ছাত্রলীগ ।। শেখ হাসিনা সরকারের সমস্ত অর্জনে একমাত্র বিসর্জন by মাসুদা ভাট্টি
এক বছর এক মাস বর্তমান সরকারের বয়স। এই বয়সে সরকারের অর্জন নিয়ে দেশে এবং বিদেশে যখন প্রশংসার ধ্বনি শোনা যাচ্ছে, তখনই এক কলস দুধে এক ফোঁটা গো-মূত্রের মতো ছাত্রলীগ শুধু আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে নয় বরং গোটা সরকারকে অর্জনপ্রিয়তার পথে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারের খুব বড় কোনও ভুল পদপে নেই। যে কারণে জনগণ বলতে পারে যে, এই সরকার জন-বান্ধব নয়, বরং একের পর এক জনকল্যাণমূলক পদপে এই সরকারকে জোট ও পরবতর্ীকালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনায় এক বিশেষ অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে যে, তারা আসলে ভুল করেনি, ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে দেশের জন্য চরম মঙ্গলেরই কাজ করেছে, কিন্তু সরকারের বয়স মাস না পেরুতেই আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনকে কেন্দ্র করে একের পর এক দুর্ঘটনা একদিকে যেমন সরকারের অর্জনকে বিসর্জনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে অপরদিকে সরকার সমালোচকদের হাতে অহেতুক সব মারণাস্ত্র তুলে দিচ্ছে। এমনিতে তারা ঘরে বসে এসব অস্ত্র শান দিলেও এখন তারা সেসব প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে সরকারকে ল্য করে। মাত্র এক বছর বয়সী একটি সরকারের জন্য এটা মোটেও কোনও সুখকর লণ নয়।কিছুদিন আগেই ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, "আমি যখন পত্রপত্রিকায় দেখি, ছাত্রলীগের ছেলেরা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে তখন কষ্ট পাই"। কিন্তু কে শোনে এই কষ্টের কথা? চার দলীয় জোট যখন মতায় আসে তখন প্রথমেই মাঠে নামে ছাত্রদল। চারদিকে তখন দখলের যে ভয়ঙ্কর মহড়া চলে তাতে গোটা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে শুধুমাত্র নিজের জীবন, প্রিয়জন এবং সম্পদ বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। যারা চার দলীয় জোটকে ভোট দিয়েছিল তারা মনে মনে নিজেদের চুল ছিঁড়েছেন তখন। বার বার বিষয়টি তখনকার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হলেও তিনি নির্বিকারচিত্তে পাঁচ বছর মতায় থেকেও কিছুই করেননি। বরং তার দুই পুত্র, আত্মীয়স্বজন, মন্ত্রী-এমপিদের মতো ছাত্রদলকেও তিনি সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ফলে এই দেশটাকে লুটেপুটে ছারখার করে দেয়ার ফল যা হওয়ার তাই-ই হয়েছে। অরাজনৈতিক মতালোভীদের জন্য খুলে গেছে সম্ভাবনার মহা দরজা। তারা নানা অলিগলি পথে সরকারের কেন্দ্রে ঢুকে প্রথমেই রাজনীতিবিদদের উলঙ্গ করার কাজ করেছেন। উদাহরণ হিসেবে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডকেও অনেক সময়ই তুলে ধরেছেন। ঢালাও ভাবে ছাত্র রাজনীতির বিপ েদাঁড়িয়ে অনেকেই ছাত্ররাজনীতি বন্ধের ব্যাপারে জোর মতামত দিয়েছেন। এসব মাত্র সেদিনের কথা, অথচ মতায় যাওয়া মাত্রই যে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বিষয়টি ভুলে যাবে তা কে ভেবেছিল?
বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থাশীল অনেকেই ছাত্রলীগের এই বেপরোয়া হয়ে ওঠার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। মূলত সকলেই একথাটি বলতে চেয়েছেন যে, আওয়ামী লীগ বিগত আট বছরে যে ভয়ঙ্কর ও কঠিন অবস্থার ভেতর দিয়ে গিয়েছে তা শুধু অবর্ণনীয়ই নয়, বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক দলের ইতিহাসেই এ রকমটি খুঁজে পাওয়া যাবে। যে দলটির প্রধানের ওপর গ্রেনেড হামলা ঘটানো হয়েছিল সেই দলটিই যখন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়, তখন সেই দলটির ওপর স্বাভাবিকভাবেই জনগণের প্রত্যাশা বেড়ে যায় যে, এই দলটির প্রধান অন্তত কোনও প্রকার "ভায়োলেন্স" কে প্রশ্রয় দেবেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাংলাদেশের ভাল আর মন্দকে মিশিয়ে এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টির দেশী-বিদেশি পাঁয়তারা পঁচাত্তরপরর্বতীকালের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মকে হালাল করতে একশ্রেণীর পত্রপত্রিকায় আওয়ামী লীগও সেটা করেছিল বলে যে নিরপে চরিত্রের প্রমাণ হাজির করা হয় সেটা আসলে আওয়ামী লীগকেই একটি সাম্পদ্রায়িক ও উগ্র জঙ্গীবাদী দলের সঙ্গে এক কাতারে নিয়ে আসার অপচেষ্টা। আর এসব থেকে বর্তমান সরকারকে দূরে রেখে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড দিয়ে দেশকে একটি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করার জন্য গত এক বছরে বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষক আহ্বান জানিয়েছেন। এই আহ্বানে কারও কোনও প্রাপ্তিযোগ ছিল না, ছিল পেছনের তিক্ত ইতিহাসে ফিরে না যাওয়ার সতর্কতা। কিন্তু কার্যত দেখা যাচ্ছে যে, ছাত্রলীগের অপর্কম আজ শেখ হাসিনার সরকারকে জনসম্মুখে হেনস্থা করার এক মহা অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় ব্যানার হেডিং ছাত্রলীগের অপকর্ম, ভেতরের পাতায় জেলা উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে ছোট খবর ছাত্রলীগের অপর্কম, শেষ পাতায় জাতীয় কিংবা জেলা শহরের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোতে ছাত্রলীগের অপকর্মের খবর, সম্পাদকীয় নিবন্ধে সরকারকে জ্ঞানদানকারী কথামালা, উপসম্পাদকীয়তে সরকারের প্রতি প্তি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কলামে ছাত্রলীগের কথা এবং কখনও কখনও প্রথম পাতায় স্বনামে সম্পাদকের মন্তব্য প্রতিবেদন এবং তাতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্বোধন করে ছাত্রলীগের অপকর্মের জন্য প্রকারান্তরে তাকেই দায়ী করা।
আজ গোটা বিশ্বেই টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের পরেই স্থান করে নিয়েছে ইন্টারনেট ব্লগ। বাঙালী তরুণ সমাজের ব্লগে অংশগ্রহণ এমন এক মাত্রায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কিছুদিন পরেই দৈনিক পত্রিকাগুলোকে এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। প্রতিদিন সারাদেশের যে, কোনও এলাকাতেই ছোটো খাটো যাই-ই ঘটুক না কেন অবিলম্বে তা ব্লগে প্রকাশিত হয় এবং তার ওপর ব্লগ-পাঠকদের মন্তব্য প্রতিমন্তব্যের ঝড় বয়ে যায়। যেমন গত দু'দিন ধরে প্রতিটি বাংলা ব্লগের আলোচনার শিরোনাম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বকরের মৃতু্য এবং তার পরর্বতী ঘটনাবলী। মজার ব্যাপার হলো, এসব ব্লগে বেশ কিছু প্রত্যদশর্ী, ঘটনার শিকার এমনকি এত অংশগ্রহণকারী অনেকেরই লেখা কিংবা মন্তব্য পাওয়া যায়, যা সত্যকে বেশ সহজতর করে দেয়। আন্তর্জাতিকভাবে বলা হচ্ছে যে, মতাসীন সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্লগ স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। সেদিক দিয়ে হিসেব করলে, বাংলা ব্লগকেও আমরা সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটি পন্থা হিসেবে ধরতে পারি। অন্তত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের যে অংশটি কম্পিউটার তথা ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ব্লগিং-এ অংশ নেয় তাদের মতামত এখানে ফুটে ওঠে রাজনৈতিক আলোচনায়। এসব আলোচনায় একটি বিষয় স্পষ্ট যে, কেউ শুধু দলকে ভালবাসে বলেই দলের সমস্ত অপকর্মকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো অপচেষ্টা করে না, বরং দলের যেখানে সমালোচনা প্রয়োজন সেখানে মুক্তকচ্ছ হয়েই নামে। ধরে নিচ্ছি এটা তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক বিশ্লেষণের ধরন। সেদিক দিয়ে অনেক ছাত্রদল সমর্থকই ছাত্রদলের ক্যাম্পাস দখল করে মানুষের শোবার ঘরে ঢুকে সন্তানের সামনে বাবাকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানায় এবং ছাত্রলীগের কমর্ী হয়েও ছাত্রলীগের এই অপকর্মকে সমর্থন জানাতে পারে না। আর যারা কোন রাজনৈতিক দলের একনিষ্ঠ সমর্থক নয়, তারা স্পষ্ট বলে যে, এবার দিয়েছি কিন্তু পরবতর্ীতে আর দেব না। এই স্পষ্ট কথার একটিই বিষয়, সেটি হচ্ছে ভোট। আমরা জানি যে, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তরুণ প্রজন্মের একচ্ছত্র সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু আজ এই দলটির একটি অঙ্গসংগঠনের কারণে এই সমর্থনের পাল্লা যে কত দ্রুত নিচে নামছে সেকথা কেউ ভাবতেও পারবেন না।
