দৈনন্দিন বিজ্ঞান-ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু(২)
অর্থাৎ শিশিরের উৎপত্তি হয় প্রস্বেদনের
মাধ্যমে। এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে দিনের বেলায় বা গরমের সময় আমরা শিশির দেখি
না কেন? খুবই সহজ উত্তর। গ্রীষ্মকালে বা দিনে বেলায় বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা
থাকে বেশি, বাতাসের আর্দ্রতাও থাকে অনেক কম।
যার কারণে
প্রস্বেদনের ফলে যে পানি বাষ্প আকারে উদ্ভিদ থেকে বের হয়ে যায়, তা বাষ্প
আকারেরই বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। অপর দিকে শীতকালে বিশেষ করে রাতের বেলায়
বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা থাকে কম এবং বাতাসের আর্দ্রতা থাকে অনেক বেশি। যে
কারণে প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদের সবুজ অংশ থেকে যে পানি বাষ্প আকারে বের হয়
তা জমে পানিতে পরিণত হয়। যেকোনো ক্ষূদ্র স্থানে এই পানির পরিমাণ কম হলেও
পাশাপাশি বেশ কিছু পানির যোগফলে তৈরি হয় একটি বড় পানির ফোঁটা, যেটাই হলো
শিশির। বিজ্ঞানের ধাঁধা আর সাহিত্যের উপমা। এই জন্য উদ্ভিদের বাঁকানো অংশে
যেমন ধানের শীষ বা পাতা, ঘাসের ডগা বা অন্য কোনো উদ্ভিদের বড় লম্বা পাতায়
শিশির দেখা যায় বেশি। বৃষ্টির সময় বা রাতে যখন কুয়াশা হয়, তখন কুয়াশার
বাষ্প এবং বৃষ্টির পানিও এভাবে ঘাসের ডগায় বা ধানের শীষে ফোঁটা আকারে ঝুলে
থাকতে পারে, মূলত সেগুলো শিশির নয়। তবে প্রস্বেদনের পানির সঙ্গে কুয়াশা
কিংবা বৃষ্টির পানি যোগ হয়ে বড় বড় শিশির বিন্দুও তৈরি হতে পারে।
No comments