সরকারের চাঁদাবাজি!-ভালো দৃষ্টান্ত নয়
সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজিতে
দেশের মানুষ আজ রীতিমতো অতিষ্ঠ। হাটে, ঘাটে, রাস্তায়, অফিস, আদালতে- কোথায়
না চলছে চাঁদাবাজি। আর এবার খোদ সরকারের বিরুদ্ধেই এসেছে চাঁদাবাজির
অভিযোগ।
বিদেশি পত্রিকায় এক লাখ ৯০ হাজার ডলার বা এক কোটি
৪৮ লাখ টাকা খরচ করে সরকারের গত চার বছরের সাফল্য তুলে ধরা হবে। এই অর্থের
একটি বড় অংশই নেওয়া হচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। এ
জন্য নির্ধারিত অঙ্কের 'সহায়তা' চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর ব্যাংক ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলো একে 'সহায়তা' হিসেবে না দেখে 'চাঁদা' হিসেবেই দেখছে। এরই
মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান সেই টাকা পরিশোধও করে দিয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমনিতেই নাকাল অবস্থা। সরকারি ব্যাংকগুলোর তো কথাই নেই। সেগুলোকে এরই মধ্যে শুষে নিয়েছে পরিচালক পদে বসানো দলীয় নেতা-কর্মীরা। ঘটিয়েছে হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা। এবার সরকার নিজেই যদি চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়, তাহলে ব্যাংকগুলোর বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ কোনো একটি দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশ নির্ভর করে সে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা কতটা গতিশীল তার ওপর। বাংলাদেশে এই খাতের ওপর বাজেটের ঘাটতি মেটানোসহ সরকারের নানামুখী চাপ বরাবরই ছিল এবং আছে। ফলে দেশের বিনিয়োগে ব্যাংকিং খাতের যে ধরনের সহযোগিতা করা উচিত ছিল, তা এটি করতে পারছে না।
আমরা অস্বীকার করছি না যে গত চার বছরে সরকারের অনেক সাফল্য আছে। কিন্তু ব্যর্থতাও কম নেই। কোন দিকে পাল্লা ভারী, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষই সেটা বিবেচনা করবে। এর জন্য লন্ডনের পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করাটা খুব জরুরি ছিল কি? আর বাংলাদেশের যারা উন্নয়ন সহযোগী, বাংলাদেশে যাদের বিনিয়োগ আছে কিংবা এই দেশের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যাদের স্বার্থ জড়িত, তারা কি এই ক্রোড়পত্র দেখে বাংলাদেশকে বিচার করবে? আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো কি এই ক্রোড়পত্রের ভিত্তিতে তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে? কোনোটাই না। তাহলে কেন এটি করা হচ্ছে। দলীয় সরকারের জন্য দলীয় বিবেচনায় এ সাফল্য তুলে ধরাটা জরুরি বিবেচিত হতে পারে, সে জন্য রাষ্ট্র বা ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ নেওয়া হবে কেন? চার বছরে দলে তো আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া হোমরা-চোমরার সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাদের কাছ থেকে এই পরিমাণ অর্থ নেওয়া যেত না কি? ব্যাংকগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে এই অর্থ নিয়ে যাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, তাদের দিকটি কি একবারও ভেবে দেখা উচিত হবে না?
বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমনিতেই নাকাল অবস্থা। সরকারি ব্যাংকগুলোর তো কথাই নেই। সেগুলোকে এরই মধ্যে শুষে নিয়েছে পরিচালক পদে বসানো দলীয় নেতা-কর্মীরা। ঘটিয়েছে হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা। এবার সরকার নিজেই যদি চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়, তাহলে ব্যাংকগুলোর বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ কোনো একটি দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশ নির্ভর করে সে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা কতটা গতিশীল তার ওপর। বাংলাদেশে এই খাতের ওপর বাজেটের ঘাটতি মেটানোসহ সরকারের নানামুখী চাপ বরাবরই ছিল এবং আছে। ফলে দেশের বিনিয়োগে ব্যাংকিং খাতের যে ধরনের সহযোগিতা করা উচিত ছিল, তা এটি করতে পারছে না।
আমরা অস্বীকার করছি না যে গত চার বছরে সরকারের অনেক সাফল্য আছে। কিন্তু ব্যর্থতাও কম নেই। কোন দিকে পাল্লা ভারী, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষই সেটা বিবেচনা করবে। এর জন্য লন্ডনের পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করাটা খুব জরুরি ছিল কি? আর বাংলাদেশের যারা উন্নয়ন সহযোগী, বাংলাদেশে যাদের বিনিয়োগ আছে কিংবা এই দেশের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যাদের স্বার্থ জড়িত, তারা কি এই ক্রোড়পত্র দেখে বাংলাদেশকে বিচার করবে? আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো কি এই ক্রোড়পত্রের ভিত্তিতে তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে? কোনোটাই না। তাহলে কেন এটি করা হচ্ছে। দলীয় সরকারের জন্য দলীয় বিবেচনায় এ সাফল্য তুলে ধরাটা জরুরি বিবেচিত হতে পারে, সে জন্য রাষ্ট্র বা ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ নেওয়া হবে কেন? চার বছরে দলে তো আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া হোমরা-চোমরার সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাদের কাছ থেকে এই পরিমাণ অর্থ নেওয়া যেত না কি? ব্যাংকগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে এই অর্থ নিয়ে যাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, তাদের দিকটি কি একবারও ভেবে দেখা উচিত হবে না?
No comments