সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় মেঠো বক্তৃতা
জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনার
প্রথম দিনে বিরোধী দলের উপস্থিতিতে সংসদ ছিল ‘সরব’। তবে এই সরবতা বাজেটের
ওপর বস্তুনিষ্ঠ আলোচনায় নয়, পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত ও মেঠো
বক্তৃতায়।
বিরোধী দল বিএনপির দুই নারী সাংসদ সৈয়দা আশিফা
আশরাফী ও রেহানা আক্তার এই ‘সরব’ আলোচনার সূত্রধর। কিন্তু তাঁদের ব্যবহূত
ভাষায় অশালীন ও অসংসদীয় শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে এবং স্পিকারও তা বাদ
দেওয়া হবে জানিয়ে শব্দ প্রয়োগে সাংসদদের সতর্ক করেছেন।
তবে বিরোধী দলের এই দুই সাংসদের বক্তব্যের সময় স্পিকার ছিলেন নমনীয়। অসংসদীয় বক্তব্যের জন্য সতর্ক করা সাংসদ রেহানা আক্তারকে নির্ধারিত সময়ের পরও দুই মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।
দিনের কার্যসূচির শুরুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চিফ হুইপ শহীদ উদ্দীন চৌধুরী পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, গত ৫ জুন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী অসংসদীয় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সে বক্তব্য এক্সপাঞ্জ (বাদ দেওয়া) করার দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি সৈয়দা আশিফা আশরাফীকে পয়েন্ট অব অর্ডার কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
স্পিকার বলেন, মন্ত্রীর বক্তব্যে অসংসদীয় কিছু থাকলে তা পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশিফা আশরাফীকে কথা বলার নুযোগ দিলে তিনি গণমাধ্যমের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য ধিক্কার জানাই। তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন। তিনি কারও কাছে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি করেন না।
সাংসদ আশিফা আরও বলেন, ‘বিরোধী দল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীসহ তাঁর দলের সাংসদেরা বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা না দেওয়ার জন্য তারেক রহমানের গ্রেপ্তারকে এজেন্ডা হিসেবে দাঁড় করাতে চান প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে ‘হাইব্রিড’ নেতা উল্লেখ করে আশিফা আশরাফী বলেন, তারেক রহমান পথে-ঘাটে বৃষ্টিতে ভিজে রাজনীতি করেছেন।
এরপর অনির্ধারিত বক্তব্যে সরকারি দলের ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, পয়েন্ট অব অর্ডার কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী হয়নি। তিনি আশিফা আশরাফীর বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান।
সরকারদলীয় সাংসদ আবদুল মান্নান বলেন, পয়েন্ট অব অর্ডারের নামে সংসদ নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে ‘অশালীন’ বক্তব্য রেখেছেন বিরোধী দলের সাংসদ।
সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় আলী আশরাফ বলেন, বাজেট অধিবেশনে বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু পয়েন্ট অব অর্ডারের নামে বিভ্রান্তিকর ও অশালীন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
বাজেটের ওপর আলোচনায় বিএনপির রেহানা আক্তার বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য টিফিনের টাকা নেওয়া হলো, চাঁদাবাজি করা হলো। সেই চাঁদাবাজির টাকার ভাগ নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ মারামারিতে রাজশাহীতে একজন খুন হলো। পদ্মা সেতু তৈরির আগেই ১২ পারসেন্ট কমিশন দেওয়ার কথা ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি ঘ্যাচাং করেছে। ১০ পারসেন্টের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের নাম পত্রিকায় এসেছে। ২ পারসেন্টের সঙ্গে জড়িতদের নাম পত্রিকায় আসেনি। সম্প্রতি কানাডিয়ান টেলিভেশনের প্রতিবেদনে ওই ২ পারসেন্ট কমিশনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা জড়িত বলে বলা হয়েছে।’
এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা আপত্তি জানাতে থাকলে স্পিকার রেহানা আক্তারের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি সম্পূরক বাজেট নিয়ে কথা বলুন।’
কেউ যেন গায়ের জোরে একদলীয় নির্বাচন করতে না পারে, সে ব্যাপারে স্পিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে রেহানা আক্তার বলেন, ‘কেউ বলছেন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন। আবার বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আপনি নাকি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন। কিন্তু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আমি আমার ফেনীর ভাষায় বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া কোনো চুদুর বুদুর চইলত ন। আমাদের নেতা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছেন, তখন আপনাদের অনেক মন্ত্রীর পেট খারাপ হয়ে গেছে। তারেক রহমানকে ইন্টারপোল দিয়ে ধরে আনা হবে, এটা সরকারের রাজনৈতিক শয়তানি এবং আইনমন্ত্রীর ডিজিটাল পাগলামি।
