কথা কিংবা কাজে নয় ফলেই পরিচয়
‘মনে রেখো, এর ফল কিন্তু ভালো হবে না’
বাংলা সিনেমার নায়ক বা ভিলেনের মুখে এই সংলাপ নিশ্চয়ই বহুবার শুনেছেন।
সংলাপ শুনে মনে হচ্ছে, নায়ক বা ভিলেন বোধ হয় বৃক্ষ মেলায় ফলদ বৃক্ষ কেনার
আগ মুহুর্তে কথাটি বলছেন।
কিন্তু ঘটনা আসলে তা নয়। আলোচ্য
সংলাপটিতে বলা হয়েছে কর্মফলের কথা। মানে কোনো কাজ করার আগে, কাজটি কেমন ফল
বয়ে আনবে তা ভাবা উচিত। কারণ, কবি বলেছেন, ‘ভাবিয়া করিয়ো কাজ, করিয়া ভাবিও
না’।
অন্য কোনো সিনেমায় শিক্ষণীয় এ ব্যাপারটি না থাকলেও প্রতিটা বাংলা সিনেমায় সংলাপটি থাকে। আসলে বাংলা সিনেমা দর্শকদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষামূলক ফল বয়ে আনে। কিন্তু কামরান আকমল যেমন ক্যাচ ধরতে পারেন না, তেমনি আমরাও বাংলা সিনেমার শিক্ষণীয় ব্যাপারগুলো ধরতে পারি না। সবই কর্মফল! শুধু আমরা নই, রাজনীতিবিদেরাও ধরতে পারেন না যে তাঁদের করা কাজগুলো দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনছে না বা আনবে না। অথচ তারা কিন্তু প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশের মতো জটিল একটি কাজ করেছেন। কিন্তু এই বাজেটের ফল আদৌ দেশের জন্য ভালো হবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে বাজেটে পটেটো চিপসের দাম বেড়েছে। কোনো মানে হয়? এমনিতেই অভিভাবকেরা শিশু-কিশোরদের চিপস খেতে দিতে চান না। দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তো আরও দেবেন না। শিশুদের জন্য এই বাজেটের ফলটা কি ভালো হলো? ওদিকে বিরোধী দল সংসদে গিয়েই ওয়াকআউট করে আর অধিবেশনেই যাচ্ছে না।
সরকারি দল এবং বিরোধী দল আরও একটি কাজ করছে, তা হলো, সংলাপ নিয়ে ধারাবাহিক নাটক। এই নাটকের ফলও কিন্তু ভালো হচ্ছে না। আসলে তারা বুঝতেই পারছে না যে, জনগণ রেগেমেগে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের কাজ শুরু করলে রাজনীতিবিদদের জন্য তা ভালো ফল বয়ে আনবে না। সবাই বুঝেও বোঝে না। এই যেমন ক্ষতিকর জেনেও মৌসুমি ফল বিক্রেতারা নিষ্ঠার সঙ্গে ফলে ফরমালিন, কার্বাইড মেশানোর কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এই কাজের ফল যে কত ভয়ংকর হতে পারে, তা বুঝেও তাঁরা না বোঝার ভান করছেন। যাই হোক, আপনারা অন্তত না বুঝে এসব ফল কিনে বোকার মতো কাজ করবেন না। মনে রাখবেন, ‘এর ফল কিন্তু ভালো হবে না।’
অন্য কোনো সিনেমায় শিক্ষণীয় এ ব্যাপারটি না থাকলেও প্রতিটা বাংলা সিনেমায় সংলাপটি থাকে। আসলে বাংলা সিনেমা দর্শকদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষামূলক ফল বয়ে আনে। কিন্তু কামরান আকমল যেমন ক্যাচ ধরতে পারেন না, তেমনি আমরাও বাংলা সিনেমার শিক্ষণীয় ব্যাপারগুলো ধরতে পারি না। সবই কর্মফল! শুধু আমরা নই, রাজনীতিবিদেরাও ধরতে পারেন না যে তাঁদের করা কাজগুলো দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনছে না বা আনবে না। অথচ তারা কিন্তু প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশের মতো জটিল একটি কাজ করেছেন। কিন্তু এই বাজেটের ফল আদৌ দেশের জন্য ভালো হবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে বাজেটে পটেটো চিপসের দাম বেড়েছে। কোনো মানে হয়? এমনিতেই অভিভাবকেরা শিশু-কিশোরদের চিপস খেতে দিতে চান না। দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তো আরও দেবেন না। শিশুদের জন্য এই বাজেটের ফলটা কি ভালো হলো? ওদিকে বিরোধী দল সংসদে গিয়েই ওয়াকআউট করে আর অধিবেশনেই যাচ্ছে না।
সরকারি দল এবং বিরোধী দল আরও একটি কাজ করছে, তা হলো, সংলাপ নিয়ে ধারাবাহিক নাটক। এই নাটকের ফলও কিন্তু ভালো হচ্ছে না। আসলে তারা বুঝতেই পারছে না যে, জনগণ রেগেমেগে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের কাজ শুরু করলে রাজনীতিবিদদের জন্য তা ভালো ফল বয়ে আনবে না। সবাই বুঝেও বোঝে না। এই যেমন ক্ষতিকর জেনেও মৌসুমি ফল বিক্রেতারা নিষ্ঠার সঙ্গে ফলে ফরমালিন, কার্বাইড মেশানোর কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এই কাজের ফল যে কত ভয়ংকর হতে পারে, তা বুঝেও তাঁরা না বোঝার ভান করছেন। যাই হোক, আপনারা অন্তত না বুঝে এসব ফল কিনে বোকার মতো কাজ করবেন না। মনে রাখবেন, ‘এর ফল কিন্তু ভালো হবে না।’
No comments