প্রতিবেশী-মিয়ানমার শুধুই মগের মুল্ক্নু! by সাজেদা
রোঙ্গিাদের আশ্রয় মিয়ানমারেই ওয়া দরার,
ওয়া উচিত। ারণ তারা সে দেশেরই নাগরি। জন্মগতভাবে মিয়ানমারের বাসিন্দা েিসবে
এ অধিার পেয়েছেন রোঙ্গিারা।
নির্বাচনের আগে যেসব
প্রতিশ্রুতি মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী েদিয়েছিলেন অং সান সু চি, তার সঠি
বাস্টস্নবায়ন লেও বেঁচে-বর্তে থাতে পারবেন রোঙ্গিা মুসলমানরা।
৬ লাখ ৭৮ াজার ৫০০ বর্গেিলামিটার এলাাজুড়ে বিস্টস্নৃত মিয়ানমার। মিয়ানমারের পশ্চিমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ ও ভারতের মিজোরাম, উত্তর-পশ্চিমে ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুর অবস্টি্থত। মিয়ানমারের ন্দ্রেীয় নিল্ফম্নভহৃমি মহৃলত সরু ও দীর্ঘ। এগুলো ইরাবতী-সিত্তাং নদীর ব-দতীপ এলাায় প্রায় ৩২০ েিলামিটার প্রশস্টস্ন। এই ব-দতীপীয় সমভূমিতেই বাস াচিন ও ারেন জনগোষ্ঠীর মন, শান, চিন, মগ ও রোঙ্গিা জনজাতির। অন্যদের ধর্ম ভিল্পম্ন লেও মগরা বৌদব্দ ধর্মাবলল্ফতী। আরাান রাজ্যে ডাাতি রাই ছিল মগদের প্রধান পেশা। সে ারণেই বৌদব্দদের নামরণ রা য়েছে 'মগ'। মগদের দৌরাত্য বেড়ে গেলে মোগলরা তাদের তাড়া রে আরাান জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।
১৪৩০ থে ে১৭৮৪ সাল পর্যনস্ন ২২ াজার বর্গমাইল আয়তনের আরাান বা রোঙ্গিা স্টতাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল রার পর বৌদব্দ আধিপত্য শুরু য়। এ সময় ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখ-। সে সময় মিয়ানমারের শাসরা ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিা তৈরি রে। ন্তুি বাদ ছিল বেল রোঙ্গিাদের নাম অনস্নর্ভুক্তি।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি স্টতাধীনতা অর্জন ও বহুদলীয় গণতন্পের পথে যাত্রা শুরু রে মিয়ানমার। সে সময়ে পার্লামেন্টেও রোঙ্গিাদের প্রতিনিধিত্দত ছিল। ন্তুি ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষদ্ব্রক্ষমতা দখল রলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিল্পম্ন খাতে প্রবাতি তে শুরু রে। রোঙ্গিাদের জন্য শুরু য় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরি জানস্না তাদের বিদেশি েিসবে চিক্রিত রে। তাদের নাগরি অধিার থে েবঞ্চিত রা য়। েেড় নেওয়া য় ভোটাধিার। শুরু য় ত্যা-র্ধণ-নির্যাতন আর অত্যাচারের রুণ অধ্যায়। অত্যাচার-নির্যাতনে যোগ য় সমঙ্ত্তি েেড় নেওয়া, বাধ্যতামহৃল শ্রম বি,ি শিক্ষা-স্টতাস্ট্থ্য- সেবার সুযোগ-বঞ্চনা, বিয়ের অনুমতি নেওয়া, জন্ম নিবল্পব্দন না রা, জাতিগত পরিচয় না দেওয়ার মতো নিত্যদিনের গুরুত্দতপহৃর্ণ সব ইস্যু। এমন িসনস্নান যাতে না বাড়ে, সে বিয়ে এরে পর এ বিধিনিধে জারি তে থা।ে
