সিদ্ধান্ত দিলেন না আদালতঃ আলাদাই থেকে গেল ম্যাকাও জুটি
মালিকানার দ্বন্দ্বে আইনি লড়াইয়ে ভেঙ্গে
যেতে বসা দু’টি বিরল প্রজাতির ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও পাখির তিন বছরের
ভালোবাসার সংসার ফিরিয়ে দিতে এবার সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি আদালতও।
আদালত তাই এ বিষয়ে দায়ের করা মামলাটি নথিজাত করে উপযুক্ত আদালতের দ্বারস্ত হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন মালিকানার দাবিদার দুই পক্ষকে।
ম্যাকাও
জুটি প্রিন্স(পুরুষ ম্যাকাও) ও প্রিন্সেসের(নারী ম্যাকাও) মালিকানার
দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়ালে গত ৩ জানুয়ারি থেকে আদালতের নির্দেশে আলাদা
থাকতে বাধ্য হচ্ছে পাখি দু’টি। বৃহস্পতিবার একই আদালত পাখি দু’টি কার
হেফাজতে থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন।
ঢাকা সিএমএম আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহে এলিদ মাইনুল আমিন এ কথা জানিয়ে আরও বলেন, ‘‘বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০০২ অনুযায়ী নালিশি পাখিটি কোন পক্ষের হেফাজতে থাকবে, এই এখতিয়ার নির্বাহী হাকিম আদালতের নেই। কাজেই মামলা করার মতো কোনো উপাদান না থাকায় মামলাটি নথিজাত করা হলো। একই সঙ্গে আগ্রহী বা ক্ষুব্ধ ব্যক্তি তার অধিকার আদায়ের জন্য উপযুক্ত আদালতে বিচার চাইতে পারেন।’’
বৃহস্পতিবার মালিকানার দাবিদার দুই পক্ষের প্রিন্স ও প্রিন্সেসকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল।
প্রিন্সের মালিক মামলাটির বাদী মোহাম্মদ ইকরাম সেলিম বিদেশে থাকায় তিনি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ কারণে প্রিন্সও আদালতে হাজির হতে পারেনি। ইকরাম সেলিমের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে প্রিন্সেসকে নিয়ে আদালতে হাজির হন বিবাদী মালিক ওয়াদুদ।
মামলার বিবাদীপক্ষের আইনজীবী বরুণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মামলাটি গ্রহণ করার পর আদালতের আদেশে প্রিন্স ও প্রিন্সেসকে আলাদা করা হয়। প্রিন্সকে তার মালিকের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। একই আদালত বিচার করার এখতিয়ার নেই বলে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং দ্বৈতনীতি।’’
প্রিন্সেসের মালিক ওয়াদুদ বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই প্রিন্স ও প্রিন্সেস আলাদা হয়েছে। তিনি আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, প্রিন্সের মালিকানা দাবি করে গত ১ জানুয়ারি ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক-জি’এর বাসিন্দা পাখিপ্রেমী একরাম সেলিম। মালিকানার সমর্থনে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে পাখিটি কিনে আনার সমর্থনে কাগজপত্র আদালতে দাখিল করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৭ সালের ২৫ মার্চ মাত্র তিন মাস বয়সে তিনি প্রিন্সকে কিনে আনেন। সকল আর্ন্তজাতিক ও দেশীয় আইন-কানুন মেনে তিনি প্রায় ১২ বছর প্রিন্সকে লালন পালন করেন।
রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের প্রায় এক বিঘা জমির ওপর তার বাড়িতে পাখিটি বিচরণ করতো। এক পর্যায়ে ইস্কাটনের বাড়ি বিক্রি করে বারিধারায় চলে যায় তার পরিবার। বিদেশে চাকরি, বাড়ি বিক্রি এবং নতুন বাড়ি তৈরির ঝামেলার মধ্যে পাখিটির যতœ নেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে তার পরিচিত হাতিরপুলের বাসিন্দা আরেক পাখিপ্রেমী ড. আবদুল ওয়াদুদের কাছে ২০১০ সালে পাখিটিকে লালন-পালনের অনুরোধ জানালে তিনি দায়িত্ব নেন। বর্তমানে ইকরাম সেলিম তার নিজের বাড়ির কাজ শেষ হওয়ায় প্রিন্সের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করেন। তিনি ফেরত চান তার প্রিন্সকে।
এ মামলা থেকেই প্রকাশিত হয় পাখি দু’টিকে নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যেকার মালিকানার দ্বন্দ্ব।
বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন, মৌখিকভাবে ড. ওয়াদুদের সঙ্গে চুক্তি হয় যে, প্রিন্সের জন্য একটি স্ত্রী ম্যাকাও সংগ্রহ করবেন ড. ওয়াদুদ। তাদের কোনো বাচ্চা হলে তার এক-তৃতীয়াংশ তাকে প্রদান করবেন।
বর্তমানে প্রিন্স ও প্রিন্সেসের ছয়টি বাচ্চা। চুক্তি মোতাবেক তিনি প্রিন্স ও বাচ্চার এক তৃতীয়াংশ দাবি করলে ড. ওয়াদুদ তা দিতে অস্বীকার করেন।
মামলার শুনানি শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম হোসেন কলাবাগান থানার ওসিকে নির্দেশ দেন প্রিন্সকে উদ্ধার করে তার প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে।
আদালতের নির্দেশে কলাবাগান থানা পুলিশ গত ৩ জানুয়ারি প্রিন্সকে তার মালিক ইকরাম সেলিমের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
ড. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তিনি প্রিন্সকে পাওয়ার পর একাকী প্রিন্সের জন্য দুইবার দু’টি ম্যাকাও পাখি কিনে আনেন। তারা পুরুষ হওয়ায় সারাক্ষণ মারামারি করে। এতে নতুন কেনা দু’টি ম্যাকাও মারা যায়। অবশেষে তৃতীয়বারে একটি স্ত্রী ম্যাকাও পাখি কিনতে সক্ষম হন তিনি। প্রিন্সের নামের সঙ্গে মিলিয়ে এর নাম রাখেন প্রিন্সেস।
ড. ওয়াদুদের আইনজীবী বরুণ বিশ্বাস জানান, ‘‘আমরা চাই মালিকানার দ্বন্দ্বে যেন পাখি দু’টির সংসার ভেঙ্গে না যায়। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, প্রিন্সের জন্য খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে কিভাবে ভেঙ্গে পড়েছে প্রিন্সেস। তাকে বাঁচাতে আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম। আদালত প্রিন্সকে তার আগের জায়গায় রাখার নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির দিন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাদী আসেননি।’’
সূত্রে জানা গেছে, আদালত কি রায় দেন তা জানতে দুই পক্ষই অপেক্ষা করে ছিলেন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। কিন্তু আদালত কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিঃসঙ্গই থাকতে হচ্ছে ম্যাকাও পাখি দু’টিকে। তারা শেষ পর্যন্ত অসুস্থ বা মারা যায় কিনা এ নিয়েও উদ্বিগ্ন দুই মালিক।
তবে আলোড়ন তোলা এ মামলার কারণে সংসার ভাঙ্গা ম্যাকাও জুটির জন্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছে পাখিপ্রেমী ও পাখি বিশেষজ্ঞদের মাঝেও। তারা বলছেন, ‘‘পাখি দু’টিতো আর মালিকানার দ্বন্দ্ব বোঝে না, আইনি লড়াই বোঝে না, বোঝে না মানুষের মনের জটিল বুদ্ধিও। পাখিরা থানা পুলিশ ও কোর্ট কাচারিও বোঝে না।’’
‘‘তবে কেন ভেঙ্গে দেওয়া হলো পাখিদের সংসার? মুক্ত আকাশে ডানা মেলে ওড়ার বদলে ওরা খাঁচায় বন্দী?’’
জানা গেছে, তিন বছরের ভালোবাসার সংসারে প্রিন্স-প্রিন্সের কোল জুড়ে আসে যে ৬টি অতিথি এসেছে, তাদের বড় দু’টির বয়স ৯ মাস, মাঝারি দু’টির বয়স ৬ মাস আর একেবার নতুন দুই অতিথির বয়স ৩ মাস।
একদিকে ভালোবেসে প্রিন্সকে সুদূর সিঙ্গাপুর থেকে নিয়ে এসে নিজ বাড়িতে ১২ বছর লালন-পালন করা পাখিপ্রেমী ইকরাম সেলিম। অপরদিকে নিঃসঙ্গ প্রিন্সকে নতুন জীবন দানকারী আরেক পাখিপ্রেমী ড. ওয়াদুদ।
এখন কোন পক্ষ জয়ী হয়, সেটি পরের বিষয়। কিন্তু পাখিপ্রেমী ও পাখি বিশেষজ্ঞসহ সকলেই চাচ্ছেন, যেন টিকে থাকে প্রিন্স ও প্রিন্সেসের ভালোবাসার সংসার, যেখানে রয়েছে তাদের ছয়টি বাচ্চা।
ঢাকা সিএমএম আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহে এলিদ মাইনুল আমিন এ কথা জানিয়ে আরও বলেন, ‘‘বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০০২ অনুযায়ী নালিশি পাখিটি কোন পক্ষের হেফাজতে থাকবে, এই এখতিয়ার নির্বাহী হাকিম আদালতের নেই। কাজেই মামলা করার মতো কোনো উপাদান না থাকায় মামলাটি নথিজাত করা হলো। একই সঙ্গে আগ্রহী বা ক্ষুব্ধ ব্যক্তি তার অধিকার আদায়ের জন্য উপযুক্ত আদালতে বিচার চাইতে পারেন।’’
বৃহস্পতিবার মালিকানার দাবিদার দুই পক্ষের প্রিন্স ও প্রিন্সেসকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল।
প্রিন্সের মালিক মামলাটির বাদী মোহাম্মদ ইকরাম সেলিম বিদেশে থাকায় তিনি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ কারণে প্রিন্সও আদালতে হাজির হতে পারেনি। ইকরাম সেলিমের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে প্রিন্সেসকে নিয়ে আদালতে হাজির হন বিবাদী মালিক ওয়াদুদ।
মামলার বিবাদীপক্ষের আইনজীবী বরুণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মামলাটি গ্রহণ করার পর আদালতের আদেশে প্রিন্স ও প্রিন্সেসকে আলাদা করা হয়। প্রিন্সকে তার মালিকের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। একই আদালত বিচার করার এখতিয়ার নেই বলে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং দ্বৈতনীতি।’’
প্রিন্সেসের মালিক ওয়াদুদ বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই প্রিন্স ও প্রিন্সেস আলাদা হয়েছে। তিনি আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, প্রিন্সের মালিকানা দাবি করে গত ১ জানুয়ারি ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক-জি’এর বাসিন্দা পাখিপ্রেমী একরাম সেলিম। মালিকানার সমর্থনে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে পাখিটি কিনে আনার সমর্থনে কাগজপত্র আদালতে দাখিল করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৭ সালের ২৫ মার্চ মাত্র তিন মাস বয়সে তিনি প্রিন্সকে কিনে আনেন। সকল আর্ন্তজাতিক ও দেশীয় আইন-কানুন মেনে তিনি প্রায় ১২ বছর প্রিন্সকে লালন পালন করেন।
রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের প্রায় এক বিঘা জমির ওপর তার বাড়িতে পাখিটি বিচরণ করতো। এক পর্যায়ে ইস্কাটনের বাড়ি বিক্রি করে বারিধারায় চলে যায় তার পরিবার। বিদেশে চাকরি, বাড়ি বিক্রি এবং নতুন বাড়ি তৈরির ঝামেলার মধ্যে পাখিটির যতœ নেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে তার পরিচিত হাতিরপুলের বাসিন্দা আরেক পাখিপ্রেমী ড. আবদুল ওয়াদুদের কাছে ২০১০ সালে পাখিটিকে লালন-পালনের অনুরোধ জানালে তিনি দায়িত্ব নেন। বর্তমানে ইকরাম সেলিম তার নিজের বাড়ির কাজ শেষ হওয়ায় প্রিন্সের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করেন। তিনি ফেরত চান তার প্রিন্সকে।
