'সংলাপ নিয়ে দুই পক্ষই চালাকি করছে'
আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে- এ বিষয়ে
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন, এ জন্য সরকার ও বিরোধী দল উভয়
পক্ষকেই সংলাপে বসতে হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির
উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান বলেন, সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই
পক্ষই চালাকি করছে।
তিনি বলেন, সরকারও বিরোধী দলকে সংসদে
আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সংসদে তো আর এভাবে সংলাপ করা সম্ভব
হয় না। আবার বিরোধী দলও সংসদে গিয়ে মুলতবি প্রস্তাব দিয়ে তা প্রত্যাহার
করেছে। আসলে দুই পক্ষই সংলাপ নিয়ে চালাকি করছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ
সংঘাত, সংঘর্ষ চায় না। আর এটাও ঠিক, যদি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হয়
তবে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
গত শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টকশো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনাম আহমেদ চৌধুরী। আলোচকরা সমসাময়িক রাজনীতি ও সংলাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক জানতে চান, সংলাপ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। বিরোধী দল বলছে, তারা সরকারের পাতা ফাঁদে পা দেয়নি। আর সরকারি দল বলছে, বিরোধী দল সংলাপ চায় না বলে মুলতবি প্রস্তাব দিয়ে আবার ফিরিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন।
জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, বিরোধী দল সংলাপ চায় না, এটা ঠিক না। কারণ বিরোধী দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তিন বছর ধরে আন্দোলন করছে। আর সংলাপ ছাড়া এ পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই বিএনপি সংলাপ চায় না- এটা ঠিক না। তিনি বলেন, সরকারি দল চাইলে সংসদের ভেতর কেন, সংসদের বাইরেও সংলাপ হতে পারে। এখানে সংলাপের জন্য ভেন্যুটা বড় না। বড় হলো আলোচনা বা সংলাপ। তিনি আরো বলেন, বিএনপি মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছে বলে যে সংলাপের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, তা কিন্তু নয়। এ সময় তিনি সংসদের স্পিকারের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, চলতি বাজেট অধিবেশনের পরও কয়েক দিন সংসদ চলবে। বিরোধী দল ইচ্ছা করলে সে সময়েও আলোচনা হতে পারে।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আলোচনা সেরূপ এগোচ্ছে না। কিভাবে দেখছেন। জবাবে মনজুরুল আহসান খান বলেন, আলোচনা হচ্ছে না বলে আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেই যেকোনো সময় আলোচনা বা সংলাপ হতে পারে। তিনি বলেন, আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর লক্ষ্য কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে। আবার কারো লক্ষ্য কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে। এ নিয়েই ব্যস্ত থাকে রাজনৈতিক দলগুলো।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আবারও ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা সক্রিয় হচ্ছে। আসলে এ বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বোঝাতে চাইছেন। জবাবে মনজুরুল আহসান খান বলেন, ওয়ান-ইলেভেন আসতে হলে তো আর্মি ক্ষমতায় আসতে হবে। কারণ ২০০৭ সালে তো আর্মি ব্যাকড সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। তখন তো সিভিল সরকার ক্ষমতায় ছিল না। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কাদের কথা বোঝাতে চাইছেন জানতে চান তিনি।
এ সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, সরকার সঠিক পথে না চললে তো অপশক্তি আসতেই পারে। এ জন্য তো সরকারকেই সতর্ক থাকা দরকার। এটা নিয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্বেগের কারণ অনেক।
এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পাকিস্তানের মতো দেশ আমাদের উদ্ভাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন সম্পন্ন করল। আর আমরা যে তত্ত্বাবধায়কের জন্য কত আন্দোলন-সংগ্রাম করে তার দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করলাম। এমনকি সব রাজনৈতিক দল বসে সেই পন্থা ঠিক করলাম। কিন্তু এ সরকার তা বাতিল করে দিল। তিনি বলেন, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করলেও আরো দুই টার্ম এ পদ্ধতিতে নির্বাচন করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ জাজমেন্ট প্রকাশের আগেই সরকার সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তা বাতিল করে দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই তড়িঘড়ি করে সরকার কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করল, তাই এখন আলোচনার বিষয়।
গত শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টকশো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনাম আহমেদ চৌধুরী। আলোচকরা সমসাময়িক রাজনীতি ও সংলাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক জানতে চান, সংলাপ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। বিরোধী দল বলছে, তারা সরকারের পাতা ফাঁদে পা দেয়নি। আর সরকারি দল বলছে, বিরোধী দল সংলাপ চায় না বলে মুলতবি প্রস্তাব দিয়ে আবার ফিরিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন।
জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, বিরোধী দল সংলাপ চায় না, এটা ঠিক না। কারণ বিরোধী দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তিন বছর ধরে আন্দোলন করছে। আর সংলাপ ছাড়া এ পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই বিএনপি সংলাপ চায় না- এটা ঠিক না। তিনি বলেন, সরকারি দল চাইলে সংসদের ভেতর কেন, সংসদের বাইরেও সংলাপ হতে পারে। এখানে সংলাপের জন্য ভেন্যুটা বড় না। বড় হলো আলোচনা বা সংলাপ। তিনি আরো বলেন, বিএনপি মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছে বলে যে সংলাপের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, তা কিন্তু নয়। এ সময় তিনি সংসদের স্পিকারের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, চলতি বাজেট অধিবেশনের পরও কয়েক দিন সংসদ চলবে। বিরোধী দল ইচ্ছা করলে সে সময়েও আলোচনা হতে পারে।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আলোচনা সেরূপ এগোচ্ছে না। কিভাবে দেখছেন। জবাবে মনজুরুল আহসান খান বলেন, আলোচনা হচ্ছে না বলে আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেই যেকোনো সময় আলোচনা বা সংলাপ হতে পারে। তিনি বলেন, আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর লক্ষ্য কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে। আবার কারো লক্ষ্য কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে। এ নিয়েই ব্যস্ত থাকে রাজনৈতিক দলগুলো।
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আবারও ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা সক্রিয় হচ্ছে। আসলে এ বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বোঝাতে চাইছেন। জবাবে মনজুরুল আহসান খান বলেন, ওয়ান-ইলেভেন আসতে হলে তো আর্মি ক্ষমতায় আসতে হবে। কারণ ২০০৭ সালে তো আর্মি ব্যাকড সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। তখন তো সিভিল সরকার ক্ষমতায় ছিল না। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কাদের কথা বোঝাতে চাইছেন জানতে চান তিনি।
এ সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, সরকার সঠিক পথে না চললে তো অপশক্তি আসতেই পারে। এ জন্য তো সরকারকেই সতর্ক থাকা দরকার। এটা নিয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্বেগের কারণ অনেক।
এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পাকিস্তানের মতো দেশ আমাদের উদ্ভাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন সম্পন্ন করল। আর আমরা যে তত্ত্বাবধায়কের জন্য কত আন্দোলন-সংগ্রাম করে তার দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করলাম। এমনকি সব রাজনৈতিক দল বসে সেই পন্থা ঠিক করলাম। কিন্তু এ সরকার তা বাতিল করে দিল। তিনি বলেন, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করলেও আরো দুই টার্ম এ পদ্ধতিতে নির্বাচন করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ জাজমেন্ট প্রকাশের আগেই সরকার সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তা বাতিল করে দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই তড়িঘড়ি করে সরকার কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করল, তাই এখন আলোচনার বিষয়।
No comments