সম্পাদক সমীপে- সরিষা ক্ষেতে মধু সংগ্রহ
এখন শীত কাল। কৃষিপ্রধান চলন বিলের মাঠে-মাঠে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। হেমন্ত ও শীত ঋতুর এ হলুদ সরিষা ফুলের দৃষ্টি কাড়া সৌন্দর্য যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করে।
এ সময় আমরা প্রকৃতির এক অন্য রকম সৌন্দর্য অনুভব করি। সরিষা শুধু শীতকালের অর্থকরী সফলই নয়; বর্তমান এ ফুলের সংগৃহীত মধু আমাদের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কৃষিপ্রধান চলন বিলের সরিষা ক্ষেতে মৌ বাক্স বসিয়ে প্রতি বছর প্রচুর মধু সংগ্রহ করা হয়। এ সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জেলা থেকে মধু সংগ্রহে আসেন শত শত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৌ চাষীর দল। সরিষা ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মৌ বাক্স বসিয়ে শুরু করেন শুধু সংগ্রহ। কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত চলে এ মধু সংগ্রহ। সংশ্লিষ্ট কৃষি সূত্র মতে-চলতি বছর চলন বিলের ৯ উপজেলার সরিষা চাষের পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমি। এ সকল ক্ষেত থেকে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ’ টন মধু সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।সার্বিক সহযোগিতা পেলে-মৌ চাষীদের পক্ষে দি-গুণ পরিমাণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব। মূলত ওষুধ ও অন্যান্য শিল্পের জন্য মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা পূরণে চলনবিলসহ দেশের কৃষি প্রধান অঞ্চলগুলোতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি করতে হবে এবং সেই সঙ্গে কৃষকদের মৌ চাষ সর্ম্পকে ব্যাপক সচেতন করে তুলতে হবে যাতে তারা মৌ চাষে উৎসাহিত হয়। এ ব্যাপারে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে এবং তা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এ সব করতে পারলে দেশের চাহিদা পূরণ করে এই মধু শিল্প বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। তাই আসুন শীতকালের অলঙ্কার সরিষার চাষ বৃদ্ধির পাশাপাশি মৌ চাষে মধু সংগ্রহে সকলেই এগিয়ে আসি এবং সংসারের বাড়তি আয় করি।
সৌরভ সোহরাব ,সিংড়া, নাটোর।
আলোচিত হত্যা এবং বিচার
২০১২ সালের সবচেয়ে আলেচিত হত্যাকা- সারাদেশের মানুষকে ব্যাধিত এবং আলোচিত করেছে। আলোচিত এই হত্যাকা- সারা জাতিকে করেছে হতবাক এবং নির্বাক। নিরপরাধ পথচারী বিশ্বজিৎ দাস বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাঁচতে পারেনি। অপরাধের এবং অপরাধীর কোন ধরন এবং জাতকূল নাই বলেই আমরা সাধারণ মানুষ মনে করি। সন্ত্রাসী এবং খুনী ব্যক্তির কোন রাজনৈতিক পরিচয় এখানে মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় তারা খুনী তারা সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। টিভি চ্যানেলে যেভাবে বিশ্বজিৎ হত্যাকা- প্রত্যক্ষ করেছে তাতে যেই হোক ব্যক্তি ব্যথিত হতে পারেন। মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন এই হত্যকা-ের দায় রাষ্ট্র কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। প্রকৃত অপরাধী চিহ্নিত করে এই হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার করে দোষীদের দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। এ বিচারে যদি দায়ী ব্যক্তিরা দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি পায় তাহলে, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে সরকারের ভাবমূর্তি উদ্ধার হবে। দেশ ও জাতি হতাশা থেকে মুক্তি পাবে বলে আমরা সাধারণ মানুষ মনে করি। ইতোমধ্যে দ্রুততম সময়ে, খালাফ আলী নামক সৌদি কর্মকর্তার হত্যার বিচার করে সরকার প্রশংসা অর্জন করেছেন। এখন তাড়াতাড়ি সম্ভব খালাফ হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করা যায় ততই মঙ্গল। আমরা আশা করি বিশ্বজিৎ হত্যকা-ের বিচার অচিরেই সম্পন্ন হবে।
রণজিত মজুমদার,
আমির মার্কেট, চট্টগ্রাম।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা
পোশাকশিল্প কারখানায় প্রায়শই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। নিহত আহত শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজনের করুণ আর্তিতে বেশ ক’দিন সবার মন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকলেও এর কোন সঠিক প্রতিকার মিলছে না। পোশাক শ্রমিকদের জীবনের মূল্য কি এতই কম তাদের জন্য কি পোশাক কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে না? প্রতিটি পোশাক শিল্প কারখানা শ্রমিকদের জন্য কর্মপরিবেশ উপযোগী হতে হবে। অগ্নিনির্বাপণের যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রয়োজনে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত এসব মনিটরিং করতে হবে। তাছাড়া ভবনের প্রবেশ ও নির্গমন পথ ঠিক আছে কিনা বা জাতীয় ভবন নির্মাণ বিধি মানা হয়েছে কিনা তা খুঁটিয়ে দেখা দরকার। আগামীতে যাতে আর কোন প্রাণহানী দেখতে না হয়, সে জন্য পোশাক কারখানার মালিকদের ইতিবাচক সব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে।
জাহেদুর রহমান ইকবাল
পুরানা পল্টন, ঢাকা।
No comments