জামায়াত নেতারা ছাত্রশিবিরের অস্থিরতা সামাল দিতে পারছেন না- পরিস্থিতি সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে
জামায়েতের আমিরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা একের পর এক বৈঠক করেও শিবিরের অস্থিরতা সামাল দিতে পারছেন না। বৈঠকে শিরির নেতাদের অবস্থান সৌহার্দ্যপূর্ণ হলেও বৈঠক শেষেই পাল্টে যাচ্ছে পরিস্থিতি।
র্ িশবির সভাপতি রেজাউল করিম, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং ঢাকা মহানগর আমির রফিকুল ইসলাম খানের বিরম্নদ্ধে ক্রমেই সোচ্ছার হয়ে উঠছে শিবিরের একটি বৃহৎ অংশ। এবার আগামীকাল ৬ ফেব্রম্নয়ারি শিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অভিযুক্ত ৩ নেতার হাত থেকে শিবিরকে রৰার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিদ্রোহীরা। শিবির নেতারা বলেছেন, আশা করি দ্রম্নত সঙ্কটের সমাধান হবে। আর ব্যর্থ হলে ৬ তারিখেই পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। কারণ বিবাহিত হয়েও পরিচয় গোপন করেছেন শিবির সভাপতি। তার বিরম্নদ্ধে সংগঠনের অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ আছে। মুজাহিদ ও রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ুব্ধ নেতাকর্মীরা। যুদ্ধাপরাধীদের দায়ও এড়াতে চায় শিবিরের একটি বড় অংশ।
জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এতদিন প্রায় অভ্যনত্মরীণ কোন্দলমুক্ত থাকলেও এই মুহূর্তে সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মৌলবাদী এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনিয়ম দুর্নীতি প্রবেশ করানোর দায়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে 'সেভ শিবির' এর ব্যানার থেকে আন্দোলনের হুমকি দেয়ার খরব পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর রীতিমতো তোলপাড় শুরম্ন হয়েছে। সঙ্কট সমাধানে দফায় দফায় বৈঠক করে ব্যর্থ হওয়ায় জটিলতার আশঙ্কা করছেন খোদ জামায়াত নেতারাই। তবে কারা কারা কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায় পর্যনত্ম শিবির সদস্যদের আন্দোলনে সংগঠিত করছে তার হিসাব মেলাতে পারছেন না জামায়াত নেতারা। একটি তদনত্ম কমিটি গঠনের কথা শোনা গেলেও এ নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। এর আগে দলের আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি ছাত্র শিবিরের ৩৩তম কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৮ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সভাপতি পদে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন মুহাম্মদ রেজাউল করিম। কিন্তু সেক্রেটারি জেনারেলের পদ থেকে ছিটকে পড়েন শিশির মুহাম্মদ মুনির। এ পদে নির্বাচিত হন ডা. আবদুলস্নাহ আল মামুন। শিবিরের একটি বড় অংশ সেক্রেটারি পদে মামুনের আসাকে গ্রহণ করলেও মেনে নিতে পারেনি সভাপতি পদে রেজাউল করিমের দ্বিতীয় মেয়াদে আসাকে। কারণ নির্বাচনের আগে থেকেই ভেতরে ভেতরে সভাপতি পদে শিশির মোহাম্মদ মনিরের আসার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়ের নেতাকর্মীদেরও এই বিষয়টিতে ব্যাপক সমর্থন ছিল। এছাড়া অনেক আগে থেকেই সভাপতি রেজাউল করিমের পেছনে জামায়াতের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার আশীর্বাদ থাকার অভিযোগ ছিল। বিষয়টিকে ভালভাবে নিতে পারছিলেন না শিবিরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। কিছুদিন যাবত ভেতরে ভেতরে ৰোভ থাকলেও কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের পর থেকে তা প্রকাশ্য রূপ নিতে থাকে। ৰোভ বাড়তে থাকে সম্মেলনে জামায়াতের কয়েক নেতার উপস্থিতি নিয়েও। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ কামারম্নজ্জামান, ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খানসহ জামায়াতের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা। আগে থেকেই জামায়াতের কয়েক নেতার অবস্থ্থান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তার ওপর সদস্য সম্মেলনে কেন্দ্রীয় দুই নেতা উপস্থিত থেকে তাঁরা তাঁদের মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ শিবির নেতাকর্মীদের। সম্মেলনের পর থেকেই জামায়াতের দুই কেন্দ্রীয় নেতার বিরম্নদ্ধে ৰোভ বাড়তে থাকে সাধারণ শিবির সদস্যসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপর্যায়ের নেতাদের।
