চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের জন্য আঞ্চলিক রেলকরিডোর হচ্ছে by হামিদ সরকার
ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং উপআঞ্চলিক
রেলওয়ে করিডোরের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরকে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ব্যবহারের
সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এই জন্য আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার
রেলপথকে ডুয়েল গেজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য এশীয় উন্নয়ন
ব্যাংক (এডিবি) ও ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) কাছে পাঁচ হাজার
৭৪৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ চাওয়া হয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন বাংলাদেশ রেলের নেটওয়ার্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই অংশটি ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং উপআঞ্চলিক রেলওয়ে করিডোরের একটি বড় অংশ। এ উপঅঞ্চলের পরিবহন ও ট্রান্স-শিপমেন্টের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সীমান্তে রয়েছে ভারত ও মিয়ানমার এবং ল্যান্ডলকড দেশ ভুটান ও নেপাল। যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোর দিয়ে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশকে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন সুবিধা প্রদান করতে পারে। এতে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ বৃহৎ আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোরে অবস্থিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোরে আখাউড়া-লাকসাম সেকশনটিই একমাত্র সিঙ্গেল লাইন, যা রেলওয়ে করিডোরে অভ্যন্তরীণ, উপআঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগের একমাত্র সীমাবদ্ধতা হয়ে দাঁড়াবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৮৩০ কোটি ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। যার মধ্যে এডিবির অর্থায়নের পরিমাণ হলো তিন হাজার ৫০২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক থেকে এক হাজার ৩৫৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়ার কথা। বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়ন করবে এক হাজার ৮১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেষ হওয়ার কথা।
পরিকল্পনা কমিশনের রেল পরিবহন উইং সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের চাহিদা মেটানোর জন্য অবিচ্ছিন্ন ডাবল লাইন একান্ত জরুরি। টঙ্গী-ভৈরব বাজার এবং লাকসাম-চিনকি আস্তানা সেকশনে ডাবল লাইন নির্মাণকাজ চলমান আছে। রেল করিডোর করতে হলে লাইনটি দিয়ে দীর্ঘতর ট্রেন অধিকতর গতিতে চলাচল করার সক্ষম হতে হবে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরো সেকশনে ৭৫ পাউন্ড এ রেল স্থাপিত রয়েছে। নতুন প্রস্তাবনায় প্রকল্পের জন্য ৬০ কেজি এবং ৯০ পাউন্ড এ রেল সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু চলতি বছরের ১২ অক্টোবরে জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের সব বিজি বা ডিজি নতুন রেলপথ নির্মাণ বা পুনর্বাসনের কাজে ৬০ কেজি রেল ব্যবহৃত হবে। পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মূলত উপআঞ্চলিক রেল করিডোর করতেই এই প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এতে করে করিডোর থেকে ভারত লাভবান হবে। আশুগঞ্জ দিয়ে নদী পথে ভারত করিডোর নেয়ার পর এখন রেলপথে তার সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন বাংলাদেশ রেলের নেটওয়ার্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই অংশটি ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং উপআঞ্চলিক রেলওয়ে করিডোরের একটি বড় অংশ। এ উপঅঞ্চলের পরিবহন ও ট্রান্স-শিপমেন্টের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সীমান্তে রয়েছে ভারত ও মিয়ানমার এবং ল্যান্ডলকড দেশ ভুটান ও নেপাল। যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোর দিয়ে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশকে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন সুবিধা প্রদান করতে পারে। এতে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ বৃহৎ আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোরে অবস্থিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোরে আখাউড়া-লাকসাম সেকশনটিই একমাত্র সিঙ্গেল লাইন, যা রেলওয়ে করিডোরে অভ্যন্তরীণ, উপআঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগের একমাত্র সীমাবদ্ধতা হয়ে দাঁড়াবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৮৩০ কোটি ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। যার মধ্যে এডিবির অর্থায়নের পরিমাণ হলো তিন হাজার ৫০২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক থেকে এক হাজার ৩৫৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়ার কথা। বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়ন করবে এক হাজার ৮১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেষ হওয়ার কথা।
পরিকল্পনা কমিশনের রেল পরিবহন উইং সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের চাহিদা মেটানোর জন্য অবিচ্ছিন্ন ডাবল লাইন একান্ত জরুরি। টঙ্গী-ভৈরব বাজার এবং লাকসাম-চিনকি আস্তানা সেকশনে ডাবল লাইন নির্মাণকাজ চলমান আছে। রেল করিডোর করতে হলে লাইনটি দিয়ে দীর্ঘতর ট্রেন অধিকতর গতিতে চলাচল করার সক্ষম হতে হবে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরো সেকশনে ৭৫ পাউন্ড এ রেল স্থাপিত রয়েছে। নতুন প্রস্তাবনায় প্রকল্পের জন্য ৬০ কেজি এবং ৯০ পাউন্ড এ রেল সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু চলতি বছরের ১২ অক্টোবরে জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের সব বিজি বা ডিজি নতুন রেলপথ নির্মাণ বা পুনর্বাসনের কাজে ৬০ কেজি রেল ব্যবহৃত হবে। পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মূলত উপআঞ্চলিক রেল করিডোর করতেই এই প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এতে করে করিডোর থেকে ভারত লাভবান হবে। আশুগঞ্জ দিয়ে নদী পথে ভারত করিডোর নেয়ার পর এখন রেলপথে তার সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে।
No comments