বার বার হোঁচট খাচ্ছে বিএনপি আন্দোলন চাঙ্গা করতে পারছে না by শরীফুল ইসলাম
শত চেষ্টা করেও সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে পারছে না বিএনপি। আর মূলত এ
কারণেই সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে গিয়ে বার বার হোঁচট খাচ্ছে দলটি।
সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ নেতার
নিয়মিত দলীয় কর্মকা-ে অংশ না নেয়া,
ক’জন নেতার একেবারে নিষ্ক্রিয় থাকা, দলে
স্থায়ী মহাসচিব না থাকা, ৭৫ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অন্তত এক ডজন জেলায়
কমিটি না থাকা, অধিকাংশ জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকা এবং কোন কোন জেলায়
একাধিক কমিটি থাকার কারণে দলটির স্বাভাবিক কার্যক্রম পদে পদে ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র মতে, ওয়ান ইলেভেনের সময় তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভুইয়ার নেতৃত্বে দলের একটি বড় অংশ খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে দলের সংস্কার করতে গেলে বিএনপিতে বিপর্যয় নেমে আসে। এ পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের পর সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে ক’বার উদ্যোগ নেয় বিএনপি হাইকমান্ড। কিন্তু কোন উদ্যোগই কাজে আসেনি।
২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ৫ম জাতীয় কাউন্সিলের পর খালেদা জিয়াকে চেয়ারপার্সন ও খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব করে ৩৮৬ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করে বিএনপি। এর পর দলে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার ২০ দিন পর ৬ এপ্রিল সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। কিন্তু দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে ডিঙ্গিয়ে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করার বিষয়টি সিনিয়র নেতাদের মধ্যে একটি অংশ মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করার ২ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুলকে স্থায়ীভাবে দলের মহাসচিব নিয়োগ করছেন না। দলের জাতীয় কাউন্সিল অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় মির্জা ফখরুল কবে মহাসচিব হতে পারবেন তাও কেউ বলতে পারছে না। অপরদিকে মির্জা ফখরুল যাতে বিএনপির মহাসচিব হতে না পারেন সে ব্যাপারেও দলের সিনিয়র নেতাদের একটি অংশ সতর্কভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে অসুস্থতার কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আর আগের মতো এত বেশি পরিশ্রম করতে পারছেন না। ডাক্তারের বেঁধে দেয়া নিয়ম মেনে তাঁকে চলতে হচ্ছে। এ কারণে আগের মতো সব কর্মসূচীতে তাকে দেখা যায় না।
এদিকে বিশ্বস্ততা ও দক্ষতার সঙ্গে দলের সার্বিক কর্মকা- চালিয়ে নিতে মির্জা ফখরুলের বিকল্প অন্য কোন নেতার ওপরও ভরসা করতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আবার মির্জা ফখরুল জেলে থাকাকালে খালেদা জিয়া নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে নিতে দায়িত্ব দিতে চাইলেও সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থতাসহ অন্য অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। যে কারণে খালেদা জিয়াকে খালেদা জিয়াকে বাধ্য হয়েই কখনও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কখনও আরেক যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ এবং সর্বশেষ তার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুকে দায়িত্ব দিতে হয়েছে। সূত্র মতে, সম্প্রতি একটি জেলার সম্মেলনে যোগ দিতে বিএনপির ক’জন সিনিয়র নেতাকে বলার পরও তাঁরা রাজি হননি। এতে দলের হাইকমান্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে স্থান পাওয়া ক’জন নেতা দলে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। বছরখানেক আগে বিএনপি হাইকমান্ড এই নিষ্ক্রিয় নেতাদের বাদ দেয়ার কথা বললেও বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আপাতত তাদের আর বাদ দেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। তবে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেয়াসহ বিভিন্ন কৌশলে এই নিষ্ক্রিয় নেতাদের দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে বিএনপি হাইকমান্ড ৭৫ সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে সারাদেশের সকল স্তরে দলকে সুসংগঠিত করার কাজে হাত দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা ও মানিকগঞ্জ জেলাসহ অন্তত এক ডজন সাংগঠনিক জেলার কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। বাকি সাংগঠনিক জেলাগুলোর মধ্যে অধিকাংশতেই পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যায়নি। আর নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব-কোন্দলের কারণে ক’টি জেলাতে রয়েছে পাল্টাপাল্টি কমিটি। এর ফলে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