এতদিন ৰোভ ভেতরে ভেতরে থাকলেও গত ১ তারিখ ইন্টারনেটের মাধ্যমে মেইল পাঠিয়ে বিদ্রোহী গ্রম্নপ রীতিমতো সতর্ক করে দেয় জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বকে। বিভিন্ন সাংবাদিকের ব্যক্তিগত মেইল নম্বরে একটি মেইল পাঠানো হয় 'সেভ শিবিরের' ঠিকানা থেকে। যেখানে বলা হয়েছে, 'প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা-শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মামুন ভাই পদত্যাগ করেছেন। লাস্ট পরিষদ মিটিংয়ে মামুন ভাই পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগের কারণ হলো, বর্তমান প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিমের দুর্নীতি, জামায়াত নেতা মুজাহিদ ও রফিকুল ইসলামসহ অনেকের নগ্ন অসাংবিধানিক হসত্মৰেপ। এই দুর্নীতিবাজ প্রেসিডেন্টের আন্ডারে সেক্রেটারি হয়ে তিনি কাজ করবেন না বলেই পদত্যাগ। সেভ শিবিরের পৰে বলা হয়, আমরা ইসলামের দুশমন রেজাউল করিমের পদত্যাগ চাই। আমরা আলস্নাহর কাছে দোয়া করি- আলস্নাহ তুমি রেজাউল করিম, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম খানসহ যারা শিবিরের ৰতি করল দুনিয়াতেই তুমি তাদের শাসত্মি দিও। মেইলে সাংবাদিকদের কাছে এসব সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সারাদেশের শিবিরের হাজার হাজার সমর্থক, কর্মী, সাথী, সদস্য আমাদের সঙ্গে আছে। এরপর আরও একটি মেইল পাঠিয়ে জামায়েত নেতাদের রীতিমতো আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৬ তারিখ শিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগেই অভিযুক্তদের হাত থেকে শিবিরকে রৰা করতে হবে। কারণ কোন দুর্নীতিবাজ লোক ইসলামী রাজনীতি করতে পারে না। শিবিরের ভেতরের এই বিদ্রোহ নিয়ে গত দু'দিনে কয়েক কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কেউ নাম উলেস্নখ করে কথা বলতে রাজি হননি। প্রত্যেকেই বলেন, নাম প্রকাশ করবেন না। কেউ কেউ বলেন, আমি আন্দোলনের সঙ্গে নেই তবে আন্দোলন যৌক্তিক। তবে অধিকাংশ নেতার আশঙ্কা, সঙ্কট সমাধানে ব্যর্থ হলে ৬ তারিখের পরে পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। এমনকি ৬ তারিখ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিদ্রোহের মুখে পড়তে পারে শিবির সভাপতিসহ কয়েক জামায়াত নেতা।
এক কেন্দ্র্রীয় নেতা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নেতা) বলেন, শিবিরের বর্তমান সভাপতি ও জামায়াতের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার অবস্থান নিয়ে আগেই ৰোভ ছিল। অনেকেই সভাপতি পদে বিদায়ী সেক্রেটারি শিশির মোহাম্মদ মনির আসবেন বলে আশা করেছিলেন। অধিকাংশ নেতাকর্মীই মনে করেন, সদস্য সম্মেলনে জামায়াতের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থেকে সাধারণ সদস্যদের প্রভাবিত করেছেন। এবং এই বিষয়টিকে এখন মাঠপর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী সত্য বলেই মনে করেন। গত কয়েকদিনে সঙ্কট নিয়ে দুটি বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে শিবিরের এই নেতা বলেন, অবস্থা আসলে এমন যে দ্রত সমাধান না হলে শেষ পর্যনত্ম জামায়াতের কয়েক নেতার মুখোমুখি হয়ে দাঁড়াতে পারে শিবির।
আরেক কেন্দ্রীয় নেতা (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির নেতা) অবশ্য বলেন, মুজাহিদের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সরাসরি অভিযোগ থাকার দায়ও এড়াতে চায় শিবিরের অনেক তরম্নণ নেতা। তাঁর বিরম্নদ্ধে ইচ্ছেমতো সংগঠনকে প্রভাবিত করার মতো অভিযোগ আছে আগে থেকেই। তার পরে আবার যুদ্ধাপরাধীর দায় থাকায় নতুন কর্মীরা তাঁকে ভালভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। কোন বিষয়ই তো স্পষ্ট নয়, আসলে সমস্যা কোন পর্যায়ে আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ৰোভের ব্যাপকতা নিয়ে আমরাও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে একথা ঠিক যে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোন দিনই এত বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে চিনত্মিত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে পুরো বিষয় নিয়ে অস্থিরতায় পড়লেও মুখ খুলছেন না জামায়াত নেতারা। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোলস্নার মোবাইলে দু'দিন যাবত বারবার রিং হলেও তিনি রিসিপ করেন নি। যার বিরম্নদ্ধে শিবিরের অভিযোগ দু'দিন যাবত সেই সেক্রেটারি জেরারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বাববার মোবাইল করার পরে এক পর্যায়ে অপর প্রানত্ম থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাসনিম আলমের সঙ্গে কথা বলতে হবে। পরে তাঁর মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, শিবিরের ব্যাপারে জানতে হলে শিবিরকে কল করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে কিছু বলছি না। কিনত্মু চলমান সঙ্কট সমাধানে আপনারা কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন কিনা? নিলে কি অবস্থা ? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না আমরা এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে কিছইু বলছি না।
জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এতদিন প্রায় অভ্যনত্মরীণ কোন্দলমুক্ত থাকলেও এই মুহূর্তে সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মৌলবাদী এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনিয়ম দুর্নীতি প্রবেশ করানোর দায়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে 'সেভ শিবির' এর ব্যানার থেকে আন্দোলনের হুমকি দেয়ার খরব পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর রীতিমতো তোলপাড় শুরম্ন হয়েছে। সঙ্কট সমাধানে দফায় দফায় বৈঠক করে ব্যর্থ হওয়ায় জটিলতার আশঙ্কা করছেন খোদ জামায়াত নেতারাই। তবে কারা কারা কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায় পর্যনত্ম শিবির সদস্যদের আন্দোলনে সংগঠিত করছে তার হিসাব মেলাতে পারছেন না জামায়াত নেতারা। একটি তদনত্ম কমিটি গঠনের কথা শোনা গেলেও এ নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। এর আগে দলের আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি ছাত্র শিবিরের ৩৩তম কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৮ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সভাপতি পদে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন মুহাম্মদ রেজাউল করিম। কিন্তু সেক্রেটারি জেনারেলের পদ থেকে ছিটকে পড়েন শিশির মুহাম্মদ মুনির। এ পদে নির্বাচিত হন ডা. আবদুলস্নাহ আল মামুন। শিবিরের একটি বড় অংশ সেক্রেটারি পদে মামুনের আসাকে গ্রহণ করলেও মেনে নিতে পারেনি সভাপতি পদে রেজাউল করিমের দ্বিতীয় মেয়াদে আসাকে। কারণ নির্বাচনের আগে থেকেই ভেতরে ভেতরে সভাপতি পদে শিশির মোহাম্মদ মনিরের আসার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়ের নেতাকর্মীদেরও এই বিষয়টিতে ব্যাপক সমর্থন ছিল। এছাড়া অনেক আগে থেকেই সভাপতি রেজাউল করিমের পেছনে জামায়াতের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার আশীর্বাদ থাকার অভিযোগ ছিল। বিষয়টিকে ভালভাবে নিতে পারছিলেন না শিবিরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। কিছুদিন যাবত ভেতরে ভেতরে ৰোভ থাকলেও কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের পর থেকে তা প্রকাশ্য রূপ নিতে থাকে। ৰোভ বাড়তে থাকে সম্মেলনে জামায়াতের কয়েক নেতার উপস্থিতি নিয়েও। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ কামারম্নজ্জামান, ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খানসহ জামায়াতের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা। আগে থেকেই জামায়াতের কয়েক নেতার অবস্থ্থান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তার ওপর সদস্য সম্মেলনে কেন্দ্রীয় দুই নেতা উপস্থিত থেকে তাঁরা তাঁদের মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ শিবির নেতাকর্মীদের। সম্মেলনের পর থেকেই জামায়াতের দুই কেন্দ্রীয় নেতার বিরম্নদ্ধে ৰোভ বাড়তে থাকে সাধারণ শিবির সদস্যসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপর্যায়ের নেতাদের।
এতদিন ৰোভ ভেতরে ভেতরে থাকলেও গত ১ তারিখ ইন্টারনেটের মাধ্যমে মেইল পাঠিয়ে বিদ্রোহী গ্রম্নপ রীতিমতো সতর্ক করে দেয় জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বকে। বিভিন্ন সাংবাদিকের ব্যক্তিগত মেইল নম্বরে একটি মেইল পাঠানো হয় 'সেভ শিবিরের' ঠিকানা থেকে। যেখানে বলা হয়েছে, 'প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা-শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মামুন ভাই পদত্যাগ করেছেন। লাস্ট পরিষদ মিটিংয়ে মামুন ভাই পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগের কারণ হলো, বর্তমান প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিমের দুর্নীতি, জামায়াত নেতা