বাসের ভাড়া বাড়ছে কিলোতে ১০ থেকে ১৫ পয়সা by আহমেদ রাজু
মালিক সমিতির চাপে পড়ে ফের বাসের ভাড়া বাড়াচ্ছে সরকার। প্রতি কিলোমিটারে ১০ থেকে ১৫ পয়সা বাড়বে দূরপাল্লার বাসভাড়া।
মেয়াদের শেষ বছরে এসে বাসের ভাড়া বাড়িয়ে জনপ্রিয়তার সঙ্কটে পড়তে পারে এমন আশঙ্কার পরেও ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
এ
ব্যাপারে পরিবহন মালিক সমিতি এবং সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। রোববার
আসছে ভাড়া বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। মালিক সমিতি এবং যোগাযোগ
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। যোগাযোগমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদেরও আগেই ঘোষণা দিয়েছেন রোববার বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি জানানো
হবে।
তবে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে দীর্ঘ দেন-দরবার ও দর-কষাকষির প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হচ্ছে নতুন ভাড়া।
সূত্র জানায়, মালিক সমিতির জোর দাবি ছিলো বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩০ পয়সা বাড়ানো হোক। আর ভাড়া নির্ধারণ সম্পর্কিত কস্টিং কমিটি প্রতি কিলোমিটারে ২৩ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে। মালিক সমিতির দেওয়া এই প্রস্তাবে সরকার রাজী নয়।
ফলে শুরু হয় দরকষাকষি। এ কারণেই গত মঙ্গলবার ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ওইদিন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় ভাড়া বৃদ্ধির বৈঠক। বৈঠকে যোগাযোগ সচিব এমএএন ছিদ্দিক মালিক সমিতির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “জ্বালানি-তেলের মূল্য যে পরিমাণ বেড়েছে, তাতে প্রতি কিলোমিটারে ৭ পয়সা বাড়তে পারে বাসের ভাড়া। এর বেশি কোনোভাবেই ভাড়া বাড়তে পারে না।” নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন সচিব। অন্যদিকে মালিকরা সচিবের কথায় নারাজ। তাই কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় ওই বৈঠক।
বৈঠকসূত্র জানায়, ওই দিন মালিক সমিতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। পরে প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার জন্য কয়েক দিন জন্য সময় নেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, এরইমধ্যে মালিক সমিতি এবং সরকারের মধ্যে ভাড়া নিয়ে একটি সমঝোতা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাস মালিকদের বলা হয়েছে, সরকার এখন নানা সমস্যায় আছে। তাই শেষ সময়ে এসে জনগণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সরকার বাড়াতে চায় না। তবে প্রতি কিলোমিটারে ১০ থেকে ১৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানোয় মালিক সমিতি রাজী হলে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, মালিক সমিতি সরকারের প্রস্তাবে রাজী হযেছে। তাই আগামী রোববার বর্ধিত নতুন ভাড়া ঘোষণা করা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে ১০ পয়সা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে মালিক সমিতিকে। তবে শেষ পযন্ত ১৫ পয়সা ভাড়া বৃদ্ধি চূড়ান্ত হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এনিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা ৩০ পয়সা ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি। তবে কস্টিং কমিটি যে প্রস্তাব দিযেছে, সেই পরিমাণ বাড়ালেও আমরা রাজী আছি।”
এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, “জ্বালানি তেল এবং যন্ত্রাংশর মূল্য বৃদ্ধির ফলে অনেক খরচ বেড়েছে। এই অবস্থায় ভাড়া বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নেই।”
তিনি বলেন, “খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাস মালিকরা এখন আর চলতে পারছেন না। অনেকেই ঋণ শোধ করতে পারছেন না। এই অবস্থায় আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।”
কস্টিং কমিটির সূত্র জানায়, বাসের ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২৪টি বিষয় বিবেচনা করা হয়। জ্বালানি খরচ, শ্রমিক ব্যয়, যন্ত্রাংশের মূল্য, টোল এবং বাসের ইনস্যুরেন্স তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
এগুলো বিবেচনা করেই বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান খানের নেতৃত্বে গঠিত কস্টিং কমিটি ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি।
বিআরটিএ জানায়, সবশেষ দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিলো ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি। তখন ১৫ পয়সা বাড়িয়ে প্রতি কিলোমিটারে বাসের ভাড়া নিধারন করা হয় ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
এর আগে ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে চলাচলকারী বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়।
তখন বাস ও মিনিবাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে বাড়ানো হয় ৫ পয়সা। বর্ধিত ভাড়া অনুযায়ী নগরীতে চলাচলকারী বড় বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা ৬০ পয়সা এবং মিনিবাসের ভাড়া এক টাকা ৫০ পয়সা। বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা এবং মিনিবাসে ৫ টাকা।
একই সময়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার ভাড়াও বাড়ানো হয়। প্রথম দুই কিলোমিটার নির্ধারিত ভাড়ার পর প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ানো হয় ১৪ পয়সা। এতে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া দাঁড়ায় ৭ টাকা ৬৪ পয়সা। ওয়েটিং চাজ প্রতি মিনিটের জন্য করা হয় এক টাকা ৪০ পয়সা।
গত ৩ জানুয়ারি সরকার নতুন করে জ্বালিনি তেলের দাম বাড়ানোয় বাস মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবি তোলে।
ওই দিন প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রোলের দাম ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারে ৭ টাকা।
পেট্রোল পাম্পগুলোতে এখন কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা এবং অকটেন বিক্রি হচ্ছে ৯৯ টাকা লিটার।
এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরপরই বেড়ে যায় ট্রাকের ভাড়া। এতে দ্রব্যমূল্য পরিবহন খরচ বাড়ছে। ফলে বাড়ছে দ্রব্যমূল্যও। এতে সাধারণ মানুষের আয় না বাড়েলেও ব্যয় বাড়ছে হু হু করে। আর এই চাপ মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
তবে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে দীর্ঘ দেন-দরবার ও দর-কষাকষির প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হচ্ছে নতুন ভাড়া।
সূত্র জানায়, মালিক সমিতির জোর দাবি ছিলো বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩০ পয়সা বাড়ানো হোক। আর ভাড়া নির্ধারণ সম্পর্কিত কস্টিং কমিটি প্রতি কিলোমিটারে ২৩ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে। মালিক সমিতির দেওয়া এই প্রস্তাবে সরকার রাজী নয়।
ফলে শুরু হয় দরকষাকষি। এ কারণেই গত মঙ্গলবার ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ওইদিন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় ভাড়া বৃদ্ধির বৈঠক। বৈঠকে যোগাযোগ সচিব এমএএন ছিদ্দিক মালিক সমিতির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “জ্বালানি-তেলের মূল্য যে পরিমাণ বেড়েছে, তাতে প্রতি কিলোমিটারে ৭ পয়সা বাড়তে পারে বাসের ভাড়া। এর বেশি কোনোভাবেই ভাড়া বাড়তে পারে না।” নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন সচিব। অন্যদিকে মালিকরা সচিবের কথায় নারাজ। তাই কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় ওই বৈঠক।
বৈঠকসূত্র জানায়, ওই দিন মালিক সমিতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। পরে প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার জন্য কয়েক দিন জন্য সময় নেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, এরইমধ্যে মালিক সমিতি এবং সরকারের মধ্যে ভাড়া নিয়ে একটি সমঝোতা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাস মালিকদের বলা হয়েছে, সরকার এখন নানা সমস্যায় আছে। তাই শেষ সময়ে এসে জনগণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সরকার বাড়াতে চায় না। তবে প্রতি কিলোমিটারে ১০ থেকে ১৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানোয় মালিক সমিতি রাজী হলে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, মালিক সমিতি সরকারের প্রস্তাবে রাজী হযেছে। তাই আগামী রোববার বর্ধিত নতুন ভাড়া ঘোষণা করা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে ১০ পয়সা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে মালিক সমিতিকে। তবে শেষ পযন্ত ১৫ পয়সা ভাড়া বৃদ্ধি চূড়ান্ত হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এনিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা ৩০ পয়সা ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি। তবে কস্টিং কমিটি যে প্রস্তাব দিযেছে, সেই পরিমাণ বাড়ালেও আমরা রাজী আছি।”
এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, “জ্বালানি তেল এবং যন্ত্রাংশর মূল্য বৃদ্ধির ফলে অনেক খরচ বেড়েছে। এই অবস্থায় ভাড়া বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নেই।”
তিনি বলেন, “খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাস মালিকরা এখন আর চলতে পারছেন না। অনেকেই ঋণ শোধ করতে পারছেন না। এই অবস্থায় আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।”
কস্টিং কমিটির সূত্র জানায়, বাসের ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২৪টি বিষয় বিবেচনা করা হয়। জ্বালানি খরচ, শ্রমিক ব্যয়, যন্ত্রাংশের মূল্য, টোল এবং বাসের ইনস্যুরেন্স তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
এগুলো বিবেচনা করেই বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান খানের নেতৃত্বে গঠিত কস্টিং কমিটি ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি।
বিআরটিএ জানায়, সবশেষ দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিলো ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি। তখন ১৫ পয়সা বাড়িয়ে প্রতি কিলোমিটারে বাসের ভাড়া নিধারন করা হয় ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
এর আগে ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে চলাচলকারী বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়।
তখন বাস ও মিনিবাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে বাড়ানো হয় ৫ পয়সা। বর্ধিত ভাড়া অনুযায়ী নগরীতে চলাচলকারী বড় বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা ৬০ পয়সা এবং মিনিবাসের ভাড়া এক টাকা ৫০ পয়সা। বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা এবং মিনিবাসে ৫ টাকা।
একই সময়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার ভাড়াও বাড়ানো হয়। প্রথম দুই কিলোমিটার নির্ধারিত ভাড়ার পর প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ানো হয় ১৪ পয়সা। এতে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া দাঁড়ায় ৭ টাকা ৬৪ পয়সা। ওয়েটিং চাজ প্রতি মিনিটের জন্য করা হয় এক টাকা ৪০ পয়সা।
গত ৩ জানুয়ারি সরকার নতুন করে জ্বালিনি তেলের দাম বাড়ানোয় বাস মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবি তোলে।
ওই দিন প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রোলের দাম ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারে ৭ টাকা।
পেট্রোল পাম্পগুলোতে এখন কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা এবং অকটেন বিক্রি হচ্ছে ৯৯ টাকা লিটার।
এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরপরই বেড়ে যায় ট্রাকের ভাড়া। এতে দ্রব্যমূল্য পরিবহন খরচ বাড়ছে। ফলে বাড়ছে দ্রব্যমূল্যও। এতে সাধারণ মানুষের আয় না বাড়েলেও ব্যয় বাড়ছে হু হু করে। আর এই চাপ মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
No comments