সূত্র মতে, ওয়ান ইলেভেনের সময় তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভুইয়ার নেতৃত্বে দলের একটি বড় অংশ খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে দলের সংস্কার করতে গেলে বিএনপিতে বিপর্যয় নেমে আসে। এ পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের পর সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে ক’বার উদ্যোগ নেয় বিএনপি হাইকমান্ড। কিন্তু কোন উদ্যোগই কাজে আসেনি।
২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ৫ম জাতীয় কাউন্সিলের পর খালেদা জিয়াকে চেয়ারপার্সন ও খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব করে ৩৮৬ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করে বিএনপি। এর পর দলে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার ২০ দিন পর ৬ এপ্রিল সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। কিন্তু দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে ডিঙ্গিয়ে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করার বিষয়টি সিনিয়র নেতাদের মধ্যে একটি অংশ মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করার ২ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুলকে স্থায়ীভাবে দলের মহাসচিব নিয়োগ করছেন না। দলের জাতীয় কাউন্সিল অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় মির্জা ফখরুল কবে মহাসচিব হতে পারবেন তাও কেউ বলতে পারছে না। অপরদিকে মির্জা ফখরুল যাতে বিএনপির মহাসচিব হতে না পারেন সে ব্যাপারেও দলের সিনিয়র নেতাদের একটি অংশ সতর্কভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে অসুস্থতার কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আর আগের মতো এত বেশি পরিশ্রম করতে পারছেন না। ডাক্তারের বেঁধে দেয়া নিয়ম মেনে তাঁকে চলতে হচ্ছে। এ কারণে আগের মতো সব কর্মসূচীতে তাকে দেখা যায় না।
এদিকে বিশ্বস্ততা ও দক্ষতার সঙ্গে দলের সার্বিক কর্মকা- চালিয়ে নিতে মির্জা ফখরুলের বিকল্প অন্য কোন নেতার ওপরও ভরসা করতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আবার মির্জা ফখরুল জেলে থাকাকালে খালেদা জিয়া নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে নিতে দায়িত্ব দিতে চাইলেও সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থতাসহ অন্য অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। যে কারণে খালেদা জিয়াকে খালেদা জিয়াকে বাধ্য হয়েই কখনও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কখনও আরেক যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ এবং সর্বশেষ তার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুকে দায়িত্ব দিতে হয়েছে। সূত্র মতে, সম্প্রতি একটি জেলার সম্মেলনে যোগ দিতে বিএনপির ক’জন সিনিয়র নেতাকে বলার পরও তাঁরা রাজি হননি। এতে দলের হাইকমান্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে স্থান পাওয়া ক’জন নেতা দলে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। বছরখানেক আগে বিএনপি হাইকমান্ড এই নিষ্ক্রিয় নেতাদের বাদ দেয়ার কথা বললেও বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আপাতত তাদের আর বাদ দেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। তবে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেয়াসহ বিভিন্ন কৌশলে এই নিষ্ক্রিয় নেতাদের দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে বিএনপি হাইকমান্ড ৭৫ সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে সারাদেশের সকল স্তরে দলকে সুসংগঠিত করার কাজে হাত দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা ও মানিকগঞ্জ জেলাসহ অন্তত এক ডজন সাংগঠনিক জেলার কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। বাকি সাংগঠনিক জেলাগুলোর মধ্যে অধিকাংশতেই পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যায়নি। আর নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব-কোন্দলের কারণে ক’টি জেলাতে রয়েছে পাল্টাপাল্টি কমিটি। এর ফলে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
No comments