মুজাহিদ ও রফিকুল ইসলামসহ অনেকের নগ্ন অসাংবিধানিক হসত্মৰেপ। এই দুর্নীতিবাজ প্রেসিডেন্টের আন্ডারে সেক্রেটারি হয়ে তিনি কাজ করবেন না বলেই পদত্যাগ। সেভ শিবিরের পৰে বলা হয়, আমরা ইসলামের দুশমন রেজাউল করিমের পদত্যাগ চাই। আমরা আলস্নাহর কাছে দোয়া করি- আলস্নাহ তুমি রেজাউল করিম, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম খানসহ যারা শিবিরের ৰতি করল দুনিয়াতেই তুমি তাদের শাসত্মি দিও। মেইলে সাংবাদিকদের কাছে এসব সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সারাদেশের শিবিরের হাজার হাজার সমর্থক, কর্মী, সাথী, সদস্য আমাদের সঙ্গে আছে। এরপর আরও একটি মেইল পাঠিয়ে জামায়েত নেতাদের রীতিমতো আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৬ তারিখ শিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগেই অভিযুক্তদের হাত থেকে শিবিরকে রৰা করতে হবে। কারণ কোন দুর্নীতিবাজ লোক ইসলামী রাজনীতি করতে পারে না। শিবিরের ভেতরের এই বিদ্রোহ নিয়ে গত দু'দিনে কয়েক কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কেউ নাম উলেস্নখ করে কথা বলতে রাজি হননি। প্রত্যেকেই বলেন, নাম প্রকাশ করবেন না। কেউ কেউ বলেন, আমি আন্দোলনের সঙ্গে নেই তবে আন্দোলন যৌক্তিক। তবে অধিকাংশ নেতার আশঙ্কা, সঙ্কট সমাধানে ব্যর্থ হলে ৬ তারিখের পরে পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। এমনকি ৬ তারিখ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিদ্রোহের মুখে পড়তে পারে শিবির সভাপতিসহ কয়েক জামায়াত নেতা।
এক কেন্দ্র্রীয় নেতা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নেতা) বলেন, শিবিরের বর্তমান সভাপতি ও জামায়াতের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতার অবস্থান নিয়ে আগেই ৰোভ ছিল। অনেকেই সভাপতি পদে বিদায়ী সেক্রেটারি শিশির মোহাম্মদ মনির আসবেন বলে আশা করেছিলেন। অধিকাংশ নেতাকর্মীই মনে করেন, সদস্য সম্মেলনে জামায়াতের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থেকে সাধারণ সদস্যদের প্রভাবিত করেছেন। এবং এই বিষয়টিকে এখন মাঠপর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী সত্য বলেই মনে করেন। গত কয়েকদিনে সঙ্কট নিয়ে দুটি বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে শিবিরের এই নেতা বলেন, অবস্থা আসলে এমন যে দ্রত সমাধান না হলে শেষ পর্যনত্ম জামায়াতের কয়েক নেতার মুখোমুখি হয়ে দাঁড়াতে পারে শিবির।
আরেক কেন্দ্রীয় নেতা (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির নেতা) অবশ্য বলেন, মুজাহিদের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সরাসরি অভিযোগ থাকার দায়ও এড়াতে চায় শিবিরের অনেক তরম্নণ নেতা। তাঁর বিরম্নদ্ধে ইচ্ছেমতো সংগঠনকে প্রভাবিত করার মতো অভিযোগ আছে আগে থেকেই। তার পরে আবার যুদ্ধাপরাধীর দায় থাকায় নতুন কর্মীরা তাঁকে ভালভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। কোন বিষয়ই তো স্পষ্ট নয়, আসলে সমস্যা কোন পর্যায়ে আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ৰোভের ব্যাপকতা নিয়ে আমরাও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে একথা ঠিক যে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোন দিনই এত বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে চিনত্মিত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে পুরো বিষয় নিয়ে অস্থিরতায় পড়লেও মুখ খুলছেন না জামায়াত নেতারা। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোলস্নার মোবাইলে দু'দিন যাবত বারবার রিং হলেও তিনি রিসিপ করেন নি। যার বিরম্নদ্ধে শিবিরের অভিযোগ দু'দিন যাবত সেই সেক্রেটারি জেরারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বাববার মোবাইল করার পরে এক পর্যায়ে অপর প্রানত্ম থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাসনিম আলমের সঙ্গে কথা বলতে হবে। পরে তাঁর মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, শিবিরের ব্যাপারে জানতে হলে শিবিরকে কল করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে কিছু বলছি না। কিনত্মু চলমান সঙ্কট সমাধানে আপনারা কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন কিনা? নিলে কি অবস্থা ? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না আমরা এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে কিছইু বলছি না।
No comments