১৯৪৭-এর মার্চে চিন, াচিন ও ারেন জনগোষ্ঠীর ভব্যিৎ নির্ধারণ নিয়ে এটি চুক্তি স্টতাক্ষর রেন ফেডারেল শান সদ্বেট প্রতিনিধিরা। ভিল্পম্ন ভিল্পম্ন জাতিগোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা-অধিার নিশ্চিত রতে ১৯৪৭-এর আগেই গঠন রা য় 'সুপ্রিম াউন্সিল অব দ্য ইউনাইটেড লি পিপল'-এসসিওইউএইচপি। এটিই ছিল মিয়ানমারের পাাড়ি জনপদে দতন্দত-সংঘাত বল্পব্দ ও ভ্রাতৃত্দতমহৃল মনোভাব নিয়ে গঠিত প্রথম ার্যর পদক্ষেপ। ১৯৪৭-এর ফেব্রুয়ারিতেই পাাড়ি জনজীবন েশানস্নিপহৃর্ণ এটি চুক্তি সই রার উদ্যোগ নেন নোবেল বিজয়ী গণতন্পামী নেত্রী অং সান সু চির বাবা জেনারেল অং সান, যা পরে 'প্যাংলং চুক্তি' নামে খ্যাতি পায়। ১৯ জুলাই মিয়ানমারের স্টতাধীনতা চুক্তি স্টতাক্ষরের মাত্র ছয় মাস আগে আততায়ীর গুলিতে নিত ন জেনারেল অং সান ও তার সযোগীদের য়েজন।
ন্তুি ওই পর্যনস্নই। াগজে আছে গোয়ালে নেই অবস্ট্থা। সামরি জানস্নার ারণে প্যাংলং চুক্তির পরও অবিেলত ও সুবিধাবঞ্চিত রয়ে গেছে াচিন ও ারেন জনগোষ্ঠীর মন, শান ও চিন জনজাতির মানু। নির্যাতিত, অবিেলত, শোতি ও সুবিধাবঞ্চিত রয়ে গেছে রোঙ্গিা মুসলিমরা।
২০১২ সালের অক্টোবরে জাতিগত ােন্দল েন্দ্রে রে রোঙ্গিা ও সব নৃতাত্তি্ব গোষ্ঠীর মুসলিম এবং বৌদব্দ রাখাইনদের মধ্যে শুরু য় দাঙ্গা। দাঙ্গার ারণ েিসবে উল্ক্নেখ রা য় এ রাখাইন তরুণী ের্ধণ ও ত্যার গুজবে বৌদব্দদের দতারা ১০ মুসলিম েত্যা রা। পরিস্টি্থতি এতটাই খারাপ য় যে, নিয়ন্পণে ারফিউ জারি ও পরে সেনা মোতায়েন রে থেইন সেইন সরার। এ দাঙ্গায় ৮৮ জন রোঙ্গিার মৃত্যুর খবর স্টতীার রেছেন মিয়ানমারের সরারপ্রধান। এই সঙ্গে আনুমানি ৯০ াজার লো বাস্ট্তুচ্যুত, ২,৫২৮টি বাড়িতে আগুন ও মিয়ানমার সেনাবানিীর বিরুদব্দে পক্ষপাতিত্দেতর অভিযোগ তোলে বিশতবাসী।
পরিস্টি্থতি স্টতাভাবি রাখতে প্রাথমি পদক্ষেপ েিসবে রোঙ্গিাদের দেশের বাইরে পাঠানোর প্রস্টস্নাব রেন থেইন সেইন। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অ্যামনেসদ্বি ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য মানবাধিার সংস্ট্থা প্রশংসা রলেও প্রস্টস্নাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান রে য়েটি মানবাধিার সংস্ট্থা। রোঙ্গিাদের মানবি সংট সৃষদ্বির জন্য মিয়ানমার সরার েদায়ী রে সংস্ট্থাগুলো।
