টিআইবির প্রতিবেদন দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা উদ্বেজনক পর্যায়ে
দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি নানা
উদ্যোগ সত্ত্বেও দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে
রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবমুক্ত হতে
পারেনি।
বিচারব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি, অনিয়ম ও
দীর্ঘসূত্রতা বিদ্যমান। জেলা পর্যায়ে জামিন ও রিমান্ড নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব
কাজ করে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (গবেষণা ও নীতি) শাম্মী লায়লা ইসলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের পথে বাধা। দুদকের সক্ষমতা প্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি করা হয়নি বরং আইনি সংস্কারের মাধ্যমে একে দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বিচার বিভাগ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও নিম্ন আদালতের ওপর প্রশাসনের প্রভাব রয়েছে। উচ্চ আদালতে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ আছে। জেলা পর্যায়ে জামিন দেওয়া কিংবা না দেওয়া, রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর ইত্যাদি বিষয়ে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে।
তবে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের কোনো প্রভাব নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনি ও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে সাফল্যের নজির খুবই কম। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো পাচার করা ১৩ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে জাতিসংঘের সনদ বাস্তবায়নে ২৫টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে আছে দুদককে কার্যকর ও পরিপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ ইত্যাদি।
কালোটাকা সাদা করলেই মুক্তি নেই: আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, ‘আমি একটি কথা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যদি আজ দুর্নীতিমুক্ত হতো, তাহলে পদ্মা সেতু কেন, অনেক সেতুই আমরা নিজেরা করতে পারতাম।’ বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা কর আদায়ের লক্ষ্যে করা হয়েছে। তবে দুদক এই টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, সব কালোটাকা কালো নয়। এটা বিবেচনায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, সাধারণ মানুষ আইনকানুন মানতে চায়। কিন্তু যিনি নিয়মকানুন মানেন না, তাকে যখন শাস্তি পেতে হয় না, তখন দুর্নীতি বাড়ে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কালোটাকা সাদা করার প্রবণতা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়। এটা অসাংবিধানিক ও অনৈতিক। আশা করি সরকার এ পথ থেকে সরে আসবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাসরীন বেগম প্রমুখ।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (গবেষণা ও নীতি) শাম্মী লায়লা ইসলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের পথে বাধা। দুদকের সক্ষমতা প্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি করা হয়নি বরং আইনি সংস্কারের মাধ্যমে একে দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বিচার বিভাগ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও নিম্ন আদালতের ওপর প্রশাসনের প্রভাব রয়েছে। উচ্চ আদালতে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ আছে। জেলা পর্যায়ে জামিন দেওয়া কিংবা না দেওয়া, রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর ইত্যাদি বিষয়ে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে।
তবে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের কোনো প্রভাব নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনি ও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে সাফল্যের নজির খুবই কম। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো পাচার করা ১৩ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে জাতিসংঘের সনদ বাস্তবায়নে ২৫টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে আছে দুদককে কার্যকর ও পরিপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ ইত্যাদি।
কালোটাকা সাদা করলেই মুক্তি নেই: আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, ‘আমি একটি কথা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যদি আজ দুর্নীতিমুক্ত হতো, তাহলে পদ্মা সেতু কেন, অনেক সেতুই আমরা নিজেরা করতে পারতাম।’ বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা কর আদায়ের লক্ষ্যে করা হয়েছে। তবে দুদক এই টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, সব কালোটাকা কালো নয়। এটা বিবেচনায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, সাধারণ মানুষ আইনকানুন মানতে চায়। কিন্তু যিনি নিয়মকানুন মানেন না, তাকে যখন শাস্তি পেতে হয় না, তখন দুর্নীতি বাড়ে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কালোটাকা সাদা করার প্রবণতা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়। এটা অসাংবিধানিক ও অনৈতিক। আশা করি সরকার এ পথ থেকে সরে আসবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাসরীন বেগম প্রমুখ।
No comments