ফলের খিচুড়ি by মাহফুজ রহমান
পেঁপে ছিল, পেয়ারা, (ব্যাকরণ মানি না)
হয়ে গেল ‘পেঁপেয়ারা’ কেমনে তা জানি না।
হয়ে গেল ‘পেঁপেয়ারা’ কেমনে তা জানি না।
আম কয় জামরুলে, ‘বাহবা কী ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের “আমরুল” মূর্তি!’
তালমুখো আতাটার মনে ভারি শঙ্কা—
কিনবে তো লোকজন দিয়ে কাঁচা টঙ্কা?
কাঁঠালের পেটে ছিল না জানি কী ফন্দি,
লটকনে হয়ে গেল শেষমেশ সন্ধি!
আনারস পারে না তো মগডালে ঝুলতে
বেদানার মতো সেও চায় খুব দুলতে।
লিচু বলে, ‘কী যে বলো! লজ্জার কিছু নাই,
চুকাইয়ের সাথে মিলে হয়ে গেছি “লিচুকাই”!’
জাম বলে, ‘আমারেও ধরল কি ও রোগে?
তরমুজ কী যে ব্যাধি, সে-ই জানে, যে ভোগে!’
গাবের তো কাঁটা নেই, এই তার কষ্ট—
বরইয়ের সাথে মিলে কাঁটা হলো পষ্ট।
অতি খাসা আমাদের “আমরুল” মূর্তি!’
তালমুখো আতাটার মনে ভারি শঙ্কা—
কিনবে তো লোকজন দিয়ে কাঁচা টঙ্কা?
কাঁঠালের পেটে ছিল না জানি কী ফন্দি,
লটকনে হয়ে গেল শেষমেশ সন্ধি!
আনারস পারে না তো মগডালে ঝুলতে
বেদানার মতো সেও চায় খুব দুলতে।
লিচু বলে, ‘কী যে বলো! লজ্জার কিছু নাই,
চুকাইয়ের সাথে মিলে হয়ে গেছি “লিচুকাই”!’
জাম বলে, ‘আমারেও ধরল কি ও রোগে?
তরমুজ কী যে ব্যাধি, সে-ই জানে, যে ভোগে!’
গাবের তো কাঁটা নেই, এই তার কষ্ট—
বরইয়ের সাথে মিলে কাঁটা হলো পষ্ট।
No comments