এর আগে, ১৯৭৭-এ মিয়ানমারে অপারেশন নাগামিনের (ড্রাগন ংি) সময়ও প্রায় দুই লাখ রোঙ্গিা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। তবে দেড় বছরের মধ্যে এটি দতিপক্ষীয় চুক্তির ফলে মিয়ানমার সেবার তাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য য়। ১৯৯১ সালে মিয়ানমার সরার অভ্যনস্নরীণ সমস্যা থে েদৃষদ্বি ফেরানোর জন্য আবারও রোঙ্গিাদের ওপর চড়াও লে ১৯৯২-এর প্রথম দিইে প্রায় পৌনে তিন লাখ রোঙ্গিা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ রে। তৎালীন সুইডিশ রাষদ্ব্রদহৃত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ প্রার সল্ফ্মত রান যে, যারা মিয়ানমার ফিরতে চায়, মিয়ানমার সরার তাদের ফিরিয়ে নেবে। ফলে ১৯৯৪ থে ে২০০৪ পর্যনস্ন প্রায় এ লাখ শরণার্থী েপ্রত্যাবাসন রা য়। তার পর থে েএ বিয়ে আর অগ্রগতি নেই।
শুধু সামরি জানস্নাই নন, রোঙ্গিাদের ভাগ্যের চাা পরিবর্তনে আামরি তেমন ােনো পদক্ষেপই গ্রণ রেননি শানস্নিতে নোবেল বিজয়ী গণতন্পামী নেত্রী অং সান সু চিও। অথচ ১৯৪৭ সালে রা অং সানের 'প্যাংলং' চুক্তিতে সঙ্ষদ্ব উল্ক্নেখ আছে যে, বার্মিজরা যদি এ ায়াত (বার্মার মুদ্রার নাম) পায়, তবে প্রানস্নি জনগোষ্ঠীর লোও এ ায়াত পাবে। বৌদব্দদের মতো আদিবাসী প্রানস্নি এ জনগোষ্ঠীওে সমান অধিার ভোগ রার অধিার দিয়েছে এ প্যাংলং চুক্তি।
অং সান সু চি প্রাক্তন জেনারেল থেইন সেইনের শাসনামলে সামরি অভ্যুত্থানে ারানো গণতান্পি অধিার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ঠিই, ন্তুি এখনও বৌদব্দ ধর্মাবলল্ফতীদের সঙ্গে াচির চিন, মন, শান, ারেনস জনজাতীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে বোঝাপড়াটা শে রতে পারেননি তিনি। যে ারণে এখনও নির্যাতনের শিার চ্ছে রোঙ্গিারা।
সমান অধিারের ভিত্তিতে এবং প্রানস্নি এলাাগুলোতে পহৃর্ণাঙ্গ স্টতায়ত্তশাসনের দাবি সংবলিত সু চির বাবা জেনারেল অং সানের রা ১৯৪৭ সালের 'প্যাংলং' চুক্তিটিই বেল এই সংঘাত দহৃর রতে পারে। এই চুক্তিতেই নিতি রয়েছে রোঙ্গিা মুসলিমদের নাগরিত্দত প্রদান ও সমতায় নিয়ে আসার মহৃলমন্প। মিয়ানমারে শানস্নি, সাম্য ও সমতা প্রতিষ্ঠার এমাত্র পথ।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশে েপাাড়ি জনপদের এসব প্রানস্নি জনগোষ্ঠী বর্তমান গণতন্প ও মানবাধিার আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চিরই দেশের ভোটার। এদের আর ােথাও যাওয়ার বা আর ােনো দেশে আশ্রয় নেওয়ার ােনো প্রয়োজন নেই। অধিার নিশ্চিতে প্রয়োজন বেল শক্ত াতে এই সজ সত্যটি েনিজ দেশের মানুরে াছে গ্রণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত রা। আর এই সজ সত্যটি েপ্রতিষ্ঠিত রতে প্রধান ভূমিা রাখতে বে মিয়ানমারের গণতন্প ও মানবাধিার আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চিইে। যে পথে বহু বছর আগে ঁেটেছিলেন তার বাবা জেনারেল অং সান, সে পথেই মিলবে সু চিরও মুক্তি।
স সাংবাদি
৬ লাখ ৭৮ াজার ৫০০ বর্গেিলামিটার এলাাজুড়ে বিস্টস্নৃত মিয়ানমার। মিয়ানমারের পশ্চিমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ ও ভারতের মিজোরাম, উত্তর-পশ্চিমে ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুর অবস্টি্থত। মিয়ানমারের ন্দ্রেীয় নিল্ফম্নভহৃমি মহৃলত সরু ও দীর্ঘ। এগুলো ইরাবতী-সিত্তাং নদীর ব-দতীপ এলাায় প্রায় ৩২০ েিলামিটার প্রশস্টস্ন। এই ব-দতীপীয় সমভূমিতেই বাস াচিন ও ারেন জনগোষ্ঠীর মন, শান, চিন, মগ ও রোঙ্গিা জনজাতির। অন্যদের ধর্ম ভিল্পম্ন লেও মগরা বৌদব্দ ধর্মাবলল্ফতী। আরাান রাজ্যে ডাাতি রাই ছিল মগদের প্রধান পেশা। সে ারণেই বৌদব্দদের নামরণ রা য়েছে 'মগ'। মগদের দৌরাত্য বেড়ে গেলে মোগলরা তাদের তাড়া রে আরাান জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।
১৪৩০ থে ে১৭৮৪ সাল পর্যনস্ন ২২ াজার বর্গমাইল আয়তনের আরাান বা রোঙ্গিা স্টতাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল রার পর বৌদব্দ আধিপত্য শুরু য়। এ সময় ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখ-। সে সময় মিয়ানমারের শাসরা ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিা তৈরি রে। ন্তুি বাদ ছিল বেল রোঙ্গিাদের নাম অনস্নর্ভুক্তি।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি স্টতাধীনতা অর্জন ও বহুদলীয় গণতন্পের পথে যাত্রা শুরু রে মিয়ানমার। সে সময়ে পার্লামেন্টেও রোঙ্গিাদের প্রতিনিধিত্দত ছিল। ন্তুি ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষদ্ব্রক্ষমতা দখল রলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিল্পম্ন খাতে প্রবাতি তে শুরু রে। রোঙ্গিাদের জন্য শুরু য় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরি জানস্না তাদের বিদেশি েিসবে চিক্রিত রে। তাদের নাগরি অধিার থে েবঞ্চিত রা য়। েেড় নেওয়া য় ভোটাধিার। শুরু য় ত্যা-র্ধণ-নির্যাতন আর অত্যাচারের রুণ অধ্যায়। অত্যাচার-নির্যাতনে যোগ য় সমঙ্ত্তি েেড় নেওয়া, বাধ্যতামহৃল শ্রম বি,ি শিক্ষা-স্টতাস্ট্থ্য- সেবার সুযোগ-বঞ্চনা, বিয়ের অনুমতি নেওয়া, জন্ম নিবল্পব্দন না রা, জাতিগত পরিচয় না দেওয়ার মতো নিত্যদিনের গুরুত্দতপহৃর্ণ সব ইস্যু। এমন িসনস্নান যাতে না বাড়ে, সে বিয়ে এরে পর এ বিধিনিধে জারি তে থা।ে
