বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘সীমারেখা’র শূটিং শুরু
গত বছরের শেষ দিক থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘সীমারেখা’র শুটিং। ছবিটি পরিচালনা করেছেন দেওয়ান নাজমুল। প্রায় ২৫ জনের ইউনিটের সঙ্গে ছিলেন নতুন জুটি ফারিহা, ফাহিম ছাড়াও ক্যামেরাম্যান মজিবুল হক ভূইয়াসহ অন্যরা।
বন বিতানে (সেন্ট্রাল পার্ক) নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন মাদ্রাজের কৈশাল শর্মা। শুটিং-এ কলকাতার সুনামধন্য পরিচালক স্বপন সাহাসহ প্রায় ৬৫ জনের ইউনিটে উপস্থিত ছিলেন। রূপায়ণ স্টুডিওতে ধারণ করা হয় কলেজের কয়েকটি দৃশ্য। প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দৃশ্য ধারণে অংশ নেয় বাংলাদেশের ফারিহা, বোম্বের সঞ্চয় ভট্টাচার্য, স্বপন সাহার মেয়ে মৌ, রজতাভ দত্ত, মিনাল মুখার্জী, প্রিয়াংকা ভট্টাচার্য, গৌরী শংকর পান্ডা, দুলাল লাহিড়ী, শম্ভুনাথ দত্ত, রঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রভাস ব্যানার্জী। জলপাইগুড়িতে পুরো ইউনিট একটানা ১২ তারিখ পর্যন্ত শিলিগুড়ির কালীমন্দির পাহাড়, রোহিনী স্পটে গান ও দৃশ্যের চিত্রধারণ করা হয়। কলকাতার যেসব আর্টিস্ট এই সিনেমায় অভিনয় করছেন তাঁরা সবাই এ সময় শুটিংয়ে অংশ নেন। দার্জিলিং-এ শুটিং চলাকালীন নায়িকা ফারিহা পাহাড় থেকে পড়েই যাচ্ছিল প্রায়। কিন্তু নায়ক ফাহিম তাকে আটকে ধরে। বাস্তবে এই দুর্ঘটনায় ফারিহা প্রচ- ব্যথা পায় পায়ে এবং বুকে। রাতে ফারিহাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একদিন শুটিং বন্ধ থাকে। পাহাড়ের অংশের কাজ শেষ হলে পুরো ইউনিট চলে আসে কলকাতার টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। সেখানেই বাকি অংশের শুটিং হয়। মজার মানুষ রজতাভ দত্ত ওরফে রনিদা সারাক্ষণই পুরো ইউনিটকে হাসিয়ে রাখতেন আর মিনাল মুখার্জী তো গানের মানুষ। আমাদের ছবির একটি গান ‘বলো ভালো আছো তো’ ছিল তার মুখে মুখে। কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে পথে টেকনিশিয়ানদের মুখে মুখে ছিল গান। দুলাল লাহিড়ী বলেন, সত্যি অনেক দিন পর কলকাতার দর্শক ভাল গানের একটি ছবি দেখবে। কিন্তু স্বপন সাহার অন্য কথা, সে বলে গান নয় পুরো ছবিটাই পশ্চিম বাংলার দর্শকের দেখতে হবে। ছবির পরিচালক দেওয়ান নাজমুল বলেন, “আমি ভীষণ খুশি দেরিতে হলেও ছবির কাজটি গুছিয়ে আনতে পেরেছি। আশা করি দুই বাংলা সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের মাঝে ছবিটি সাড়া ফেলতে পারবে। বিশেষ করে যারা সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখা ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের আবার হলে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে সিনেমা ‘সীমারেখা’।”ছবিটিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও কাবিলা, সিরাজুল ইসলাম, অমল বোস, সুমা আকাশ, আনিস, সাগর, ঝুমুর ছাড়াও অনেকে বাংলাদেশ থেকে অভিনয় করেছেন। ক্যামেরায় ছিলেন বাংলাদেশের তপন আহম্মেদ। রূপলেপনে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সামছুল ইসলাম। সঙ্গীত পরিচালনায় তরুণ সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন হক। নৃত্য পরিচালনায় বাংলাদেশে ছিলেন সাইফুল ইসলাম, সজীব মাহমুদ, সুমন সরকার। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এন্ড্রো কিশোর, কনকচাঁপা, বেবি নাজনীন, আগুন, এস. আই. টুটুল, সামিনা চৌধুরী, তানজিনা রুমা।
মুজিবুর রহমান বাবু
No comments