এমনিতেই বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে নানা মত-দ্বিমত রয়েছে। অনেকেই ছাত্ররাজনীতির অতীত ইতিহাসকে তুলে ধরে ছাত্ররাজনীতি বলবত রাখার কথা বলেন, কিন্তু অনেকেই আবার ছাত্র রাজনীতির ধ্বংসাত্মক দিকটি দেখিয়ে এটি বন্ধের দাবি করেন। এ কথা সত্য যে, ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করারও একটি ধারাবাহিকতা আছে। সামরিক সরকারগুলো ছাত্রদের ঐতিহ্যবাহী রাজনীতির ধারা থেকে বের করে আনার ল্যে অস্ত্র, অর্থ, টেন্ডারবাজি, ব্যবসা ইত্যাদি ধরিয়ে দিয়েছিল। সেনা যুগের অবসানে যে গণতান্ত্রিক সরকার মতায় আসে তারা এই ধারাবাহিকতা বন্ধের কথা না ভেবে বরং একে উস্কে দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনকে দমন করার চেষ্টা করেছে। ফল যা হবার তাই-ই হয়েছে, গোটা ছাত্রসমাজ রাজনীতির নামে ভয়ঙ্কর এক লোভের ফাঁদে পড়েছে। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর পরই আমার এই কলামেই আমি লিখেছিলাম যে, আওয়ামী লীগের উচিত তার ছাত্র সংগঠনের ভেতর একটি শুদ্ধি অভিযান চালানো এবং ছাত্রদের এই লোভের ফাঁদ থেকে বের করে এনে একটি সৃষ্টিশীল পথে দাঁড় করিয়ে দেয়া। কীসের কি? এটা সত্য যে, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের কেউই ছাত্রলীগের এই অপকর্মকে 'জাস্টিফাই' করার চেষ্টা করেননি কখনও এবং এর দায়িত্বভারও গহণ করেননি। বরং বেশিরভাগ েেত্রই ব্যক্তিগত আলোচনায় কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও ছাত্রলীগের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। যদিও গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু বকরের মৃতু্য নিয়ে যা বলেছেন তা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তার এই মন্তব্য তাকে জোট সরকারের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বায়ুসেনা আলতাফ চৌধুরীর সেই বিখ্যাত মন্তব্য "আল্লাহর মাল আল্লায় নিয়ে গেছে" এবং পরবতর্ীকালে মি. জেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবরের "উই আর লুকিং ফর শত্রুজ" ধরনের হাস্যকর অবস্থানে নিয়ে গেছে। একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর বলার ধরন আজ এ রকম হওয়ার কথা ছিল না, তার এই মন্তব্য জাতিকে যে শুধু হতাশ করেছে তা বললে আসলে কম বলা হবে, বরং তিনি এক হিসেবে গোটা জাতিকে অপমানই করেছেন। কারণ, আমরা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে সমর্থনকারীদের হাত থেকে মুক্তির জন্যই মহাজোটকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছি, কারও অপকীর্তিকে ঢাকার জন্য নয়। আশা করি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বিষয়টি অনুধাবন করবেন এবং তাকে প্রদত্ত মতা ব্যবহার করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন তোলা যেতে পারে যে, শেখ হাসিনা সেই নেতা যিনি মতায় আসার মাত্র এক মাসের মাথায় একটি ভয়ঙ্কর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং তিনি সফলভাবে সেটি সামাল দিতে সম হন। শুধু তাই নয়, তিনি গত এক বছরে দেশের গুণগত চরিত্র পরিবর্তনম এবং ভবিষ্যতে দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে সম হবে এমন কিছু পদপে গ্রহণ করছেন যা দেশে বিদেশে সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। অথচ সেই তিনিই কেন ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরতে পারছেন না তা নিয়ে অনেকেই বিস্মিত। আজ যখন শেখ হাসিনার সরকারকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করার আর কোনও সুযোগ নেই এই ছাত্রলীগ ছাড়া, তখন সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে একটি দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতেই হবে যা তাকে ভবিষ্যতে অনেক বড় অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন। প্রয়োজনে তিনি ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডকে বছরখানেকের জন্য স্থগিত করুন এবং এর মাঝে ছাঙত্রলীগকে শুদ্ধতম হওয়ার সুযোগ করে দিন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মতায় আসতে হবে, নইলে এই পাঁচ বছরে শুরু করে যাওয়া অনেক কিছুই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এবং অন্য কেউ মতায় এলে সেসব সম্পূর্ণ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। কিন্তু আগেই বলেছি যে, এক কলস দুধে এক ফোঁটা গো-মূত্রের মতো ছাত্রলীগ শেখ হাসিনা তথা মহাজোট সরকারের সমস্ত অর্জনকে বিসর্জনের পথে নিয়ে যাচ্ছে। এটা এখনই বন্ধ করা না গেলে সরকার ক্রমশ বন্ধুহীন হবে, শেখ হাসিনা ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাবেন এবং শেষমেশ জাতি আবার রাহুগ্রস্ত হবে। মানুষকে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়ার এই দায়িত্ব শেখ হাসিনা গ্রহণ করবেন কি-না তা নির্ধারণের উপযুক্ত সময় এখনই।
ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার-২০১০।
বট্রলঢটঠদর্টর্ধ আদর্মবটধফফ.ডমব
No comments