নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা আপাতত আন্দোলনে নেই বিএনপি
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন
অনুষ্ঠানের দাবিতে আপাতত আন্দোলন থেকে দূরে থাকছে বিএনপি। চার সিটি
করপোরেশন নির্বাচনের ফল দেখে আন্দোলনের পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করবে দলটি।
এ
ছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আগ বাড়িয়ে কোনো ধরনের প্রস্তাব না
দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার হলেই
কেবল বিএনপি তাদের অবস্থান জানাবে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত শনিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।
বিএনপির সিদ্ধান্ত হলো, ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় চার সিটি করপোরেশন (রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল) নির্বাচনে জয় পেলে তা কাজে লাগিয়ে গাজীপুর সিটি ও ঢাকার দুটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করা। বিএনপি মনে করে, সিটি নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনেও ভূমিকা রাখবে। আর চার সিটিতে নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হলে বা দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় হলে আবারও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হবে। নির্বাচনের ফল পক্ষে না গেলে রোজার আগে হরতালের মতো কিছু কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকার বিএনপির উদ্যোগে পৃথক কর্মসূচি ঘোষণারও সম্ভাবনা আছে।
শনিবারের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হরতাল দেওয়ার ব্যাপারে মত দেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে হরতাল দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তবে ওই সদস্যের প্রস্তাব নাকচ করে দেন চেয়ারপারসন। অন্য সদস্যরাও হরতাল না দেওয়ার ব্যাপারে চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে জানান, তাঁর দল সংসদে কথা বলবে। তবে কোনো প্রস্তাব দিয়ে আলোচনা করবে না। এখনই নতুন করে মাঠের আন্দোলনে থাকবে না। সিটি নির্বাচনগুলোতে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে চার সিটিতেই মহাজোটের প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। নির্বাচনের ফল ও পরিস্থিতি দেখে তাঁরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, ১৮ জুন সরকারের এ অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এরপর সমাবেশ ও গণমিছিল কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। এসব কর্মসূচি করতে দেওয়া হলে ঈদুল ফিতরের আগে নতুন করে কঠোর কর্মসূচি না দেওয়ার ব্যাপারে একমত হন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এখন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগ, খালেদা জিয়ার ঢাকার বাইরে সমাবেশ এবং রোজার মাসজুড়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে রোজার মাসকে সাংগঠনিক মাস ঘোষণা করে কর্মকাণ্ড পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
চার সিটির নির্বাচনের আগে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে দলকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তবে সেই অবস্থা থেকে দলটি সরে এসেছে। জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, সিটি নির্বাচনে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী। সরকার যেন নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা করতে না পারে, সে জন্য সব ধরনের সহায়তা ও দৃষ্টি রাখতে তাঁরা কাজ করবেন।
এত দিন কেন্দ্র দূর রেখে সিটি নির্বাচনে সহায়তা দিলেও সর্বশেষ বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সর্বশক্তি দিয়ে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে বলা হয়েছে। এ জন্য নেতাদের নির্বাচন পর্যন্ত সিটি এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। শনিবারের বৈঠকে খুলনায় নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তরিকুল ইসলাম ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে, রাজশাহীতে নজরুল ইসলাম খান, সিলেটে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে এবং বরিশালে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত শনিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।
বিএনপির সিদ্ধান্ত হলো, ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় চার সিটি করপোরেশন (রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল) নির্বাচনে জয় পেলে তা কাজে লাগিয়ে গাজীপুর সিটি ও ঢাকার দুটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করা। বিএনপি মনে করে, সিটি নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনেও ভূমিকা রাখবে। আর চার সিটিতে নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হলে বা দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় হলে আবারও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হবে। নির্বাচনের ফল পক্ষে না গেলে রোজার আগে হরতালের মতো কিছু কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকার বিএনপির উদ্যোগে পৃথক কর্মসূচি ঘোষণারও সম্ভাবনা আছে।
শনিবারের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হরতাল দেওয়ার ব্যাপারে মত দেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে হরতাল দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তবে ওই সদস্যের প্রস্তাব নাকচ করে দেন চেয়ারপারসন। অন্য সদস্যরাও হরতাল না দেওয়ার ব্যাপারে চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে জানান, তাঁর দল সংসদে কথা বলবে। তবে কোনো প্রস্তাব দিয়ে আলোচনা করবে না। এখনই নতুন করে মাঠের আন্দোলনে থাকবে না। সিটি নির্বাচনগুলোতে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে চার সিটিতেই মহাজোটের প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। নির্বাচনের ফল ও পরিস্থিতি দেখে তাঁরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, ১৮ জুন সরকারের এ অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এরপর সমাবেশ ও গণমিছিল কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। এসব কর্মসূচি করতে দেওয়া হলে ঈদুল ফিতরের আগে নতুন করে কঠোর কর্মসূচি না দেওয়ার ব্যাপারে একমত হন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এখন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগ, খালেদা জিয়ার ঢাকার বাইরে সমাবেশ এবং রোজার মাসজুড়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে রোজার মাসকে সাংগঠনিক মাস ঘোষণা করে কর্মকাণ্ড পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
চার সিটির নির্বাচনের আগে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে দলকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তবে সেই অবস্থা থেকে দলটি সরে এসেছে। জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, সিটি নির্বাচনে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী। সরকার যেন নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা করতে না পারে, সে জন্য সব ধরনের সহায়তা ও দৃষ্টি রাখতে তাঁরা কাজ করবেন।
এত দিন কেন্দ্র দূর রেখে সিটি নির্বাচনে সহায়তা দিলেও সর্বশেষ বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সর্বশক্তি দিয়ে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে বলা হয়েছে। এ জন্য নেতাদের নির্বাচন পর্যন্ত সিটি এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। শনিবারের বৈঠকে খুলনায় নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তরিকুল ইসলাম ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে, রাজশাহীতে নজরুল ইসলাম খান, সিলেটে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে এবং বরিশালে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
No comments