গোলটেবিলে টিআইবি-দুর্নীতির ব্যাপকতা এখনো উদ্বেগজনক
জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদের সদস্য
রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্তির সাত বছর পরও বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও
গভীরতা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংগঠনটির মতে, গত বছরের খানা জরিপে
তার আগের বছরের তুলনায় বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি কমলেও সরকারি-বেসরকারি
প্রতিষ্ঠানে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতির
শিকারে পরিণত হয়।
গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে 'জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে টিআইবি এসব মন্তব্য করে। দুদকের প্রবন্ধে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখনো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরোপুরি প্রভাবমুক্তভাবে স্বকীয় ভূমিকা দেখাতে পারেনি। রাজনৈতিক বিবেচনায় দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার ও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার মতো পদক্ষেপগুলো দমনের বদলে দুর্নীতিকেই উৎসাহিত করছে প্রতিষ্ঠানটি।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, প্রধান তথ্য কমিশনার মো. ফারুকসহ অনেকে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, 'কিছু সংখ্যক ব্যক্তি এত টাকা করেছেন যে হিসাব করে ট্যাক্সটা পর্যন্ত দিতে পারছেন না। তাঁরা সমাজকে কলুষিত করে ফেলেছেন। তাঁদের ধরা যাচ্ছে না। সেই জবাবদিহিতার জায়গাটা অবশ্যই ঠিক করতে হবে। কালো টাকা সাদা করা ব্যক্তি কেন শাস্তি পাবেন না? তাঁদের জন্য কেন ১০ শতাংশ কর দিয়েই কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দিতে হবে?'
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ানো হয়নি। বরং আইনি সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে একটি দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে টিআইবির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, জাতীয় সংসদ, জনপ্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগের মতো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রেখে সততার সঙ্গে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, 'উন্নয়নশীল দেশে দুর্নীতি একটি ব্যাধি। বাংলাদেশ যদি দুর্নীতিমুক্ত হতে পারত, তাহলে শুধু পদ্মা সেতু নয়, আরো অনেক সেতুই নিজস্ব অর্থায়নে করতে পারতাম।' কালো টাকা সাদা করার সুযোগদান সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার রাজস্ব বাড়াতে এই সুযোগ দিতে পারে; কিন্তু সেই টাকার উৎস সম্পর্কে দুদক জানতে পারে। ঘুষের টাকা সাদা করলে দুদক ব্যবস্থা নেবে। এখানে কোনো মাফ নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই কালো টাকার সবই অবৈধভাবে অর্জিত না। বৈধভাবে অর্জিত টাকাও কালো হতে পারে। সব কালো টাকাই কালো নয়। তিনি দুদকের স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার একটা দুর্নাম আছে, আমি নাকি কারো কথা শুনি না।' দুদকের এক কর্মকর্তার বদলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সেই বদলি ঠেকাতে সরকারের দুই মন্ত্রী ও টিআইবির একজন সাবেক ট্রাস্টিও সুপারিশ করেছিলেন। আমি তাঁদের অনুরোধ শুনিনি। যখনই কাউকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়, তখনই তদবির শুরু হয়। আজ পর্যন্ত আমার কাছে কেউ বলেননি, আমি কারো ক্ষেত্রে অবিচার করেছি। কেউ আমার কাছে কোনো দিন অভিযোগ নিয়েও আসেননি। যদি কেউ উদাহরণ দিতে পারেন, তাহলে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি রাজি।' তিনি বলেন, 'দুদকের ওপর যেমন গণমাধ্যমের চাপ আছে, তেমনি রাজনীতিবিদ আর জনগণের চাপ আছে। এসব চাপের উর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালন করছি।'
প্রধান তথ্য কমিশনার মো. ফারুক বলেন, 'তথ্য কমিশন গঠিত হওয়ার পর এই স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা চারটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছি। জনসচেতনতা তৈরি করে চলেছি। মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে তথ্য অধিকার সম্পর্কে প্রচার চালাচ্ছি।'
গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে 'জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে টিআইবি এসব মন্তব্য করে। দুদকের প্রবন্ধে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখনো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরোপুরি প্রভাবমুক্তভাবে স্বকীয় ভূমিকা দেখাতে পারেনি। রাজনৈতিক বিবেচনায় দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার ও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার মতো পদক্ষেপগুলো দমনের বদলে দুর্নীতিকেই উৎসাহিত করছে প্রতিষ্ঠানটি।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, প্রধান তথ্য কমিশনার মো. ফারুকসহ অনেকে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, 'কিছু সংখ্যক ব্যক্তি এত টাকা করেছেন যে হিসাব করে ট্যাক্সটা পর্যন্ত দিতে পারছেন না। তাঁরা সমাজকে কলুষিত করে ফেলেছেন। তাঁদের ধরা যাচ্ছে না। সেই জবাবদিহিতার জায়গাটা অবশ্যই ঠিক করতে হবে। কালো টাকা সাদা করা ব্যক্তি কেন শাস্তি পাবেন না? তাঁদের জন্য কেন ১০ শতাংশ কর দিয়েই কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দিতে হবে?'
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ানো হয়নি। বরং আইনি সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে একটি দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে টিআইবির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, জাতীয় সংসদ, জনপ্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগের মতো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রেখে সততার সঙ্গে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, 'উন্নয়নশীল দেশে দুর্নীতি একটি ব্যাধি। বাংলাদেশ যদি দুর্নীতিমুক্ত হতে পারত, তাহলে শুধু পদ্মা সেতু নয়, আরো অনেক সেতুই নিজস্ব অর্থায়নে করতে পারতাম।' কালো টাকা সাদা করার সুযোগদান সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার রাজস্ব বাড়াতে এই সুযোগ দিতে পারে; কিন্তু সেই টাকার উৎস সম্পর্কে দুদক জানতে পারে। ঘুষের টাকা সাদা করলে দুদক ব্যবস্থা নেবে। এখানে কোনো মাফ নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই কালো টাকার সবই অবৈধভাবে অর্জিত না। বৈধভাবে অর্জিত টাকাও কালো হতে পারে। সব কালো টাকাই কালো নয়। তিনি দুদকের স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার একটা দুর্নাম আছে, আমি নাকি কারো কথা শুনি না।' দুদকের এক কর্মকর্তার বদলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সেই বদলি ঠেকাতে সরকারের দুই মন্ত্রী ও টিআইবির একজন সাবেক ট্রাস্টিও সুপারিশ করেছিলেন। আমি তাঁদের অনুরোধ শুনিনি। যখনই কাউকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়, তখনই তদবির শুরু হয়। আজ পর্যন্ত আমার কাছে কেউ বলেননি, আমি কারো ক্ষেত্রে অবিচার করেছি। কেউ আমার কাছে কোনো দিন অভিযোগ নিয়েও আসেননি। যদি কেউ উদাহরণ দিতে পারেন, তাহলে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি রাজি।' তিনি বলেন, 'দুদকের ওপর যেমন গণমাধ্যমের চাপ আছে, তেমনি রাজনীতিবিদ আর জনগণের চাপ আছে। এসব চাপের উর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালন করছি।'
প্রধান তথ্য কমিশনার মো. ফারুক বলেন, 'তথ্য কমিশন গঠিত হওয়ার পর এই স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা চারটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছি। জনসচেতনতা তৈরি করে চলেছি। মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে তথ্য অধিকার সম্পর্কে প্রচার চালাচ্ছি।'
No comments