১৯৪৭-এর মার্চে চিন, াচিন ও ারেন জনগোষ্ঠীর ভব্যিৎ নির্ধারণ নিয়ে এটি চুক্তি স্টতাক্ষর রেন ফেডারেল শান সদ্বেট প্রতিনিধিরা। ভিল্পম্ন ভিল্পম্ন জাতিগোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা-অধিার নিশ্চিত রতে ১৯৪৭-এর আগেই গঠন রা য় 'সুপ্রিম াউন্সিল অব দ্য ইউনাইটেড লি পিপল'-এসসিওইউএইচপি। এটিই ছিল মিয়ানমারের পাাড়ি জনপদে দতন্দত-সংঘাত বল্পব্দ ও ভ্রাতৃত্দতমহৃল মনোভাব নিয়ে গঠিত প্রথম ার্যর পদক্ষেপ। ১৯৪৭-এর ফেব্রুয়ারিতেই পাাড়ি জনজীবন েশানস্নিপহৃর্ণ এটি চুক্তি সই রার উদ্যোগ নেন নোবেল বিজয়ী গণতন্পামী নেত্রী অং সান সু চির বাবা জেনারেল অং সান, যা পরে 'প্যাংলং চুক্তি' নামে খ্যাতি পায়। ১৯ জুলাই মিয়ানমারের স্টতাধীনতা চুক্তি স্টতাক্ষরের মাত্র ছয় মাস আগে আততায়ীর গুলিতে নিত ন জেনারেল অং সান ও তার সযোগীদের য়েজন।
ন্তুি ওই পর্যনস্নই। াগজে আছে গোয়ালে নেই অবস্ট্থা। সামরি জানস্নার ারণে প্যাংলং চুক্তির পরও অবিেলত ও সুবিধাবঞ্চিত রয়ে গেছে াচিন ও ারেন জনগোষ্ঠীর মন, শান ও চিন জনজাতির মানু। নির্যাতিত, অবিেলত, শোতি ও সুবিধাবঞ্চিত রয়ে গেছে রোঙ্গিা মুসলিমরা।
২০১২ সালের অক্টোবরে জাতিগত ােন্দল েন্দ্রে রে রোঙ্গিা ও সব নৃতাত্তি্ব গোষ্ঠীর মুসলিম এবং বৌদব্দ রাখাইনদের মধ্যে শুরু য় দাঙ্গা। দাঙ্গার ারণ েিসবে উল্ক্নেখ রা য় এ রাখাইন তরুণী ের্ধণ ও ত্যার গুজবে বৌদব্দদের দতারা ১০ মুসলিম েত্যা রা। পরিস্টি্থতি এতটাই খারাপ য় যে, নিয়ন্পণে ারফিউ জারি ও পরে সেনা মোতায়েন রে থেইন সেইন সরার। এ দাঙ্গায় ৮৮ জন রোঙ্গিার মৃত্যুর খবর স্টতীার রেছেন মিয়ানমারের সরারপ্রধান। এই সঙ্গে আনুমানি ৯০ াজার লো বাস্ট্তুচ্যুত, ২,৫২৮টি বাড়িতে আগুন ও মিয়ানমার সেনাবানিীর বিরুদব্দে পক্ষপাতিত্দেতর অভিযোগ তোলে বিশতবাসী।
পরিস্টি্থতি স্টতাভাবি রাখতে প্রাথমি পদক্ষেপ েিসবে রোঙ্গিাদের দেশের বাইরে পাঠানোর প্রস্টস্নাব রেন থেইন সেইন। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অ্যামনেসদ্বি ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য মানবাধিার সংস্ট্থা প্রশংসা রলেও প্রস্টস্নাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান রে য়েটি মানবাধিার সংস্ট্থা। রোঙ্গিাদের মানবি সংট সৃষদ্বির জন্য মিয়ানমার সরার েদায়ী রে সংস্ট্থাগুলো।
