লিঙ্গ বৈষম্যের ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশে
লিঙ্গবৈষম্যের ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে
বাংলাদেশের। গতকাল জেনেভা ভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশিত বার্ষিক
জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স-২০১৪ তে এমনটাই দেখা গেছে। মোট ১৪২টি দেশের ওপর ওই
সংস্থা জরিপ পরিচালনা করে। তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮তম। আগের বছর তা ছিল
৭৫ নম্বরে। তবে সে বছর জরিপ করা হয়েছিল ১৩৬টি দেশের ওপর। এবার এ সূচকে
ভারতের অবস্থান ১১৪ নম্বর অবস্থানে। আগের বছর তা ছিল ১০১ নম্বরে। সূচকে
শীর্ষ ৫টি দেশ হলো যথাক্রমে আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন ও
ডেনমার্ক। এতে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের অবস্থান ১২৭ নম্বরে। শিক্ষায় ১১১ নম্বরে। স্বাস্থ্য সেবায় ১২২
নম্বর অবস্থানে। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ রয়েছে ১০ নম্বরে। আগের বছর তা
ছিল ৭ নম্বর অবস্থানে। পার্লামেন্টে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ৭৫ নম্বর
অবস্থানে বাংলাদেশ। মন্ত্রী পর্যায়ে নারীর অবস্থানের দিক দিয়ে বাংলাদেশ
১২২তম। এতে বলা হয়েছে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান
৯৪ তম। একই রকম কাজে সমান মজুরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ১০৫ নম্বরে। অনুমিত
আয়ের পরিমাণের দিক দিয়ে ১২২তম অবস্থানে। ওই সূচকে শিক্ষিতের হারের দিক দিয়ে
বাংলাদেশ রয়েছে ১০৯ নম্বর অবস্থানে। তবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায়
শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ওই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে বেতন বৈষম্য
কমিয়ে আনা ও রাজনৈতিক পদে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রসহ মোট তিনটি ক্ষেত্রে
২০তম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ তালিকায় দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ চীন ও
ব্রাজিল রয়েছে ৮৭তম ও ৭১তম অবস্থানে। সে হিসেবে ভারত তাদের অনেক পিছনে
রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস
শওয়াব এক বিবৃতিতে বলেছেন, অর্থনৈতিক কারণে লিঙ্গ বৈষম্য শূন্য করে দেয়া
অত্যন্ত প্রয়োজন। যেসব দেশের অর্থনীতি তাদের সব মেধাবীর জন্য সমান
সহজপ্রাপ্য তারা তত বেশি প্রতিযোগিতামূলক ও উন্নয়নশীল। ওই তালিকায় ইয়েমেন
রয়েছে ১৪২ তম অবস্থানে। পাকিস্তান ১৪১, চাদ ১৪০ নম্বর অবস্থানে। উল্লেখ্য,
১৪২টি দেশের মধ্যে সম্পন্ন এ জরিপে সবার তলায় পড়ে আছে ইয়েমেন। অর্থাৎ
সেখানে নারী ও পুরুষে বৈষম্য সবচেয়ে বেশি।
No comments