ওবামা-চিনপিং বৈঠক-উত্তর কোরিয়াকে বাগে আনতে সমঝোতা
দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক সহযোগিতার
সম্পর্কে 'নতুন মডেল' তৈরির আশাবাদের মধ্য দিয়ে গত শনিবার শেষ হলো
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের
বৈঠক।
হোয়াইট হাউস এ বৈঠককে 'অনন্য, ইতিবাচক ও গঠনমূলক'
বলে অভিহিত করেছে। তবে দুই নেতার মধ্যে সাইবার গোয়েন্দাগিরিসহ গুরুত্বপূর্ণ
ইস্যুতে কোনো সমাধান হয়নি। আপাতত আগামী মাসে দুই দেশের কার্যনির্বাহী
কর্মকর্তাদের বৈঠকের প্রস্তাব ছাড়া আর কোনো বিষয়ে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে
পারেননি।
গত শুক্রবার ও শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে দুই নেতা প্রায় ৯ ঘণ্টা আলোচনা করেন। অর্থনীতি, রাজনীতি ও কূটনৈতিক মতপার্থক্য দূরীকরণ নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন। বৈঠকে শেষে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তর কোরিয়া সংকট নিরসন ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধের ব্যাপারে ওবামা-চিনপিং ঐকমত্যে পৌঁছেন। ওবামা-চিনপিং বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের জন্য 'ইতিবাচক' বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা টম ডোনিলন। তাঁর মতে, এ বৈঠক দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গঠনমূলক ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
মূলত সাইবার গোয়েন্দাগিরি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান সম্পর্কের টানাপড়েন দূর করতেই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সামরিক ও অর্থনীতিবিষয়ক গোপন তথ্য চুরির জন্য চীনকে বেশ কিছুদিন ধরেই দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, তাদের ২৪টি অস্ত্রের ভাণ্ডারের ওয়েবসাইটও হ্যাকিং করেছে বেইজিং। তবে এ নিয়ে আগামী মাসে বৈঠকের প্রস্তাব ছাড়া কোনো মতৈক্য হয়নি। এ ছাড়া তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, দক্ষিণ চীন সাগরের অমীমাংসিত এলাকা ও চীনা মুদ্রার মূল্য নির্ধারণের মতো বিষয়ে কোনো সুরাহ হয়নি।
গত শনিবার বৈঠক শেষে ডোনিলন জানান, দুই নেতাই উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা প্রশমনে তাঁরা উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু মুক্ত করতে রাজি। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্বন নিঃসরণ কমাতেও রাজি হয়েছে উভয় পক্ষ।
সাইবার হামলার অভিযোগ নাকচ করে চীনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইয়াং জেইচি জানান, তাঁরা সাইবার হামলার তীব্র বিরোধী। কারণ তাঁরা নিজেরাই সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির শিকার। তিনি বলেন, 'দুই নেতাই তাঁদের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি নিয়ে চিনপিং কথা বলছেন দ্বিধাহীনভাবে। চীনা মুদ্রার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলতে ছাড়েননি ওবামা ।' তবে সাইবার হামলা যে বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কে 'বাধা' তৈরি করবে- তা চিনপিংকে স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওবামার মতে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলও উদ্বিগ্ন।' সূত্র : বিবিসি।
গত শুক্রবার ও শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে দুই নেতা প্রায় ৯ ঘণ্টা আলোচনা করেন। অর্থনীতি, রাজনীতি ও কূটনৈতিক মতপার্থক্য দূরীকরণ নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন। বৈঠকে শেষে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তর কোরিয়া সংকট নিরসন ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধের ব্যাপারে ওবামা-চিনপিং ঐকমত্যে পৌঁছেন। ওবামা-চিনপিং বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের জন্য 'ইতিবাচক' বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা টম ডোনিলন। তাঁর মতে, এ বৈঠক দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গঠনমূলক ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
মূলত সাইবার গোয়েন্দাগিরি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান সম্পর্কের টানাপড়েন দূর করতেই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সামরিক ও অর্থনীতিবিষয়ক গোপন তথ্য চুরির জন্য চীনকে বেশ কিছুদিন ধরেই দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, তাদের ২৪টি অস্ত্রের ভাণ্ডারের ওয়েবসাইটও হ্যাকিং করেছে বেইজিং। তবে এ নিয়ে আগামী মাসে বৈঠকের প্রস্তাব ছাড়া কোনো মতৈক্য হয়নি। এ ছাড়া তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, দক্ষিণ চীন সাগরের অমীমাংসিত এলাকা ও চীনা মুদ্রার মূল্য নির্ধারণের মতো বিষয়ে কোনো সুরাহ হয়নি।
গত শনিবার বৈঠক শেষে ডোনিলন জানান, দুই নেতাই উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা প্রশমনে তাঁরা উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু মুক্ত করতে রাজি। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্বন নিঃসরণ কমাতেও রাজি হয়েছে উভয় পক্ষ।
সাইবার হামলার অভিযোগ নাকচ করে চীনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইয়াং জেইচি জানান, তাঁরা সাইবার হামলার তীব্র বিরোধী। কারণ তাঁরা নিজেরাই সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির শিকার। তিনি বলেন, 'দুই নেতাই তাঁদের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি নিয়ে চিনপিং কথা বলছেন দ্বিধাহীনভাবে। চীনা মুদ্রার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলতে ছাড়েননি ওবামা ।' তবে সাইবার হামলা যে বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কে 'বাধা' তৈরি করবে- তা চিনপিংকে স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওবামার মতে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলও উদ্বিগ্ন।' সূত্র : বিবিসি।
No comments