সরকার ইসলামী রাজনীতি বন্ধের স্বপ্ন দেখছে ।। নিজামী- ৫ম সংশোধনী বাতিল প্রসঙ্গে
জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর দাবি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস নিয়েই এ দেশে রাজনীতি শুরম্ন করেছে জামায়াত। এ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ জাতীয় রাজনীতিতে জামায়াতের গৌরবোজ্জ্বল অবদান আছে।
কিন্তু সরকার সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের মধ্য দিয়ে দেশে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের স্বপ্ন দেখছে। নিজামীর প্রশ্ন, ইউরোপ ও আমেরিকার ধর্মনিরপে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যদি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকতে পারে তাহলে বাংলাদেশে থাকতে পারবে না কেন?শুক্রবার রাজধানীর ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত দলের জেলা মজলিশে শূরার সদস্য সম্মেলনে নিজামী এসব কথা বলেন। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফ, নায়েবে আমির মকবুল আহমাদ, অধ্যাপক একেএম নাজির আহমদ, আবদুস সুবহান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারম্নজ্জামান, আবদুল কাদের মোলস্ন-া, এটিএম আজহারম্নল ইসলাম, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য রফিউদ্দিন আহমদ, মীর কাসেম আলী, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম, ঢাকা মহানগরী আমির রফিকুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী, কর্মপরিষদ ও মজলিশে শূরার সদস্যরা। জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর দাবি, প্রতিবেশী আগ্রাসী ও সমপ্রসারণবাদী শক্তির বিরম্নদ্ধে বাংলাদেশের যে সব শক্তি সোচ্চার হতে পারে সে সব শক্তিকে পঙ্গু করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। নিজামী আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ১১ জানুয়ারি এক অভিশপ্ত দিন। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের ওপর নেমে এসেছে এক অভিশাপ। তেমনি ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য এক অশনি সঙ্কেত।
নিজামী দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে বাংলাদেশের দু'টি বন্দর ব্যবহার করতে দেয়ার জন্য চুক্তি করে এসেছেন। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতের চারণভূমিতে পরিণত হবে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্যে সামরিক বাহিনী ও যানবাহন পাঠাতে পারবে। চুক্তিতে ভারতকে যে ট্রানজিট দিয়ে আসা হয়েছে সেখানে রেল লাইন তৈরি ও মেরামতের জন্য বাংলাদেশকে ভারত ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা বলেছে। ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদু্যত আনার মাধ্যমে ভারতকে আমাদের জাতীয় গ্রিডে ঢোকার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ভারত সুঁই হয়ে ঢুকবে এবং ফাল হয়ে বের হবে যাবে বলে অভিমত জামায়াতের আমিরের। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের পৰে যুক্তি দিয়ে নিজামী বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের নামে সরকার ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। অথচ বিশ্বের ৫০টির অধিক ধর্মনিরপে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল আছে। যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকে ধর্মনিরপেতার ছবক গ্রহণ করা হয়েছে সে দেশেও হিন্দু ধমর্ীয় দল, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামীসহ আরও ধমর্ীয় দল আছে। ইউরোপ ও আমেরিকার ধর্মনিরপে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যদি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকতে পারে তাহলে বাংলাদেশে থাকতে পারবে না কেন?
No comments