তবে বিরোধী দলের এই দুই সাংসদের বক্তব্যের সময় স্পিকার ছিলেন নমনীয়। অসংসদীয় বক্তব্যের জন্য সতর্ক করা সাংসদ রেহানা আক্তারকে নির্ধারিত সময়ের পরও দুই মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।
দিনের কার্যসূচির শুরুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চিফ হুইপ শহীদ উদ্দীন চৌধুরী পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, গত ৫ জুন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী অসংসদীয় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সে বক্তব্য এক্সপাঞ্জ (বাদ দেওয়া) করার দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি সৈয়দা আশিফা আশরাফীকে পয়েন্ট অব অর্ডার কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
স্পিকার বলেন, মন্ত্রীর বক্তব্যে অসংসদীয় কিছু থাকলে তা পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশিফা আশরাফীকে কথা বলার নুযোগ দিলে তিনি গণমাধ্যমের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য ধিক্কার জানাই। তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন। তিনি কারও কাছে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি করেন না।
সাংসদ আশিফা আরও বলেন, ‘বিরোধী দল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীসহ তাঁর দলের সাংসদেরা বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা না দেওয়ার জন্য তারেক রহমানের গ্রেপ্তারকে এজেন্ডা হিসেবে দাঁড় করাতে চান প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে ‘হাইব্রিড’ নেতা উল্লেখ করে আশিফা আশরাফী বলেন, তারেক রহমান পথে-ঘাটে বৃষ্টিতে ভিজে রাজনীতি করেছেন।
এরপর অনির্ধারিত বক্তব্যে সরকারি দলের ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, পয়েন্ট অব অর্ডার কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী হয়নি। তিনি আশিফা আশরাফীর বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান।
সরকারদলীয় সাংসদ আবদুল মান্নান বলেন, পয়েন্ট অব অর্ডারের নামে সংসদ নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে ‘অশালীন’ বক্তব্য রেখেছেন বিরোধী দলের সাংসদ।
সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় আলী আশরাফ বলেন, বাজেট অধিবেশনে বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু পয়েন্ট অব অর্ডারের নামে বিভ্রান্তিকর ও অশালীন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
বাজেটের ওপর আলোচনায় বিএনপির রেহানা আক্তার বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য টিফিনের টাকা নেওয়া হলো, চাঁদাবাজি করা হলো। সেই চাঁদাবাজির টাকার ভাগ নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ মারামারিতে রাজশাহীতে একজন খুন হলো। পদ্মা সেতু তৈরির আগেই ১২ পারসেন্ট কমিশন দেওয়ার কথা ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি ঘ্যাচাং করেছে। ১০ পারসেন্টের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের নাম পত্রিকায় এসেছে। ২ পারসেন্টের সঙ্গে জড়িতদের নাম পত্রিকায় আসেনি। সম্প্রতি কানাডিয়ান টেলিভেশনের প্রতিবেদনে ওই ২ পারসেন্ট কমিশনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা জড়িত বলে বলা হয়েছে।’
এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা আপত্তি জানাতে থাকলে স্পিকার রেহানা আক্তারের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি সম্পূরক বাজেট নিয়ে কথা বলুন।’
কেউ যেন গায়ের জোরে একদলীয় নির্বাচন করতে না পারে, সে ব্যাপারে স্পিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে রেহানা আক্তার বলেন, ‘কেউ বলছেন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন। আবার বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আপনি নাকি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন। কিন্তু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আমি আমার ফেনীর ভাষায় বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া কোনো চুদুর বুদুর চইলত ন। আমাদের নেতা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছেন, তখন আপনাদের অনেক মন্ত্রীর পেট খারাপ হয়ে গেছে। তারেক রহমানকে ইন্টারপোল দিয়ে ধরে আনা হবে, এটা সরকারের রাজনৈতিক শয়তানি এবং আইনমন্ত্রীর ডিজিটাল পাগলামি।
No comments