সরকার কবে কিনবে অপেক্ষায় ধানচাষিরা
সরকার ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার ঘোষণা
দিলেও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় একমুঠো ধানও কেনা হয়নি। নিরুপায় হয়ে কৃষকেরা
ফড়িয়াদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে সরকার এবার
সংগ্রহমূল্য বাড়ালেও চাষিদের সুফল মিলছে না।
উপজেলা কৃষি
কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো
ধানের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে সরকার ধানের দাম মণপ্রতি ৭৪০ টাকা নির্ধারণ
করে দিলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫১০ টাকা থেকে ৫৪০ টাকা মণ দরে।
উপজেলা খাদ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, সরকারি মূল্যে গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে কৃষককে কৃষি কার্ডের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে গুদামে এলেই ধান কেনার কথা। কিন্তু এ উপজেলার বেশির ভাগ কৃষকই এ ব্যাপারে কোনো কিছুই জানেন না। আর দুই-একজন কৃষক বিষয়টি জেনে গুদামে এলেও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু না হওয়ায় বাজারে ধানের দামও উঠছে না। ফলে চাষিরা সেই ধান নিরুপায় হয়ে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে যে দাম মিলছে, তা দিয়ে চাষের খরচই উঠছে না। তবে কিছুসংখ্যক সচ্ছল ধানচাষি সরকার কবে ধান কিনবে এ আশায় অপেক্ষায় আছেন।
কৃষকেরা অভিযোগ করেন, খাদ্য বিভাগের ঢিলেমির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কম দামে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনছেন। পরে এ ধান বা ধান থেকে চাল করে সরকারি মূল্যে গুদামে দেওয়া হবে। এতে সরকার কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা কৌশলে ভেস্তে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার তেঘরী গ্রামের মফিজ উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘আমি সরকারি দামে ধান বিক্রির আশা নিয়ে গুদামে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বলা হয়, কৃষকের কাছ থেকে ধান নেওয়ার অনুমতি অফিসে এখনো আসেনি।’
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজাজ কামাল বলেন, ‘এখনো খাদ্য বিভাগ থেকে আমাদের কাছে প্রকৃত ধানচাষিদের তালিকা চাওয়া হয়নি।’ উপজেলার পিরব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল করিম জানান, খাদ্য অফিস থেকে কৃষকের ধান কেনা বিষয়ে কোনো কিছুই জানানো হয়নি।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বদরুল আলম বলেন, কৃষক এখনো ধান নিয়ে আসেনি। ধান নিয়ে এলে তা কেনা হবে।
উপজেলা খাদ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, সরকারি মূল্যে গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে কৃষককে কৃষি কার্ডের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে গুদামে এলেই ধান কেনার কথা। কিন্তু এ উপজেলার বেশির ভাগ কৃষকই এ ব্যাপারে কোনো কিছুই জানেন না। আর দুই-একজন কৃষক বিষয়টি জেনে গুদামে এলেও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু না হওয়ায় বাজারে ধানের দামও উঠছে না। ফলে চাষিরা সেই ধান নিরুপায় হয়ে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে যে দাম মিলছে, তা দিয়ে চাষের খরচই উঠছে না। তবে কিছুসংখ্যক সচ্ছল ধানচাষি সরকার কবে ধান কিনবে এ আশায় অপেক্ষায় আছেন।
কৃষকেরা অভিযোগ করেন, খাদ্য বিভাগের ঢিলেমির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কম দামে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনছেন। পরে এ ধান বা ধান থেকে চাল করে সরকারি মূল্যে গুদামে দেওয়া হবে। এতে সরকার কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা কৌশলে ভেস্তে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার তেঘরী গ্রামের মফিজ উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘আমি সরকারি দামে ধান বিক্রির আশা নিয়ে গুদামে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বলা হয়, কৃষকের কাছ থেকে ধান নেওয়ার অনুমতি অফিসে এখনো আসেনি।’
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজাজ কামাল বলেন, ‘এখনো খাদ্য বিভাগ থেকে আমাদের কাছে প্রকৃত ধানচাষিদের তালিকা চাওয়া হয়নি।’ উপজেলার পিরব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল করিম জানান, খাদ্য অফিস থেকে কৃষকের ধান কেনা বিষয়ে কোনো কিছুই জানানো হয়নি।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বদরুল আলম বলেন, কৃষক এখনো ধান নিয়ে আসেনি। ধান নিয়ে এলে তা কেনা হবে।
No comments