নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা সরকার এখন আরও শক্ত অবস্থানে
হেফাজতে ইসলাম ও বিরোধী দলের আন্দোলন
দমনের পর নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে সরকার ও আওয়ামী
লীগ। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প অন্য
কাউকে ভাবতে চাইছে না দলটি।
আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ
পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, সংলাপের কথা বলা হলেও অনির্বাচিত ব্যক্তিদের
সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান ক্রমশই শক্ত
হচ্ছে। এমনকি নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সংসদ বা সংসদের বাইরে
আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনার প্রস্তাব না দেওয়ার পক্ষে। তবে বিরোধী
দল সংসদে এ ব্যাপারে প্রস্তাব আনলে সরকার আলোচনার সুযোগ দেবে।
কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলকে আলোচনার কথা বললেও তাঁদের বক্তৃতার মূল সুর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে। সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই দেশে নির্বাচন হবে বলে তাঁরা জোরালো বক্তব্য দিচ্ছেন। সংবিধানে দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার বিধান থাকায় শেখ হাসিনা সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ও দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সংবিধানবহির্ভূত কিছু হবে না।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা জানান, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরকার ও আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বিরোধী দল নতুন করে আন্দোলন চাঙা করতে পারবে না বলে তাঁদের ধারণা। হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে রাজপথে বিরোধী দলের বড় আন্দোলন শক্ত হাতে মোকাবিলা করায় সরকারের মনোবল বেড়ে গেছে।
সরকার মনে করছে, সরকারকে বিপাকে ফেলে দেওয়ার মতো আন্দোলন করার শক্তি আর বিএনপি-জামায়াতের নেই। আন্দোলনে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি এবং কৌশল এরই মধ্যে দেখানো হয়ে গেছে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেওয়ায় তাদের আন্দোলনের যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এরপর রোজা এবং ঈদের পর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে আন্দোলন জমানোর সুযোগ থাকবে না।
সরকারের একজন নীতিনির্ধারক জানান, নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের কার্যপরিধি নিয়ে তাঁরা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি-জামায়াত সরকারের পতন ঘটাতে হেফাজতে ইসলামকে ঢাকায় এনে ব্যাপক সহিংসতা চালায়। বিরোধীদলীয় নেত্রী দাবি মানতে সরকারকে পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দেন। সরকার এ অবস্থা কাটিয়ে রাজনৈতিক অবস্থান সুসংহত করেছে। এখন বিরোধী দলকে কোনো ছাড় দেওয়ার পক্ষে তাঁরা নন। নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মেনেই বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলকে আলোচনার কথা বললেও তাঁদের বক্তৃতার মূল সুর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে। সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই দেশে নির্বাচন হবে বলে তাঁরা জোরালো বক্তব্য দিচ্ছেন। সংবিধানে দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার বিধান থাকায় শেখ হাসিনা সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ও দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সংবিধানবহির্ভূত কিছু হবে না।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা জানান, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরকার ও আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বিরোধী দল নতুন করে আন্দোলন চাঙা করতে পারবে না বলে তাঁদের ধারণা। হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে রাজপথে বিরোধী দলের বড় আন্দোলন শক্ত হাতে মোকাবিলা করায় সরকারের মনোবল বেড়ে গেছে।
সরকার মনে করছে, সরকারকে বিপাকে ফেলে দেওয়ার মতো আন্দোলন করার শক্তি আর বিএনপি-জামায়াতের নেই। আন্দোলনে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি এবং কৌশল এরই মধ্যে দেখানো হয়ে গেছে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেওয়ায় তাদের আন্দোলনের যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এরপর রোজা এবং ঈদের পর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে আন্দোলন জমানোর সুযোগ থাকবে না।
সরকারের একজন নীতিনির্ধারক জানান, নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের কার্যপরিধি নিয়ে তাঁরা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি-জামায়াত সরকারের পতন ঘটাতে হেফাজতে ইসলামকে ঢাকায় এনে ব্যাপক সহিংসতা চালায়। বিরোধীদলীয় নেত্রী দাবি মানতে সরকারকে পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দেন। সরকার এ অবস্থা কাটিয়ে রাজনৈতিক অবস্থান সুসংহত করেছে। এখন বিরোধী দলকে কোনো ছাড় দেওয়ার পক্ষে তাঁরা নন। নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মেনেই বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
No comments