এর আগে, ১৯৭৭-এ মিয়ানমারে অপারেশন নাগামিনের (ড্রাগন ংি) সময়ও প্রায় দুই লাখ রোঙ্গিা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। তবে দেড় বছরের মধ্যে এটি দতিপক্ষীয় চুক্তির ফলে মিয়ানমার সেবার তাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য য়। ১৯৯১ সালে মিয়ানমার সরার অভ্যনস্নরীণ সমস্যা থে েদৃষদ্বি ফেরানোর জন্য আবারও রোঙ্গিাদের ওপর চড়াও লে ১৯৯২-এর প্রথম দিইে প্রায় পৌনে তিন লাখ রোঙ্গিা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ রে। তৎালীন সুইডিশ রাষদ্ব্রদহৃত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ প্রার সল্ফ্মত রান যে, যারা মিয়ানমার ফিরতে চায়, মিয়ানমার সরার তাদের ফিরিয়ে নেবে। ফলে ১৯৯৪ থে ে২০০৪ পর্যনস্ন প্রায় এ লাখ শরণার্থী েপ্রত্যাবাসন রা য়। তার পর থে েএ বিয়ে আর অগ্রগতি নেই।
শুধু সামরি জানস্নাই নন, রোঙ্গিাদের ভাগ্যের চাা পরিবর্তনে আামরি তেমন ােনো পদক্ষেপই গ্রণ রেননি শানস্নিতে নোবেল বিজয়ী গণতন্পামী নেত্রী অং সান সু চিও। অথচ ১৯৪৭ সালে রা অং সানের 'প্যাংলং' চুক্তিতে সঙ্ষদ্ব উল্ক্নেখ আছে যে, বার্মিজরা যদি এ ায়াত (বার্মার মুদ্রার নাম) পায়, তবে প্রানস্নি জনগোষ্ঠীর লোও এ ায়াত পাবে। বৌদব্দদের মতো আদিবাসী প্রানস্নি এ জনগোষ্ঠীওে সমান অধিার ভোগ রার অধিার দিয়েছে এ প্যাংলং চুক্তি।
অং সান সু চি প্রাক্তন জেনারেল থেইন সেইনের শাসনামলে সামরি অভ্যুত্থানে ারানো গণতান্পি অধিার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ঠিই, ন্তুি এখনও বৌদব্দ ধর্মাবলল্ফতীদের সঙ্গে াচির চিন, মন, শান, ারেনস জনজাতীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে বোঝাপড়াটা শে রতে পারেননি তিনি। যে ারণে এখনও নির্যাতনের শিার চ্ছে রোঙ্গিারা।
সমান অধিারের ভিত্তিতে এবং প্রানস্নি এলাাগুলোতে পহৃর্ণাঙ্গ স্টতায়ত্তশাসনের দাবি সংবলিত সু চির বাবা জেনারেল অং সানের রা ১৯৪৭ সালের 'প্যাংলং' চুক্তিটিই বেল এই সংঘাত দহৃর রতে পারে। এই চুক্তিতেই নিতি রয়েছে রোঙ্গিা মুসলিমদের নাগরিত্দত প্রদান ও সমতায় নিয়ে আসার মহৃলমন্প। মিয়ানমারে শানস্নি, সাম্য ও সমতা প্রতিষ্ঠার এমাত্র পথ।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশে েপাাড়ি জনপদের এসব প্রানস্নি জনগোষ্ঠী বর্তমান গণতন্প ও মানবাধিার আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চিরই দেশের ভোটার। এদের আর ােথাও যাওয়ার বা আর ােনো দেশে আশ্রয় নেওয়ার ােনো প্রয়োজন নেই। অধিার নিশ্চিতে প্রয়োজন বেল শক্ত াতে এই সজ সত্যটি েনিজ দেশের মানুরে াছে গ্রণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত রা। আর এই সজ সত্যটি েপ্রতিষ্ঠিত রতে প্রধান ভূমিা রাখতে বে মিয়ানমারের গণতন্প ও মানবাধিার আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চিইে। যে পথে বহু বছর আগে ঁেটেছিলেন তার বাবা জেনারেল অং সান, সে পথেই মিলবে সু চিরও মুক্তি।
স সাংবাদি
No comments