সুঁই-সুতার পরতে পরতে স্বচ্ছলতা
মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর গ্রামের হতদরিদ্্র ৬০ পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলেছে কারম্নকামিনী নামের একটি স্থানীয় সংস্থা। দিনমজুর, কাঠমিস্ত্রি, ুদ্রব্যবসায়ী স্বামীর সামান্য আয়ের সঙ্গে স্ত্রীদের আয় যোগ করে এখন তারা সকলেই স্বাবলম্বী।
মাত্র এক বছর আগে এলাকার উচ্চ শিতি যুবক মঞ্জুরম্নল হক হতদরিদ্র লোকদের দুর্দশা ও নিজে একটা কিছু করার জন্য মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন কারম্নকামিনী নামের কারম্নশিল্প ও নকশী কাঁথা ও নকশী শাড়ির কারম্নশিল্পের কাজ। মঞ্জুরম্নল হকের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত কারম্নকামিনী নামের এ প্রতিষ্ঠানে এখন কাজ করছে ৬০ জন হতদরিদ্র মহিলা। এসব মহিলা মূলত তাদের বাড়িতে বসে সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে এ কাজ করে থাকেন।এলাকার ডালিয়া বেগম, পুতুল রানী মজুমদার, দীপালী মজুমদার জানান, সংসারের কাজের ফাঁকে তাঁরা ৬ থেকে ৭ দিনে একজনে একটি নকশী কাঁথার কাজ করে মজুরি পান দু'শ' থেকে আড়াই শ' টাকা। এছাড়া একজন মহিলা পারিবারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করে দশ দিনে একটি শাড়িতে নকশী করে উপার্জন করছে ৫শ' টাকা। সে হিসেবে মাসে পনেরো শ' থেকে দুই হাজার টাকা। স্কুল-কলেজের মেয়েরাও লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে এ কাজ করে যা উপার্জন করছে তাতে তাদের লেখাপড়ার খরচের কিছুটা হলেও মিটছে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মঞ্জুরম্নল হক জানালেন, তাদের তৈরি নকশী কাঁথাসহ সকল সামগ্রী স্থানীয় বাজারে খুব কম লাভে বিক্রি করা হয়। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন মার্কেটেও তা রফতানি করা হয়। প্রথম অবস্থায় তাঁরা নামমাত্র লাভে এসব বিক্রি করেছেন। এছাড়া বর্তমানে এলাকার বহু লোক ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কারম্নকামিনীর নকশী কাঁথা ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে সে এ কাজ করবেন বলে জানালেন। -সুবল বিশ্বাস, মাদারীপুর
No comments