ট্রাইব্যুনাল অবমাননার দায়ে ॥ দুই জামায়াত নেতার কারাদন্ড ০ এ অজুহাতে হরতাল ডেকে বোমাবাজি করেছে জামায়াত-শিবির ০ জামায়াতের হরতালের সমর্থনে ছাত্রদলের মিছিল
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের
বিচারাধীন বিষয়ে বক্তৃতা দেয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে
জামায়াতের তিন নেতাকে জরিমানা ও তাদের দু’জনকে তিন মাসের করাদ- দিয়েছে
ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বক্তব্য
ও দেশে ‘গৃহযুদ্ধের’ হুমকি দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এ তিন নেতা হচ্ছেন-
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কর্মপরিষদ
সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ এমপি ও মহানগর সহকারী সেক্রেটারি সেলিম উদ্দিন।
এদিকে আদালত অবমাননার অপরাধে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে
সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত-শিবির। হরতাল ডেকেই রবিবার রাজধানীতে
গাড়ি ভাংচুর, বোমা হামলাসহ তা-ব চালিয়েছে। রাজধানীতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল
হক ইনুর বাসা লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করেছে তারা। রবিবার
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্তদের বিচারাধীন বিষয়ে বক্তৃতা দেয়ায় আদালত
অবমাননার অভিযোগে তিন জামায়াত নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়
ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন
সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ প্রদান করেছে।
ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও জেলা
জজ মোঃ শাহিনুর ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার
আলী জানান, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ এমপি এবং
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খানকে তিন মাসের কারাদ- এবং
তিন হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই সপ্তাহের জেলের আদেশ দেয়
ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে
ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাঁকে এক হাজার টাকা জরিমানা এবং আদালত কার্যক্রম
চলাকালীন আদালতে বসে থাকার শাস্তি দেয়া হয়। তবে এক হাজার টাকা এক সপ্তাহের
মধ্যে না দিলে দুই সপ্তাহ করা ভোগ করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলে,
পুলিশের প্রতিবেদনে রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদকে পলাতক দেখানো
হয়েছে। কিন্তু তাঁরা জনসমক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান
আযাদ সংসদেও গেছেন। তাঁরা ট্রাইব্যুনালে হাজির না হয়ে আদালত অবমাননা
করেছেন। তাঁদের গ্রেফতার করার পর অথবা আত্মসমর্পণের পর থেকে এ সাজা কার্যকর
হবে। গত ২ জুন এই তিন জামায়াত নেতার আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত
হয়। ওই দিন সেলিম উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম। তবে
জামায়াতের অপর ২ নেতার পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত আজ
আদেশের দিন ধার্য করে। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের এ তিন নেতার
বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না
তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শোকজ নোটিস জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ২ জুন
শুনানি শেষে আদালত ৯ জুন আদেশের দিন ধার্য করে। এর আগে গত ২৯ মে তিন নেতার
বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও ফুটেজ দেখার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায় আদালত। আদেশ
অনুযায়ী ২ জুন এটিএন নিউজ ও আরটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে ট্রাইব্যুনাল। এর আগে
৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলে জামায়াতের এক সমাবেশে এই তিন নেতা
বিচারাধীন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
মতিঝিলে জামায়াতের এক সমাবেশে সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। সবকিছু হিসেব করে রায় দেন। তিনি বলেন, একটা রায়ই শেষ নয়। রায়ের পর রায়, এরপর বহু প্রতিক্রিয়া আছে। বিষয়টি হালকাভাবে দেখলে চলবে না। দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে হলে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। একই সমাবেশে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, স্কাইপে সংলাপের গোপন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর এ ট্রাইব্যুনাল আর এক মুহূর্তও চলতে পারে না। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম খান গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসব্রিফিংয়ে একই ধরনের বক্তব্য দেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের সূত্র ধরে ৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করে সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় ট্রাইব্যুনাল। এদিকে রায়ের পরই জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে আজ দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেন। বিবৃতিতে জামায়াত নেতা দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালের এই আদেশে তাদের নেতারা ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছেন। সরকারের উদ্দেশ্যই হলো জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যেনতেন উপায়ে শাস্তি দিয়ে জামায়াতকে সমূলে উৎপাটন করা। সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দেশব্যাপী অব্যাহতভাবে গণগ্রেফতার, গণনির্যাতন চালাচ্ছে। তারা জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা করার ষড়যন্ত্র করছে। তাঁর অভিযোগ, প্রায় ২২ মাস ধরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগরী কার্যালয়সহ বিভিন্ন জেলা কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কোথাও কোন মিছিল বা সভা-সমাবেশের আয়োজন করলেই পুলিশ তা প- করে দিচ্ছে। মকবুল আহমাদের দাবি, তাদের দলীয় কোন বৈঠক হলেই পুলিশ তাতে হানা দিয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক বলে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। সরকারের ৫৪ মাসের শাসনামলে সারাদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৪৩ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে নেয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মীকে। মামলা দেয়া হয়েছে ২৬ হাজারের মতো। মিথ্যা অভিযোগে আসামি করা হয়েছে ৫ লাখেরও বেশি। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশে মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাজা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে বলে অভিযোগ এ জামায়াত নেতার। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের ঘটনাকে প্রহসন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের আঁকা ছক অনুযায়ী জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাজা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে। মন্ত্রীগণ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে যেসব বক্তব্য দিয়েছে তাতে সরকারী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বুঝতে জনগণের বেগ পেতে হয়নি। অন্যদিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন (রাসিক) উপলক্ষে আজ রাজশাহী ও বরিশাল মহানগর এলাকা হরতালের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। দুই মহানগর শাখার প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে হরতাল ডেকেই রাজধানীতে নাশকতা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। তারা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বাসভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০টি যানবাহন ভাংচুর করেছে। হরতালের সমর্থনে রাজধানীর রমনা থানাধীন কাকরাইল মোড়, নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে জামায়াত-শিবির। তারা অন্তত ৮-১০টি যানবাহনে ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশের অভিযানের মুখে হামলাকারীরা সরে যায়। যদিও পুলিশ এর সত্যতা স্বীকার করেনি। রাজধানীর খিলগাঁও ও রামপুরায় ৯টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ছাত্রদল। রবিবার বেলা ১১টায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ছাত্রদল। মিছিল শেষে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান টিটু। মিছিল শেষে ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টের সামনে সমাবেশ করে ছাত্রদল কর্মীরা। সমাবেশ শেষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ছাত্রদল কর্মীরা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ ছাড়া রামপুরার দক্ষিণ বনশ্রীতে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে খিলগাঁও থানার সভাপতি শাহীন রেজা শিবলু ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে তিতাস রোডের মোড়ে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে তারা ৪টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। জামায়াতের ডাকা আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রবিবার বিকেল ৪টায় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা জামায়াতে ইসলামী।
বগুড়ায় জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষ, ১৬ জন গ্রেফতার ॥ স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের ডা. ইসাহাক লেনে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবির জঙ্গী মিছিল বের করে ও পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ প্রথমে ধাওয়া দিলে শিবিরের কাডাররা মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি কর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ৫০ রাউন্ড রাবারবুলেট নিক্ষেপ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ হওয়ার সময় জামায়াত-শিবিরের ১৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার পর জামায়াত-শিবির শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথায় মিছিল করে।
ট্রাইব্যুনাল অবমাননার দায়ে ॥ দুই জামায়াত নেতার কারাদন্ড
বার বার হোঁচট খাচ্ছে বিএনপি
বর্তমান সরকার আমলে সাড়ে ৩৩ লাখ নয়া বিদ্যুত সংযোগ
যুদ্ধাপরাধ বিচারবিরোধী শক্তি অর্থনৈতিক অর্জন বাধাগ্রস্ত করছে
তথ্যমন্ত্রীর বাসার সামনে বোমা ফাটাল কারা
রাজধানীতে গাড়ি প্রতারক পরিবারের সন্ধান
খুলনায় শ্রমিক ভোট টানার চেষ্টা, লিটন-বুলবুলের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে
সংসদে বিএনপির মহিলা এমপিদের অশালীন বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ
এ মাসের মধ্যেই অষ্টম ওয়েজবোর্ড চূড়ান্ত হবে ॥ তথ্যমন্ত্রী
পবিত্র শব-ই বরাত ২৪ জুন
তাজরীন গার্মেন্টসের ॥ নিখোঁজ ৩৭ জনের পরিবারের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
সংসদে মন্ত্রীর তথ্য ॥ হেফাজতের তা-বে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি
তত্ত্বাবধায়ক বিল ॥ আনলে বিএনপি পাস করতে সহযোগিতা করবে ॥ এমকে আনোয়ার
তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার হরতাল চলছে
তথ্যমন্ত্রীর বাসায় শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ ॥ নিন্দার ঝড়
মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ১৫ জুন থেকে
নিউজপ্রিন্টের ওপর ॥ আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব ॥ নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ
ছেলেকে হারিয়ে নিঃস্ব
মুক্তিযোদ্ধা ও লেখিকা নিবেদিতা দাশ পুরকায়স্থর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
সাবধানবাণী: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই সাইটের কোন উপাদান ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
মতিঝিলে জামায়াতের এক সমাবেশে সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। সবকিছু হিসেব করে রায় দেন। তিনি বলেন, একটা রায়ই শেষ নয়। রায়ের পর রায়, এরপর বহু প্রতিক্রিয়া আছে। বিষয়টি হালকাভাবে দেখলে চলবে না। দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে হলে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। একই সমাবেশে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, স্কাইপে সংলাপের গোপন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর এ ট্রাইব্যুনাল আর এক মুহূর্তও চলতে পারে না। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম খান গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসব্রিফিংয়ে একই ধরনের বক্তব্য দেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের সূত্র ধরে ৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করে সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় ট্রাইব্যুনাল। এদিকে রায়ের পরই জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে আজ দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেন। বিবৃতিতে জামায়াত নেতা দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালের এই আদেশে তাদের নেতারা ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছেন। সরকারের উদ্দেশ্যই হলো জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যেনতেন উপায়ে শাস্তি দিয়ে জামায়াতকে সমূলে উৎপাটন করা। সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দেশব্যাপী অব্যাহতভাবে গণগ্রেফতার, গণনির্যাতন চালাচ্ছে। তারা জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা করার ষড়যন্ত্র করছে। তাঁর অভিযোগ, প্রায় ২২ মাস ধরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগরী কার্যালয়সহ বিভিন্ন জেলা কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কোথাও কোন মিছিল বা সভা-সমাবেশের আয়োজন করলেই পুলিশ তা প- করে দিচ্ছে। মকবুল আহমাদের দাবি, তাদের দলীয় কোন বৈঠক হলেই পুলিশ তাতে হানা দিয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক বলে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। সরকারের ৫৪ মাসের শাসনামলে সারাদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৪৩ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে নেয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মীকে। মামলা দেয়া হয়েছে ২৬ হাজারের মতো। মিথ্যা অভিযোগে আসামি করা হয়েছে ৫ লাখেরও বেশি। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশে মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাজা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে বলে অভিযোগ এ জামায়াত নেতার। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের ঘটনাকে প্রহসন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের আঁকা ছক অনুযায়ী জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাজা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে। মন্ত্রীগণ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে যেসব বক্তব্য দিয়েছে তাতে সরকারী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বুঝতে জনগণের বেগ পেতে হয়নি। অন্যদিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন (রাসিক) উপলক্ষে আজ রাজশাহী ও বরিশাল মহানগর এলাকা হরতালের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। দুই মহানগর শাখার প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে হরতাল ডেকেই রাজধানীতে নাশকতা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। তারা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বাসভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০টি যানবাহন ভাংচুর করেছে। হরতালের সমর্থনে রাজধানীর রমনা থানাধীন কাকরাইল মোড়, নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে জামায়াত-শিবির। তারা অন্তত ৮-১০টি যানবাহনে ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশের অভিযানের মুখে হামলাকারীরা সরে যায়। যদিও পুলিশ এর সত্যতা স্বীকার করেনি। রাজধানীর খিলগাঁও ও রামপুরায় ৯টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ছাত্রদল। রবিবার বেলা ১১টায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ছাত্রদল। মিছিল শেষে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান টিটু। মিছিল শেষে ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টের সামনে সমাবেশ করে ছাত্রদল কর্মীরা। সমাবেশ শেষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ছাত্রদল কর্মীরা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ ছাড়া রামপুরার দক্ষিণ বনশ্রীতে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে খিলগাঁও থানার সভাপতি শাহীন রেজা শিবলু ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে তিতাস রোডের মোড়ে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে তারা ৪টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। জামায়াতের ডাকা আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রবিবার বিকেল ৪টায় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা জামায়াতে ইসলামী।
বগুড়ায় জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষ, ১৬ জন গ্রেফতার ॥ স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের ডা. ইসাহাক লেনে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবির জঙ্গী মিছিল বের করে ও পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ প্রথমে ধাওয়া দিলে শিবিরের কাডাররা মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি কর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ৫০ রাউন্ড রাবারবুলেট নিক্ষেপ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ হওয়ার সময় জামায়াত-শিবিরের ১৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার পর জামায়াত-শিবির শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথায় মিছিল করে।
ট্রাইব্যুনাল অবমাননার দায়ে ॥ দুই জামায়াত নেতার কারাদন্ড
বার বার হোঁচট খাচ্ছে বিএনপি
বর্তমান সরকার আমলে সাড়ে ৩৩ লাখ নয়া বিদ্যুত সংযোগ
যুদ্ধাপরাধ বিচারবিরোধী শক্তি অর্থনৈতিক অর্জন বাধাগ্রস্ত করছে
তথ্যমন্ত্রীর বাসার সামনে বোমা ফাটাল কারা
রাজধানীতে গাড়ি প্রতারক পরিবারের সন্ধান
খুলনায় শ্রমিক ভোট টানার চেষ্টা, লিটন-বুলবুলের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে
সংসদে বিএনপির মহিলা এমপিদের অশালীন বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ
এ মাসের মধ্যেই অষ্টম ওয়েজবোর্ড চূড়ান্ত হবে ॥ তথ্যমন্ত্রী
পবিত্র শব-ই বরাত ২৪ জুন
তাজরীন গার্মেন্টসের ॥ নিখোঁজ ৩৭ জনের পরিবারের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
সংসদে মন্ত্রীর তথ্য ॥ হেফাজতের তা-বে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি
তত্ত্বাবধায়ক বিল ॥ আনলে বিএনপি পাস করতে সহযোগিতা করবে ॥ এমকে আনোয়ার
তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার হরতাল চলছে
তথ্যমন্ত্রীর বাসায় শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ ॥ নিন্দার ঝড়
মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ১৫ জুন থেকে
নিউজপ্রিন্টের ওপর ॥ আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব ॥ নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ
ছেলেকে হারিয়ে নিঃস্ব
মুক্তিযোদ্ধা ও লেখিকা নিবেদিতা দাশ পুরকায়স্থর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
সাবধানবাণী: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই সাইটের কোন উপাদান ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments