টুইটারের নেশায় শারাপোভা
হেলায় এক রাজ্য জয় করে এবার তিনি চলেছেন আরেক রাজ্যে। ফেসবুকে প্রায় এক কোটি ভক্ত জমিয়ে মারিয়া শারাপোভার নজর এখন টুইটারে। অনেক দিন পর হলেও কিচিরমিচিরের এই জগতে এসেছেন।
এসেই দুই দিনে পেয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি অনুসারী। ফেসবুকের সঙ্গে অনেক পার্থক্য আছে বলে টুইটার জিনিসটা বুঝে উঠতে সময় লাগছে। তবে একটা ব্যাপার ভালোমতোই বুঝেছেন, বর্তমান পৃথিবীতে সামাজিক যোগাযোগের এই সাইটগুলোর আছে অসম্ভব এক ক্ষমতা!‘মানুষের এত সাড়া দেখে আমি আনন্দে গলে গেছি। এর থেকে সামাজিক মাধ্যমগুলোর শক্তিরও একটা আন্দাজ পাওয়া যায়, বোঝা যায় বিভিন্ন যন্ত্র এখন কত মানুষ অনলাইনে রাখে। আপনিও আমাকে দেখবেন, কখনো নোটবুক ব্যবহার করছি, কখনো ফোন। আমার মা কখনো কখনো রাগ করে বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, পাশে থাকলেও আমার মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য নাকি তাঁর মনে হয় আমাকে মেসেজ পাঠানো দরকার’—বলেছেন শারাপোভা।
তিনি যে কতটা বুঁদ হয়ে থাকেন, সেটা বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি টুইট করে ফেলায়। আগে শুধু ফেসবুকে স্ট্যাটাস বা ছবি দিতেন। এখন টুইটারেও মনোযোগ দিতে হচ্ছে। তবে আর সব তারকার মতো অর্থহীন বিষয় নিয়ে প্রতি মিনিটে টুইট দেবেন না বলেও জানালেন শারাপোভা, ‘প্রতি মিনিটেই এটা করব না। মানুষকে জানানোর দরকার নেই আমি কী খাচ্ছি। আমার মনে হয় এসব খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু যখনই আমার বলার মতো কিছু থাকবে, অবশ্যই বলব। গত রাতে একটা ম্যাচ টিভিতে দেখার সময় মনে হচ্ছিল, এই ধারাভাষ্য নিয়ে কিছু বলি। কিন্তু আমি জিভে কামড় দিয়েছি। মনে হয়েছিল, কিছু বলার মতো টুইটার তো আছেই। সেখানেই না হয় বলব।’ এএফপি।
টুইটার জিনিসটা বুঝে উঠতে সময় লাগছে জানিয়ে বলেছেন, ‘এখনো এ ব্যাপারে আমি নবিশ। এখনো অনেক কিছু শিখছি।’
No comments