নারীরা আজ অনেক এগিয়ে- বলতে চাই
অনেক নিম্নকর্মনত্মর থেকে শুরম্ন করে দেশের সর্বোচ্চ সত্মর পর্যনত্ম নারীর পদচারণা। হঁ্যা, আশাবাদীদের মতে, বাংলাদেশ লিঙ্গ বৈষম্য থেকে উন্নীত হয়েছে।
যেখানে নারীরা নির্বিঘ্নে সমাজের সম্মানজনক পর্যায়ে কৃতিত্ব রেখে যাচ্ছে সেখানে আমাদের সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য নামে কিছু আছে_ এটি ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু সত্যিই কি আমরা এই বৈষম্য থেকে আমাদের নারীসমাজকে বের করে এনে মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। বোধহয় আমাদের দেশের সুবিধাভোগী নারীরা এমনকি সবচেয়ে মতাধর নারীও এর উত্তর দিতে ইতসত্মত বোধ করবেন। আমাদের মা-বাবারা এখন অনেকটা সচেতন হচ্ছেন। মেয়েকে উচ্চ শিা দিয়ে সমাজের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলছেন। কিন্তু এ সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। যখন শুনি এই সামান্যসংখ্যক শিতি নারীরও সমাজের আর দশটা অবহেলিত নারীর মতো ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত অপমানের শিকার হচ্ছেন, প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকিতে থাকছেন, তাদেরই আপনজনের কাছে, তখন মনে হয়_ কুসংস্কারচ্ছন্ন সমাজ থেকে মুক্তি পেতে এখনও সহস্রাব্দকাল বাংলাদেশকে অপো করতে হবে। সুতপার মতো হাজার হাজার নারী প্রতিমুহূর্তে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, যার খুব সামান্যই খবর হয়_ রয়ে যায় সবার অগোচরে। আমাদের দেশের নারীরা স্বভাবসুলভভাবেই পুরম্নষের প্রভুত্ব মেনে নেয়। এই দুর্বলতা থেকে যতদিন নারীরা বেরিয়ে না আসতে পারবে ততদিন পুরম্নষরাও নারীদের সম্মান করতে শিখবে না। যেখানে নিজের ঘরে মেয়েরা নির্যাতিত হয়, সেখানে বাইরে তাদের নিরাপত্তা কোথায় ? নারীদের স্বাধীনতার জন্য সবার ওপরে দরকার নারীদের মনোদুর্বলতা দূর করে তাদের সমাজের সম্মানিত নাগরিক হিসেবে ভাবতে শেখানো। আর দরকার পুরম্নষদের প্রভুপ্রবণ মনকে পরিবর্তন করে নারীদের সম্মান করতে শেখানো। আমি আশাবাদীদের দলে। তাই আমিও স্বপ্নদেখি প্রতিটি নারী সম্মানের সঙ্গে মাথা তুলে সমাজে দাঁড়িয়েছে। দেখতে চাই যে, নারী রোদে পুড়ে ধান শুকায় তার স্বামীটি অনত্মত এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সারাদিনের কর্মত্রে থেকে বাসায় ফিরে নারী যেন সবার সহানুভূতিপূর্ণ মুখখানা দেখে। দেখতে চাই প্রতিটি পরিবারে মেয়ে শিশুটির হাত ধরে বাবা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে আর বলছে 'মা তোমাকে অনেক বড় হতে হবে।' নারীরাই পারে এই পুুরম্নষতান্ত্রিক সমাজ থেকে নিজেদের বের করে আনতে। এর জন্য চাই প্রবল আত্মবিশ্বাস আর সকলের সহযোগিতা। আশা করি, আমাদের পরিবার এখন মেয়ে সনত্মানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শিখবে। সুতপা, ডা. তামান্না অথবা গৃহবধূ আয়েশার মতো হাজারো নারীর অকালে ঝরে যাওয়া কেউ আর দেখতে চাইবে না।অরফিয়াস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments