রয়াত নেতাদের স্মরণ-বিজ্ঞাপনে ভারত সরকারের ব্যয় ১৪২ কোটি রুপি!
ভারতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত
প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকার গত পাঁচ বছরে সংবাদপত্রে প্রয়াত নেতাদের
স্মরণে অনেক বিজ্ঞাপনই দিয়েছে। তালিকায় কংগ্রেসের কাছে যে নেহরু-গান্ধী
পরিবারের সদস্যরাই বেশি গুরুত্ব পাবেন, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
এক
হিসাবে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে ইউপিএ সরকার নেতাদের স্মরণে বিজ্ঞাপনবাবদ
যত খরচ করেছে তার এক-তৃতীয়াংশই হয়েছে রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী ও
জওয়াহেরলাল নেহরুর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে।
অ্যাডভারটাইজমেন্ট অ্যান্ড ভিজুয়াল পাবলিসিটি পরিদপ্তরের হিসাব মতে, পাঁচ বছরে প্রয়াত নেতাদের স্মরণে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনবাবদ সরকারের ব্যয় হয় ১৪২ দশমিক ৩ কোটি রুপি। এর মধ্যে উলি্লখিত তিনজনের জন্য ব্যয় হয় ৫৩ দশমিক ২ কোটি রুপি। দেখা গেছে ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরের মধ্যে সরকার সাবেক ১৫ নেতার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিজ্ঞাপন ছাপে। তবে এর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে। মহাত্মা গান্ধীর জন্য ব্যয় হয়েছে ৩৮ দশমিক তিন কোটি রুপি। ব্যয়ের দিক থেকে এর পরই আছেন যথাক্রমে রাজীব গান্ধী, বি আর আম্বেদকার, ইন্দিরা গান্ধী ও জওয়াহেরলাল নেহরু। নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে আম্বেদকারই হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি রুপির বেশি। আর শীর্ষ পাঁচ নেতার জন্যই ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি রুপির বেশি।
অন্য নেতাদের মধ্যে সরদার প্যাটেলের জন্য ব্যয় হয়েছে ৮ দশমিক ৬ কোটি রুপি, বাবু জগজীবন রামের জন্য ৬ দশমিক ২ কোটি রুপি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্য ২ কোটি রুপি, মাওলানা আজাদ ও এস রাধাকৃষ্ণণের জন্মবার্ষিকীতে ব্যয় হয়েছে যথাক্রমে ২ কোটি ও ১ দশমিক ২ কোটি রুপি। হিসাবে কংগ্রেস নেতাদের তুলনায় একমাত্র আম্বেদকার ছাড়া অন্য অ-কংগ্রেস নেতাদের স্মরণে ইউপিএ সরকারের অনাগ্রহের বিষয়টি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। কংগ্রেসী নেতা ছাড়াও সরকার নেতাজি সুবাস চন্দ্র বোস, ভগত সিং, রাজ গুরু ও সুখদেবের স্মরণেও বিজ্ঞাপন ছেপেছে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে চলতি বছর জানুয়ারিতে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন করে সরকার।
মনমোহনের বিমানভাড়ায় ৬৪২ কোটি রুপি : গত ৯ বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিদেশ সফরের বিমানভাড়ায় ব্যয় হয়েছে ৬৪২ কোটি রুপি। তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ কথা জানিয়েছে। জানা যায়, ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ৬৭ বার বিদেশ সফর করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৬২টি সফরের বিমানভাড়ার তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, বিমানভাড়া বাবদ ৬৪২ দশমিক ৪৫ কোটি রুপি ব্যয় হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে ২০১২ সালে জি-২০ সম্মেলনে, ২৬ কোটি ৯৪ লাখ রুপি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
অ্যাডভারটাইজমেন্ট অ্যান্ড ভিজুয়াল পাবলিসিটি পরিদপ্তরের হিসাব মতে, পাঁচ বছরে প্রয়াত নেতাদের স্মরণে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনবাবদ সরকারের ব্যয় হয় ১৪২ দশমিক ৩ কোটি রুপি। এর মধ্যে উলি্লখিত তিনজনের জন্য ব্যয় হয় ৫৩ দশমিক ২ কোটি রুপি। দেখা গেছে ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরের মধ্যে সরকার সাবেক ১৫ নেতার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিজ্ঞাপন ছাপে। তবে এর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে। মহাত্মা গান্ধীর জন্য ব্যয় হয়েছে ৩৮ দশমিক তিন কোটি রুপি। ব্যয়ের দিক থেকে এর পরই আছেন যথাক্রমে রাজীব গান্ধী, বি আর আম্বেদকার, ইন্দিরা গান্ধী ও জওয়াহেরলাল নেহরু। নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে আম্বেদকারই হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি রুপির বেশি। আর শীর্ষ পাঁচ নেতার জন্যই ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি রুপির বেশি।
অন্য নেতাদের মধ্যে সরদার প্যাটেলের জন্য ব্যয় হয়েছে ৮ দশমিক ৬ কোটি রুপি, বাবু জগজীবন রামের জন্য ৬ দশমিক ২ কোটি রুপি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্য ২ কোটি রুপি, মাওলানা আজাদ ও এস রাধাকৃষ্ণণের জন্মবার্ষিকীতে ব্যয় হয়েছে যথাক্রমে ২ কোটি ও ১ দশমিক ২ কোটি রুপি। হিসাবে কংগ্রেস নেতাদের তুলনায় একমাত্র আম্বেদকার ছাড়া অন্য অ-কংগ্রেস নেতাদের স্মরণে ইউপিএ সরকারের অনাগ্রহের বিষয়টি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। কংগ্রেসী নেতা ছাড়াও সরকার নেতাজি সুবাস চন্দ্র বোস, ভগত সিং, রাজ গুরু ও সুখদেবের স্মরণেও বিজ্ঞাপন ছেপেছে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে চলতি বছর জানুয়ারিতে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন করে সরকার।
মনমোহনের বিমানভাড়ায় ৬৪২ কোটি রুপি : গত ৯ বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিদেশ সফরের বিমানভাড়ায় ব্যয় হয়েছে ৬৪২ কোটি রুপি। তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ কথা জানিয়েছে। জানা যায়, ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ৬৭ বার বিদেশ সফর করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৬২টি সফরের বিমানভাড়ার তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, বিমানভাড়া বাবদ ৬৪২ দশমিক ৪৫ কোটি রুপি ব্যয় হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে ২০১২ সালে জি-২০ সম্মেলনে, ২৬ কোটি ৯৪ লাখ রুপি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments