খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে কর্মশালা- কৃষি ও খাদ্য নিয়ে সঠিক তথ্যের ঘাটতি আছে
দেশের খাদ্য ও কৃষি নিয়ে তথ্যের ঘাটতি আছে। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঠিক তথ্য-উপাত্তের আলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সঠিক নীতি ও পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ শুধু চালে নয়, অন্যান্য খাদ্যপণ্যেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসএআইডি ও ইফপ্রির যৌথ উদ্যোগে ‘ভবিষ্যতের খাদ্যনিরাপত্তা এলাকা দক্ষিণাঞ্চল এবং দেশের বাকি অংশ, খাদ্যনিরাপত্তার দৃষ্টিতে তুলনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।বারাক ওবামার ‘ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য (ফিড দ্য ফিউচার)’ উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরির অংশ হিসেবে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পিছিয়ে পড়া ওই অঞ্চলের উন্নয়নে ইউএসএআইডি কী ধরনের কাজ করতে পারে সে বিষয়ে কর্মশালায় আলোচনা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশে প্রতিবছরই কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। শিল্প কারখানা, রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো এবং পাকা ঘর কৃষিজমির ওপরে নির্মিত হচ্ছে। ফলে সরকার সীমিত জমিতে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশেষ অতিথি খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সরকারি সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যান ও তথ্যের মধ্যে গরমিল পাওয়া যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্যের গরমিল থাকলে তা দিয়ে সঠিক পরিকল্পনা তৈরি কষ্টকর হয়ে যায়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীদের গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিলে তা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, ‘বহু বছর আগে একজন বিখ্যাত ব্যক্তি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল। তাই যদি সত্যি হতো তাহলে কীভাবে এ ধরনের একটি ঝুড়ি বাংলাদেশের কৃষকদের উৎপাদিত পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ধারণ করতে পারে।’
এই মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই ঝুড়ি এখন পরিপূর্ণ হয়ে উপচিয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে এক খাদ্য-বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
কর্মশালায় জরিপের ফলাফল উত্থাপন করা হয়। ইফপ্রি পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের ৬১ শতাংশই ক্ষুদ্রখামারি। তারা বড় কৃষকদের চেয়ে বেশি ফলন পেয়ে থাকে। বড় কৃষকদের তুলনায় ক্ষুদ্র কৃষকেরা ঋণসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ-সহায়তা ভালোমতো ব্যবহার করতে পারে।
No comments