কিছু কিছু ব্যাংকিং ব্যবস্থা সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে ।। by মুহিত
সিলেট, ৫ ফেব্রম্নয়ারি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ।। দেশের কিছু কিছু ব্যাংকিং ব্যবস্থা' বিভিন্নভাবে আনত্মর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তবে 'কিছু ব্যাংকিং ব্যবস্থা' বিষয়ে তিনি বিসত্মারিত কিছু বলেননি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়বদ্ধতা ও গতিশীলতা আনতে এবং সুনীতি প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করছে। শীঘ্রই ব্যাংকিং সংস্কার আইন পাস করা হবে। শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট কার্যালয়ের মিলনায়তনে তিনদিনের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, দণি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইন কার্যকরে বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর আতিউর রহমান দুই পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য দেন।
এতে বলা হয়, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনৈতিক খাতকে গতিশীল করতে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহায়তায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯-এ অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে ঘুষ ও দুর্নীতিকেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে ৪০টি সুপারিশ এবং আনত্মর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে নয়টি সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আতিউর রহমান বলেন, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম বাধা হিসেবে বিবেচিত। মানিলন্ডারিং পরিপালন ব্যবস্থা সঠিক না হলে তারল্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে, অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, 'করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্ক ছিন্ন হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নে জড়িয়ে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের সুনাম বিনষ্টের পাশাপাশি বিদেশে দেশের সুনাম ুণ্ন হয়। ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা নিরম্নৎসাহিত হন। সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।
No comments