সংবাদপত্রশিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ নিউজপ্রিন্টে বর্ধিত শুল্ক
মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের বাজেটে নিউজপ্রিন্টের ওপর বিদ্যমান ৩ শতাংশ আমদানি
শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। দেশের জনমতের বাহক হিসেবে
পরিচিত সংবাদপত্রের জন্য এই বাড়তি শুল্ক আরোপ এই শিল্পের জন্য মারাত্মক
হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
এমনিতেই মুদ্রণ ও পরিবহনসহ সংবাদপত্র
প্রকাশের ব্যয় বহুলাংশে বেড়ে গেছে; যদিও পাঠক সাধারণের কথা চিন্তা করে
পত্রিকার দাম বাড়ানো হয়নি।
প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের প্রস্তাব কার্যকর হলে সার্বিকভাবে প্রকাশনা ব্যয় ২৮ শতাংশ বাড়বে, যা নির্বাহ করা প্রতিটি সংবাদপত্রের জন্য কেবল দুরূহ নয়, অসম্ভব হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) বর্ধিত শুল্কারোপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহের চলাচল সুনিশ্চিত ও সংরক্ষণের’ অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু মেয়াদের শেষে এসে সরকার সংবাদপত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পদক্ষেপ কেন নিল, সেটাই বড় প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী দেশীয় কাগজশিল্প রক্ষার যে যুক্তি দেখিয়েছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের আদৌ মিল নেই। অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৭টি কাগজশিল্প প্রতিষ্ঠান চালু থাকলেও সংবাদপত্রে ব্যবহূত রোল আকারের নিউজপ্রিন্ট উৎপাদন করে মাত্র দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব কারখানায় উৎপাদিত নিউজপ্রিন্ট গুণে-মানে যেমন যথাযথ নয়, তেমনি সংবাদপত্র শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণেও সক্ষম নয়। এ অবস্থায় নিউজপ্রিন্টের ওপর বর্ধিত আমদানি শুল্ক গোটা সংবাদপত্রশিল্পকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেবে।
আমাদের ধারণা, যথাযথ তথ্য বিবেচনায় না নিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতেই এবারের বাজেটে নিউজপ্রিন্টের ওপর বর্ধিত আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে দেশীয় কাগজশিল্প সংবাদপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নিউজপ্রিন্ট সরবরাহ করতেই অপারগ, সেখানে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেশীয় শিল্প রক্ষার যুক্তি হাস্যকরই বটে। সম্ভবত অর্থমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি উপলব্ধি করে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে ‘এটি নেহাতই তাঁর প্রস্তাব’ বলে উল্লেখ করেছেন। অতীতে বাজেটে অনেক পণ্যের ওপর বর্ধিত কর ও শুল্কের প্রস্তাব করার পর তা প্রত্যাহারের ভূরি ভূরি নজির আছে।
আমরা এও মনে করি যে দেশে উন্নত মানের নিউজপ্রিন্ট উৎপাদিত হলে এবং চাহিদা মেটাতে পারলে বিদেশি নিউজপ্রিন্ট আমদানির প্রয়োজনই হতো না। তাই যত দিন দেশীয় কাগজশিল্প উন্নত মানের এবং পাঠকের রুচি ও চাহিদামাফিক নিউজপ্রিন্ট উৎপাদন করতে না পারছে, তত দিন নিউজপ্রিন্টের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো কোনোভাবেই সমীচীন হবে না। অতএব, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের বাজেটে নিউজপ্রিন্টের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী তথা জাতীয় সংসদের কাছে দাবি জানাচ্ছি। জনপ্রতিনিধিরা নিশ্চয়ই জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের অন্তরায় সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না।
প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের প্রস্তাব কার্যকর হলে সার্বিকভাবে প্রকাশনা ব্যয় ২৮ শতাংশ বাড়বে, যা নির্বাহ করা প্রতিটি সংবাদপত্রের জন্য কেবল দুরূহ নয়, অসম্ভব হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) বর্ধিত শুল্কারোপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহের চলাচল সুনিশ্চিত ও সংরক্ষণের’ অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু মেয়াদের শেষে এসে সরকার সংবাদপত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পদক্ষেপ কেন নিল, সেটাই বড় প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী দেশীয় কাগজশিল্প রক্ষার যে যুক্তি দেখিয়েছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের আদৌ মিল নেই। অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৭টি কাগজশিল্প প্রতিষ্ঠান চালু থাকলেও সংবাদপত্রে ব্যবহূত রোল আকারের নিউজপ্রিন্ট উৎপাদন করে মাত্র দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব কারখানায় উৎপাদিত নিউজপ্রিন্ট গুণে-মানে যেমন যথাযথ নয়, তেমনি সংবাদপত্র শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণেও সক্ষম নয়। এ অবস্থায় নিউজপ্রিন্টের ওপর বর্ধিত আমদানি শুল্ক গোটা সংবাদপত্রশিল্পকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেবে।
আমাদের ধারণা, যথাযথ তথ্য বিবেচনায় না নিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতেই এবারের বাজেটে নিউজপ্রিন্টের ওপর বর্ধিত আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে দেশীয় কাগজশিল্প সংবাদপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নিউজপ্রিন্ট সরবরাহ করতেই অপারগ, সেখানে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেশীয় শিল্প রক্ষার যুক্তি হাস্যকরই বটে। সম্ভবত অর্থমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি উপলব্ধি করে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে ‘এটি নেহাতই তাঁর প্রস্তাব’ বলে উল্লেখ করেছেন। অতীতে বাজেটে অনেক পণ্যের ওপর বর্ধিত কর ও শুল্কের প্রস্তাব করার পর তা প্রত্যাহারের ভূরি ভূরি নজির আছে।
আমরা এও মনে করি যে দেশে উন্নত মানের নিউজপ্রিন্ট উৎপাদিত হলে এবং চাহিদা মেটাতে পারলে বিদেশি নিউজপ্রিন্ট আমদানির প্রয়োজনই হতো না। তাই যত দিন দেশীয় কাগজশিল্প উন্নত মানের এবং পাঠকের রুচি ও চাহিদামাফিক নিউজপ্রিন্ট উৎপাদন করতে না পারছে, তত দিন নিউজপ্রিন্টের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো কোনোভাবেই সমীচীন হবে না। অতএব, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের বাজেটে নিউজপ্রিন্টের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী তথা জাতীয় সংসদের কাছে দাবি জানাচ্ছি। জনপ্রতিনিধিরা নিশ্চয়ই জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের অন্তরায় সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না।
No comments