বর্তমান সরকার আমলে সাড়ে ৩৩ লাখ নয়া বিদ্যুত সংযোগ কৃষি সেচে সংযোগ প্রত্যাশার চেয়ে ঢের বেশি by রশিদ মামুন
বর্তমান সরকারের সময় ৩৩ লাখ ৩৮ হাজার নতুন
গ্রাহক বিদ্যুত সংযোগ পেয়েছেন। অর্থনৈতিক গতিশীলতার জন্য কৃষি সেচে
বিদ্যুত সংযোগ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। বিগত ২০০৯ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত দেয়া
বিদ্যুত সংযোগের হিসেবে দেখা যায় সেচে ১৪৫ ভাগ গ্রাহক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
একই সময় দেশে মোট গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩২ ভাগ।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রতিদিনই নতুন গ্রাহককে তারা বিদ্যুত পৌঁছে দিচ্ছে। সরকারের ভিশন ২০২১ এ দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গত চার বছরে জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ থেকে ১৩ ভাগ বেড়ে ৬০ ভাগ মানুষ বিদ্যুত ব্যবহারের আওতায় এসেছে। মাথাপিছু বিদ্যুত ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৬০ ভাগ। দেশের স্থাপিত বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা চার বছরে ৭৩ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৯৩১ মেগাওয়াট থেকে আট হাজার ৫২৫ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদনও বেড়েছে। সব শেষ গত ৬ জুন সন্ধ্যা সাতটায় দেশে সর্বোচ্চ ছয় হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হয়েছে। বিগত ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ছিল চার হাজার ১৩০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তা জানান, এখন বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক বেড়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সারাদেশে বিদ্যুত ছড়িয়ে দেয়ার কাজ চলছে। এর বাইরে মানুষের মাথা পিছু ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে বড় ধরনের ফারাক এখনও রয়ে গেছে। তিনি বলেন, সংযোগ সীমিত রাখলে দেশে প্রতিদিন চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুত উৎপাদন হতো।
গ্রামীণ জনপদে নতুন মানুষকে বিদ্যুত দিতে হলে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হয়। আরইবিকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত চার বছরে এক হাজার ২০৫ নতুন গ্রামের বাসিন্দাদের বিদ্যুত দেয়া হয়েছে। এর বাইরে আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে পল্লী বিদ্যুত সমিতি চলতি বছর পর্যন্ত ১৩ লাখ ৬৮ হাজার গ্রাহককে নতুন বিদ্যুত সংযোগ দিয়েছে। গ্রামীণ জনপদে নতুন গ্রাহক বেড়েছে ২৬ দশমিক ৫ ভাগ। এর গ্রামে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বিদ্যুত বেশি সরবরাহ করতে হচ্ছে।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে দেশে ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৬৪৪ সার্কিট কিলোমিটার। চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত যা ১২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে তিন হাজার ২১ সার্কিট কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের সংখ্যা নয় দশমিক ৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ছয় হাজার ১৩৬ সার্কিট কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুত বিভাগের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে জানানো হয়, বিতরণ কোম্পানির অভ্যন্তরীণ বিতরণ লাইন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার সংযোজন করা হলে আরও বেশি গ্রাহককে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া সম্ভব। ওভারলোডেড ট্রান্সফরমারের হিসেবে দেখা যায় ছয় লাখ ৫০ হাজার ৫৬০ ট্রান্সফরমারের মধ্যে ৯২ হাজার ৮৮০টি ওভারলোডে চলছে। সম্প্রতিক ওয়ারলোড সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে দ্রুত তা করা সম্ভব নয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রতিদিনই নতুন গ্রাহককে তারা বিদ্যুত পৌঁছে দিচ্ছে। সরকারের ভিশন ২০২১ এ দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গত চার বছরে জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ থেকে ১৩ ভাগ বেড়ে ৬০ ভাগ মানুষ বিদ্যুত ব্যবহারের আওতায় এসেছে। মাথাপিছু বিদ্যুত ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৬০ ভাগ। দেশের স্থাপিত বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা চার বছরে ৭৩ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৯৩১ মেগাওয়াট থেকে আট হাজার ৫২৫ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদনও বেড়েছে। সব শেষ গত ৬ জুন সন্ধ্যা সাতটায় দেশে সর্বোচ্চ ছয় হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হয়েছে। বিগত ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ছিল চার হাজার ১৩০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তা জানান, এখন বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক বেড়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সারাদেশে বিদ্যুত ছড়িয়ে দেয়ার কাজ চলছে। এর বাইরে মানুষের মাথা পিছু ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে বড় ধরনের ফারাক এখনও রয়ে গেছে। তিনি বলেন, সংযোগ সীমিত রাখলে দেশে প্রতিদিন চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুত উৎপাদন হতো।
গ্রামীণ জনপদে নতুন মানুষকে বিদ্যুত দিতে হলে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হয়। আরইবিকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত চার বছরে এক হাজার ২০৫ নতুন গ্রামের বাসিন্দাদের বিদ্যুত দেয়া হয়েছে। এর বাইরে আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে পল্লী বিদ্যুত সমিতি চলতি বছর পর্যন্ত ১৩ লাখ ৬৮ হাজার গ্রাহককে নতুন বিদ্যুত সংযোগ দিয়েছে। গ্রামীণ জনপদে নতুন গ্রাহক বেড়েছে ২৬ দশমিক ৫ ভাগ। এর গ্রামে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বিদ্যুত বেশি সরবরাহ করতে হচ্ছে।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে দেশে ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৬৪৪ সার্কিট কিলোমিটার। চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত যা ১২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে তিন হাজার ২১ সার্কিট কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের সংখ্যা নয় দশমিক ৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ছয় হাজার ১৩৬ সার্কিট কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুত বিভাগের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে জানানো হয়, বিতরণ কোম্পানির অভ্যন্তরীণ বিতরণ লাইন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার সংযোজন করা হলে আরও বেশি গ্রাহককে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া সম্ভব। ওভারলোডেড ট্রান্সফরমারের হিসেবে দেখা যায় ছয় লাখ ৫০ হাজার ৫৬০ ট্রান্সফরমারের মধ্যে ৯২ হাজার ৮৮০টি ওভারলোডে চলছে। সম্প্রতিক ওয়ারলোড সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে দ্রুত তা করা সম্ভব নয়।
No comments