ক্যান্সার শনাক্তে ‘ন্যানো-বড়ি’ উদ্ভাবনে কাজ করছে গুগল
গুগল মানুষের বাড়ি, গাড়ি, হাতের কব্জি
(গুগল ঘড়ি) থেকে শুরু করে সর্বত্র স্থান করে নিয়েছে। পৃথিবীজুড়ে চলছে
গুগলের এ আগ্রাসন। তবে এ আগ্রাসন পৃথিবীকে প্রতি মিনিটেই ইতিবাচকভাবে বদলে
দিচ্ছে এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অভাবনীয় বিপ্লব ঘটে চলেছে। আমাদের
দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এখন গুগল। সেই গুগল অচিরেই আমাদের শরীরের
ভিতরেও প্রবেশ করতে চলেছে। গুগল এক্স এমন একটি বড়ি উদ্ভাবন করছে, যার মধ্যে
ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক ন্যানো প্রযুক্তি, যা শরীরের বাইরের অংশে
পরিহিত কোন ডিভাইসের সঙ্গে ক্যান্সারসহ বেশ কয়েকটি রোগের প্রাথমিক উপসর্গ
শনাক্তে কাজ করবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দৈনিক সংবাদপত্র টেলিগ্রাফের একটি
প্রতিবেদনে সে রকমটাই বলা হচ্ছে। গুগল এক্স এরই মধ্যে স্ব-চালিত গাড়ি
উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজ করছে। অর্থাৎ, কোন চালক ছাড়া নিজেই চলবে গাড়িটি।
গুগল-কার তৈরি করা ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গ্যাজেট উদ্ভাবনে নিরলস
পরিশ্রম করে চলেছেন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। ওষুধের আকৃতিতে তৈরি
করা বিশেষ এ বড়িটি আয়রন-অক্সাইডের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ন্যানো-কণিকায় পূর্ণ,
যা মানুষের রক্তপ্রবাহের সঙ্গে মিশে যায় এবং ক্যান্সারের টিউমার কোষ সৃষ্টি
হওয়ার সময়ই শনাক্ত করতে পারে। সারা শরীরের ঘুরে বেড়ানো আক্রান্ত কোষগুলোকে
রঙিনভাবে উপস্থাপন করবে বিশেষ এ প্রযুক্তি, যাতে সেগুলোকে অতি সহজেই
পৃথকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ন্যানো কণিকাগুলোতে চুম্বকত্ব থাকায় কব্জিতে
চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টিকারী কোন ডিভাইস পরলে, কণিকাগুলো ওই স্থানে জড়ো হয়
এবং সঙ্গে আক্রান্ত কোষগুলোকেও শনাক্ত ও গণনা করা সম্ভব হয়। ন্যানো
কণিকাগুলো কোষগুলোকে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে, ওষুধ প্রয়োগ করে না।
অর্থাৎ, রোগে আক্রান্ত কোষ শনাক্ত করাই এর মূল কাজ। গুগল বড়িটি উদ্ভাবনের
কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আরও অন্তত ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে বড়িটির
জন্য। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, ন্যানো প্রযুক্তি চিকিৎসা বিজ্ঞানকে
বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
No comments