে ব্যাংকগুলো মোট দায়ের ১০ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বা শেয়ার ধারণ করতে পারত। মোট দায় বলতে ব্যাংকগুলো মূলধন বাদে সব সম্পদের মূল্যের যোগফল বোঝানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ব্যাংকগুলোতে পাঁচ লাখ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। সে হিসাবে ২০১০ সালের আগে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে শেয়ার ধারণ করেছিল। কিন্তু ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতনের পর থেকে ব্যাংকগুলোর মূলধন কমতে থাকে। একপর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এরই ফাঁকে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হয়।
সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো এখন পরিশোধিত মূলধন, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি, রিটেইন আর্নিং ও শেয়ার প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্টের সমন্বয়ে যে অর্থ থাকবে তার ২৫ শতাংশের বেশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর এখন মোট সমন্বিত মূলধন রয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে ব্যাংকগুলো শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ ব্যাংকেরই বাড়তি বিনিয়োগ রয়েছে। আইন অনুযায়ী এ বাড়তি বিনিয়োগ ধাপে ধাপে অর্থাৎ আগামী ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। আইন পরিপালনের জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ কমিয়ে নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। আর সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর হাতে সময় রয়েছে পৌনে দুই বছর। অর্থাৎ আগামী ২০১৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই ব্যাংকগুলোকে পর্যায়ক্রমে বাড়তি বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে হবে। আইনের বাধ্যবাধকতায় এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো শিথিল বা ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। কিছু করতে হলে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করতে হবে।
লোকসান সমন্বয় করার চেষ্টা ব্যর্থ : ২০১০ সালের পর থেকে মূল্যপতনের কারণে ক্রমান্বয়ে পুঁজিবাজারে ব্যাংক মূলধন হারাতে থাকে। এ পর্যায়ে ব্যাংক বিভিন্ন সময় নতুন করে শেয়ার কিনে লোকসান সমন্বয় করার চেষ্টা করে। গত বছরের শেষ দিকে প্রায় দুই ডজন ব্যাংক লোকসান সমন্বয় করতে নতুন করে শেয়ার কিনেছিল; কিন্তু আইনের বাধ্যবাধকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়া হয়। পাশাপাশি যেসব ব্যাংক নতুন করে শেয়ার কিনেছিল তাদের আইন অমান্যের দায়ে শোকজ ও জরিমানা করা হয়। এ প্রক্রিয়া থামাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমেই পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ কী পরিমাণ রয়েছে তার প্রতি দিনের তথ্য প্রতি সপ্তাহেই অবহিত করার নির্দেশ দেয়। গত মার্চের দিকে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক দেখতে পায়, কয়েকটি ব্যাংক আগের বিনিয়োগ তো কমায়ইনি, বরং তারা নতুন করে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। অনেক ব্যাংক বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার চেয়ে সাড়ে তিন শ’ থেকে চার শ’ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অনেক ব্যাংকই নতুন করে বিনিয়োগ করেছিল। ইতোমধ্যেই ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ১৫টি ব্যাংককে শোকজ করা হয়েছে। তাদের কয়েকটি উপযুক্ত জবাব দিতে না পারায় ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, আইনের ফাঁদে তারা আটকে গেছেন। কেননা, ব্যাংক ও মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যেসব গ্রাহক বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনেছিল, পুঁজিবাজারের দরপতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় তারা এখন শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। বিক্রি করলে মূলধনের অর্ধেকের বেশি লোকসান দিতে হয়। এ লোকসান সমন্বয় করার জন্য নতুন বিনিয়োগ করার সক্ষমতা নেই গ্রাহকদের। আর আইনের ফাঁদে পড়ে ব্যাংকও নতুন করে বাড়তি বিনিয়োগ করতে পারছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের প্রথম প্রজন্মের একটি ব্যাংকের এমডি জানিয়েছেন, আগে যেখানে একটি ব্যাংক এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারত, এখন ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী দেড় শ’ থেকে দুই শ’ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে পারছে না। অথচ ব্যাংকগুলো আগের নিয়মেই বিনিয়োগ করেছিল। এখন ওই ব্যাংকগুলো বেকায়দায় রয়েছে। এখন নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ পেলে কিছুটা হলেও ব্যাংকগুলো লোকসান সমন্বয় করতে পারত। এতে পুঁজিবাজারেও মূলধন বেড়ে যেত; কিন্তু নতুন করে বিনিয়োগ করলেই জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।
সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লোকসানের ঘানি টানতে হচ্ছে ব্যাংকের : এ দিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লোকসানের ঘানি টানতে হিমশিম খাচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বেশির ভাগ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। ব্যাংকের বিনিয়োগ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের দায় ব্যাংকগুলোকে বহন করতে হচ্ছে। আর লোকসান সমন্বয় করতে ব্যাংকগুলোর নিট লোকসান বেড়ে যাচ্ছে। এতে বছর শেষে লভ্যাংশপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারেরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৯ সালে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়। এ জন্য ব্যাংকগুলোর মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে আলাদা কোম্পানি হিসেবে গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করার আগে ব্যাংকগুলো তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ইচ্ছেমাফিক বিনিয়োগ করেছিল; কিন্তু যখনই মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজকে আলাদা কোম্পানি হিসেবে গঠন করা হয়, তখন প্রতিটি কোম্পানি একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক ঋণগ্রহীতার শর্তের আওতায় চলে আসে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ মূলধনের ১৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রহণ করে; কিন্তু এর আগে ব্যাংকগুলো এক-একটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল পুঁজিবাজারে। ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আলাদা কোম্পানি গঠন হওয়ায় ব্যাংকের বিনিয়োগ এসব কোম্পানির ওপর বর্তায়।
২০১০ সালের শুরু থেকে পুঁজিবাজারের ভয়াবহ দরপতন হতে থাকে। এর প্রভাব পড়ে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ওপর। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালেন্সশিট রিপোর্টিং মার্ক টু মার্কেট ভিত্তিতে করা হয়। অর্থাৎ কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক একটি কোম্পানি শেয়ার ১০০ টাকায় কিনল। দাম কমে তা ৯০ টাকা হলো। নীতিমালা অনুযায়ী ৯০ টাকা আসল এবং ১০ টাকা লোকসান হিসেবে দেখাতে হয়। আর এ লোকসান সমন্বয় করতে হয় ব্যাংকের মুনাফা থেকে। বিভিন্ন ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেরই বর্তমান বিভিন্ন শেয়ারের বাজার দর অনুযায়ী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকৃত অর্থের গড়ে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ হাওয়া হয়ে গেছে। অর্থাৎ তারা যে দরে শেয়ার কিনেছিল ওই দিন বিক্রি করলে সমপরিমাণ অর্থ ফেরত পাবে না। এর মধ্যে এ মুহূর্তে বিক্রি করলে কোনো একটি ব্যাংকের ৫০ শতাংশ লোকসান দিতে হবে। এটা শুধু ব্যাংকের নিজস্ব বিনিয়োগের চিত্র; কিন্তু সামগ্রিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরো খারাপ। দেশের প্রথম প্রজন্মের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংকিং শাখার প্রধান নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের অংশের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যাংকের। গতকাল মঙ্গলবার বাজার দর অনুযায়ী বিক্রি করলে প্রায় ৬৫ শতাংশ লোকসান গুনতে হবে। আর সামগ্রিক পোর্টফলিও বিবেচনায় নিলে প্রায় ৭০ শতাংশ লোকসান হবে। অপর একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থের মধ্যে আড়াই শ’ কোটি টাকাই ব্যাংকের অংশ। এ মুহূর্তে বিক্রি করলে প্রায় ৬৫ শতাংশ লোকসান গুনতে হবে।
তৃতীয় প্রজন্মের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান জানান, তার ব্যাংকের সিকিউরিটিজের মাধ্যমে তারা শেয়ার ধারণ করেছিলেন প্রায় ৫০০ কোটি টাকার; কিন্তু এ মুহূর্তে তা বিক্রি করলে ৩০০ কোটি টাকার ওপর লোকসান দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো মার্চেন্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে যে বিনিয়োগ করেছে বছর শেষে ওই প্রতিষ্ঠান লোকসান দিলে ব্যাংকের মুনাফা দিতে পারবে না। আর এ লোকসানের অংশ প্রভিশন রাখতে হয়। আর প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় ব্যাংকের মুনাফা থেকে। কোনো ব্যাংকের প্রভিশন বা মূলধন ঘাটতি থাকলে নীতিমালা অনুযায়ী ওই ব্যাংক তার শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিতে পারে না। আর প্রভিশন সংরক্ষণের পর যে অংশ বাকি থাকবে তার ওপর লভ্যাংশ দিতে পারবে। এতে কমে যাচ্ছে ব্যাংকের নিট মুনাফার পরিমাণ।
নতুন বিনিয়োগের জন্য দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে ব্যাংকগুলোর : বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের মতে, এমনিতেই ব্যাংকগুলোর হাতে বাড়তি শেয়ার রয়েছে। এগুলো সমন্বয় করা ছাড়া নতুন শেয়ার কিনতে বা ধারণ করতে পারবে না। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে আগামী ২০১৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এর মধ্যে কোনো ব্যাংক তার ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি করলে অর্থাৎ মূলধনের ২৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনলে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারবে। তবে এটা ব্যাংকগুলোর জন্য আরো লোকসানদায়ক হবে। তবে বিক্রি না করলেও আগামী ২০১৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যে বেশির ভাগ শেয়ার সমন্বয় হয়ে যাবে। কারণ এ সময়ে ব্যাংকগুলোর মূলধন বাড়বে। গত আগস্ট শেষে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর মোট শেয়ার রয়েছে মূলধনের ৪৬ শতাংশ। তার ধারণা, আগামী দুই বছরের মধ্যে মূলধন বেড়ে তা ৩০ শতাংশে নেমে আসবে। সে ক্ষেত্রে তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ বাড়তি শেয়ার বিক্রি করতে হবে।
No comments