যুদ্ধাপরাধ বিচারবিরোধী শক্তি অর্থনৈতিক অর্জন বাধাগ্রস্ত করছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত by এম শাহজাহান
প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল। ঘোষিত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস
হওয়ার আগেই হরতাল ডেকেছে জামায়াত-শিবির চক্র। শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী আবুল
মাল আবদুল মুহিতের আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে।
বাজেট বক্তৃতায়
তিনি অকপটে বলেছেন, একটা কথা দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে বরাবরের মতো এবারও
আমাদের অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করতে মাঠে নেমেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারবিরোধী
উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি।
তাঁদের সর্বনাশা বিধ্বংসী কর্মকা-ে দেশের গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন হয়। হঠকারী এসব রাজনৈতিক কর্মসূচীর কারণে দেশের অর্থনীতির ওপর প্রায় জমে যায় কালো মেঘের ছায়া। তবে মনে হচ্ছে নৈরাজ্য সৃষ্টির এই প্রচেষ্টা বাধা পেয়েছে। বাজেট-পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনেও অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা শক্তি দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায়।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার ইস্যুতে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে সেটির হয়ত সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে। কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। এই বিচার ঠেকাতে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তাদের সমস্ত শক্তি ব্যয় করছে। তাদের সমর্থন দিচ্ছে বিরোধী দল বিএনপি। জামায়াত-শিবিরের ওপর থেকে বিএনপির সমর্থন উঠিয়ে নেয়াও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারকে এ চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হচ্ছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে লিপ্ত হচ্ছে জামায়াত-শিবির। কিন্তু হরতাল কর্মসূচী শেষ পর্যন্ত দেশে সফল হবে না। অর্থনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ কর্মসূচীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে দলীয় মতভেদ থাকলেও এই একটি মাত্র ইস্যুতে তাঁরা এক জায়গায় আসতে পেরেছেন। দেশের কোন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা এমনকি সাধারণ মানুষও হরতাল চায় না। ফলে ধ্বংসাত্মক এ কর্মসূচী ভবিষ্যতে আর সফল হবে না। আর তাই বরাবরের মতো এবারো জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করবে। কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধ আগামীর পথে, রূপকল্প ২০২১-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে।
এদিকে, সরকারী-বেসররকারী খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। দেশের দারিদ্র্য কমেছে দ্রুততার সঙ্গে, হ্রাস পেয়েছে আয় বৈষম্য। নিরক্ষতা কমেছে, শিক্ষার মানোন্নয়ন হয়েছে, উন্নতি হয়েছে জনস্বাস্থ্যের। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি এগিয়েছে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য। একটি উন্নত তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রেও দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ সাফল্যের স্বীকৃতি মিলেছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে। কিন্তু অর্থনীতির এসব জায়গা হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অর্থনীতির সব সূচকে আঘাত করছে হরতাল এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
শুধু তাই নয়, সরকারের আয়ের প্রধান উৎস রাজস্ব আদায়েও চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছেন, হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা তা বাধাগ্রস্ত হবে। অথচ গত তিন বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চলতি মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় সামান্য পিছিয়ে থাকলেও সামনের মাসগুলোতে তা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এনবিআরও আশঙ্কা করে বলেছে, উপর্যুপরি হরতালসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাতময় পরিস্থিতি রাজস্ব আহরণসহ সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে।
জানা গেছে, প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মেদ জনকণ্ঠকে বলেন, এফবিসিসিআই কখনও হরতালের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম সমর্থন করে না। এর আগেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অর্থনীতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই দেশের স্বার্থে হরতাল না করে এর বিকল্প কর্মসূচী দেয়া উচিত। এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের পক্ষ থেকে হরতালের বিকল্প কর্মসূচী নির্ধারণে রাজনৈতিকদলগুলোকে অনুরোধ জানালেও তারা তা আমলে নিচ্ছে না। কয়েকবার ব্যবসায়ীরা সংলাপের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে তা সফল হয়নি। কোন কিছু হলেই হরতাল দেয়া হচ্ছে। এভাবে একটি দেশের অর্থনীতি সুরক্ষা করা যায় না।
জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের আরেক পরিচালক বলেন, জামায়াত-শিবির ইস্যুটি সম্পর্ণ ভিন্ন। এখানে আলোচনা কিংবা ব্যবসায়ীদের কোন কিছু করার সুযোগ নেই। যুদ্ধাপরাধী ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপকর্মের বিচার চলছে। এখানে সব কিছু হচ্ছে বিচারিক প্রক্রিয়ায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাকিস্তানী দোসর এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের বিচার হচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোন সংলাপ হতে পারে না। তবে ওই দলটির ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী বন্ধে দু’দলের মধ্যে আলোচনা হলেও হতে পারে।
তাঁদের সর্বনাশা বিধ্বংসী কর্মকা-ে দেশের গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন হয়। হঠকারী এসব রাজনৈতিক কর্মসূচীর কারণে দেশের অর্থনীতির ওপর প্রায় জমে যায় কালো মেঘের ছায়া। তবে মনে হচ্ছে নৈরাজ্য সৃষ্টির এই প্রচেষ্টা বাধা পেয়েছে। বাজেট-পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনেও অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা শক্তি দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায়।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার ইস্যুতে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে সেটির হয়ত সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে। কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। এই বিচার ঠেকাতে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তাদের সমস্ত শক্তি ব্যয় করছে। তাদের সমর্থন দিচ্ছে বিরোধী দল বিএনপি। জামায়াত-শিবিরের ওপর থেকে বিএনপির সমর্থন উঠিয়ে নেয়াও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারকে এ চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হচ্ছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে লিপ্ত হচ্ছে জামায়াত-শিবির। কিন্তু হরতাল কর্মসূচী শেষ পর্যন্ত দেশে সফল হবে না। অর্থনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ কর্মসূচীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে দলীয় মতভেদ থাকলেও এই একটি মাত্র ইস্যুতে তাঁরা এক জায়গায় আসতে পেরেছেন। দেশের কোন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা এমনকি সাধারণ মানুষও হরতাল চায় না। ফলে ধ্বংসাত্মক এ কর্মসূচী ভবিষ্যতে আর সফল হবে না। আর তাই বরাবরের মতো এবারো জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করবে। কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধ আগামীর পথে, রূপকল্প ২০২১-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে।
এদিকে, সরকারী-বেসররকারী খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। দেশের দারিদ্র্য কমেছে দ্রুততার সঙ্গে, হ্রাস পেয়েছে আয় বৈষম্য। নিরক্ষতা কমেছে, শিক্ষার মানোন্নয়ন হয়েছে, উন্নতি হয়েছে জনস্বাস্থ্যের। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি এগিয়েছে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য। একটি উন্নত তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রেও দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ সাফল্যের স্বীকৃতি মিলেছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে। কিন্তু অর্থনীতির এসব জায়গা হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অর্থনীতির সব সূচকে আঘাত করছে হরতাল এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
শুধু তাই নয়, সরকারের আয়ের প্রধান উৎস রাজস্ব আদায়েও চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছেন, হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা তা বাধাগ্রস্ত হবে। অথচ গত তিন বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চলতি মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় সামান্য পিছিয়ে থাকলেও সামনের মাসগুলোতে তা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এনবিআরও আশঙ্কা করে বলেছে, উপর্যুপরি হরতালসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাতময় পরিস্থিতি রাজস্ব আহরণসহ সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে।
জানা গেছে, প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মেদ জনকণ্ঠকে বলেন, এফবিসিসিআই কখনও হরতালের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম সমর্থন করে না। এর আগেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অর্থনীতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই দেশের স্বার্থে হরতাল না করে এর বিকল্প কর্মসূচী দেয়া উচিত। এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের পক্ষ থেকে হরতালের বিকল্প কর্মসূচী নির্ধারণে রাজনৈতিকদলগুলোকে অনুরোধ জানালেও তারা তা আমলে নিচ্ছে না। কয়েকবার ব্যবসায়ীরা সংলাপের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে তা সফল হয়নি। কোন কিছু হলেই হরতাল দেয়া হচ্ছে। এভাবে একটি দেশের অর্থনীতি সুরক্ষা করা যায় না।
জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের আরেক পরিচালক বলেন, জামায়াত-শিবির ইস্যুটি সম্পর্ণ ভিন্ন। এখানে আলোচনা কিংবা ব্যবসায়ীদের কোন কিছু করার সুযোগ নেই। যুদ্ধাপরাধী ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপকর্মের বিচার চলছে। এখানে সব কিছু হচ্ছে বিচারিক প্রক্রিয়ায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাকিস্তানী দোসর এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের বিচার হচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোন সংলাপ হতে পারে না। তবে ওই দলটির ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী বন্ধে দু’দলের মধ্যে আলোচনা হলেও হতে পারে।
No comments