ফুটবল ও ক্রিকেটের ফাইনালে বাংলাদেশ- রম্নমেল খান
এসএ গেমসের অষ্টম দিনে বাংলাদেশ কোন স্বর্ণপদক না পেলেও মন ভাল করে দেয়ার মতো কীর্তি গড়ে। সেটা ফুটবল ও ক্রিকেটে। এই দুই খেলাতেই ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
ফুটবলের প্রথম সেমিতে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আরেকটি সুখবরও আছে, তা হলো টি২০ ক্রিকেটে শক্তিশালী পাকিস্তানকে ৫২ রানে হারিয়ে ফাইনালে উন্নীত হয় বাংলাদেশের যুবারা। ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার বিপৰে। ফলে আরও দু'টি স্বর্ণপদক প্রাপ্তির প্রেৰাপট তৈরি হলো স্বাগতিক বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীরা অনেক আশা নিয়ে অপেৰা করছিলেন গেমসের অষ্টম দিনেও বাংলাদেশের পৰে বিজয়বাতর্া ঘোষিত হবে। সাফল্যের ভা-ারে যোগ হবে আরও কিছু সোনার পদক। এমন আশার যুক্তিসঙ্গত কারণও ছিল। কেননা, এদিন থেকেই শুরম্ন হয় বাংলাদেশের সোনা জয়ের জন্য আশা জাগানিয়া ইভেন্ট সাঁতার। কিন্তু আশায় পড়েছে গুড়েবালি। ব্যক্তিগত বা একক_ কোন ইভেন্টেই বাংলাদেশ পারেনি কাঙ্ৰিত সাফ্যলের মুখ দেখতে। এক কথায় বলা যায়, আট নম্বর দিনটি বাংলাদেশের জন্য ছিল স্বর্ণপদকবিহীন। তবে কোন স্বর্ণপদক না পেলেও অন্যান্য পদকও যে একেবারেই আসেনি, তা নয়। সাঁতারেই বাংলাদেশ পায় ৩টি রম্নপা ও ১টি ব্রোঞ্জ। এত রম্নপা জিতে মোট পদকসংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি তারচেয়ে শতগুণে বেড়েছে আৰেপ ও অতৃপ্তির যন্ত্রণা। ঈপ্সিত সাফল্যের ৰেত্রে দিনটি ছিল বাংলাদেশের জন্য হতাশামাখা। তবে এই যন্ত্রণার খানিকটা উপশম ঘটিয়েছে গলফ। এদিন দু'দিনব্যাপী পুরম্নষদের একক প্রতিযোগিতার প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের তিন গলফারই প্রথম ৩টি পদকের জন্য সুবিধাজনক পয়েন্টে এগিয়ে থাকেন। আজ কোন অঘটন না ঘটলে এই ইভেন্টে বাংলাদেশ স্বর্ণসহ বাকি দুটো পদক হাসিল করবে_ এমন সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কাজেই এ সমাচারে বাংলাদেশী ক্রীড়ামোদীদের মনে কিছুটা হলেও বইছে আনন্দের ফল্গুধারা। পুরম্নষদের হ্যান্ডবলে নেপালকে ৭৫-৬২ গোলে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পায় বাংলাদেশ। হকিতে অবশ্য ফাইনালে পেঁৗছানোর প্রত্যাশা পর্যবসিত হয়েছে ব্যর্থতায়। শুক্রবার বাংলাদেশ হকি দল ৩-৩ গোলে ড্র করে ভারতের বিরম্নদ্ধে। যদি তাদেরকে হারাতে পারত, তাহলে ফাইনালে যেতে পারত হোম টিম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পেস্নয়াররা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন, কিন্তু জয়ের উলস্নাসে মেতে উঠতে পারেননি। খেলা শেষ করতে হয় অমীমাংসিতভাবে। তবে ফাইনালে না গেলেও ব্রোঞ্জের আশা এখনও রয়েছে। এটার জন্যই বাংলাদেশ হকি দল তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। লড়াই করবে ব্রোঞ্জের জন্য। শূটিংয়ে কোন স্বর্ণ আসেনি। এসেছে কেবল একটি ব্রোঞ্জ। ৫০ মিটার রাইফেল প্রনে বাংলাদেশের রমজান আলী সেটা অর্জন করেন। এর আগে সপ্তম দিন শেষে বাংলাদেশের স্বর্ণসংখ্যা ছিল ৫ (মোট পদক ২৬)। পদক তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কাকে চার নম্বরে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশ দখল করে নেয় তাদের স্থানটি। তবে অষ্টম দিনেও বাংলাদেশের স্বর্ণসংখ্যা থেকে যায় সেই আগের মতোই_ পাঁচে, যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের ক্রীড়াপাগল মানুষ। আজ গেমসের নবম দিনে কি স্বর্ণের কোষাগারে কিছু যোগ করতে সৰম হবে বাংলাদেশ? সেদিকেই তাকিয়ে আছে স্বাগতিক দর্শক ও সমর্থকরা।
No comments