স্বস্তিকার চুম্বনে স্তম্ভিত সুশান্ত সিং রাজপুত
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে চুম্বনে
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এমনভাবে আবদ্ধ করেছেন যে, রাজপুত রীতিমত
চমকে গিয়েছেন। স্বস্তিকা কোন জড়তা না রেখেই রাজপুতকে এভাবে যে ঠোঁটে
চুম্বন করবেন সেটা রাজপুত ভাবতেও পারেননি। এই চুম্বন দৃশ্যটি দেখা যাবে
হিন্দিতে তৈরি দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সি’তে।
পরিচালক নিজেই জানিয়েছেন, চুম্বনের বিষয়টি অভিনেতা রাজপুতকে জানানোই হয়নি।
একমাত্র জানতেন স্বস্তিকা। আর চুম্বনের ব্যাপারে স্বস্তিকার কোন দ্বিধা ছিল
না। ফলে পরিচালক যা চেয়েছিলেন তাই পেয়েছেন। দিবাকর বলেছেন, দৃশ্যটি
চুম্বনের চেয়ে বেশি কিছু। দৃশ্যটি প্রতারণা, ষড়যন্ত্র এবং খুন নিয়ে আর আমার
সেই বেশি কিছুর প্রয়োজন ছিল, সেই বিস্ময়ের উপাদান যা সবাইকে চমকে দেবে।
যেমন মহড়া হয়েছিল সেভাবেই দৃশ্যটি ধারণ করা হলো। কোন বিস্ময়ের কিছু ছিল না!
ছয়টি টেক হলো, আটটি টেক হলো, একই ঘটনা ঘটলো। আমি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।
তারপর বিষয়টি আমার মাথায় আসে। অভিনেত্রী স্বস্তিকাকে বলি সুশান্তকে না
জানিয়ে হঠাৎ চুমু খেতে। এবার যখন দৃশ্য ধারণের কাজ শুরু করি স্বস্তিকা
কথামতো সুশান্তের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে এমনভাবে চুমু খেয়েছিল যে গোটা ইউনিট
স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সুশান্তও স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। তবে সে তখন নিজেকে
সামলে নিলেও পরে রাগ প্রকাশ করতে ছাড়েনি। তবে শেষ পর্যন্ত দৃশ্যটি দেখে সব
মেনে নেয় সুশান্ত। আর পরিচালকও যেমন চেয়েছিলেন সেভাবেই প্রাণ পেয়েছে
দৃশ্যটি। দিবাকর জানান, তারা দু’জনই তখন একে অন্যের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে
তাকাচ্ছিলÑ যেহেতু তারা বুঝে উঠতে পারছিল না অন্যজন এখন কি করবে। ফলে
অবিশ্বাস, সন্দেহ ও টানাপড়েন খুব কাজে দিয়েছে। লেখক শরদিন্দু
বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সির কাহিনী প্রথমবারের
মতো হিন্দি সিনেমার বড়পর্দায় আনছেন দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়। চল্লিশ দশকের
কলকাতার পটভূমিতে গড়ে উঠেছে ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সি’র গল্প। যশরাজ
ফিল্মসের ব্যানারে নির্মাণ হয়েছে ছবিটি।
No comments