এ মামলা থেকেই প্রকাশিত হয় পাখি দু’টিকে নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যেকার মালিকানার দ্বন্দ্ব।
বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন, মৌখিকভাবে ড. ওয়াদুদের সঙ্গে চুক্তি হয় যে, প্রিন্সের জন্য একটি স্ত্রী ম্যাকাও সংগ্রহ করবেন ড. ওয়াদুদ। তাদের কোনো বাচ্চা হলে তার এক-তৃতীয়াংশ তাকে প্রদান করবেন।
বর্তমানে প্রিন্স ও প্রিন্সেসের ছয়টি বাচ্চা। চুক্তি মোতাবেক তিনি প্রিন্স ও বাচ্চার এক তৃতীয়াংশ দাবি করলে ড. ওয়াদুদ তা দিতে অস্বীকার করেন।
মামলার শুনানি শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম হোসেন কলাবাগান থানার ওসিকে নির্দেশ দেন প্রিন্সকে উদ্ধার করে তার প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে।
আদালতের নির্দেশে কলাবাগান থানা পুলিশ গত ৩ জানুয়ারি প্রিন্সকে তার মালিক ইকরাম সেলিমের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
ড. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তিনি প্রিন্সকে পাওয়ার পর একাকী প্রিন্সের জন্য দুইবার দু’টি ম্যাকাও পাখি কিনে আনেন। তারা পুরুষ হওয়ায় সারাক্ষণ মারামারি করে। এতে নতুন কেনা দু’টি ম্যাকাও মারা যায়। অবশেষে তৃতীয়বারে একটি স্ত্রী ম্যাকাও পাখি কিনতে সক্ষম হন তিনি। প্রিন্সের নামের সঙ্গে মিলিয়ে এর নাম রাখেন প্রিন্সেস।
ড. ওয়াদুদের আইনজীবী বরুণ বিশ্বাস জানান, ‘‘আমরা চাই মালিকানার দ্বন্দ্বে যেন পাখি দু’টির সংসার ভেঙ্গে না যায়। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, প্রিন্সের জন্য খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে কিভাবে ভেঙ্গে পড়েছে প্রিন্সেস। তাকে বাঁচাতে আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম। আদালত প্রিন্সকে তার আগের জায়গায় রাখার নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির দিন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাদী আসেননি।’’
সূত্রে জানা গেছে, আদালত কি রায় দেন তা জানতে দুই পক্ষই অপেক্ষা করে ছিলেন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। কিন্তু আদালত কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিঃসঙ্গই থাকতে হচ্ছে ম্যাকাও পাখি দু’টিকে। তারা শেষ পর্যন্ত অসুস্থ বা মারা যায় কিনা এ নিয়েও উদ্বিগ্ন দুই মালিক।
তবে আলোড়ন তোলা এ মামলার কারণে সংসার ভাঙ্গা ম্যাকাও জুটির জন্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছে পাখিপ্রেমী ও পাখি বিশেষজ্ঞদের মাঝেও। তারা বলছেন, ‘‘পাখি দু’টিতো আর মালিকানার দ্বন্দ্ব বোঝে না, আইনি লড়াই বোঝে না, বোঝে না মানুষের মনের জটিল বুদ্ধিও। পাখিরা থানা পুলিশ ও কোর্ট কাচারিও বোঝে না।’’
‘‘তবে কেন ভেঙ্গে দেওয়া হলো পাখিদের সংসার? মুক্ত আকাশে ডানা মেলে ওড়ার বদলে ওরা খাঁচায় বন্দী?’’
জানা গেছে, তিন বছরের ভালোবাসার সংসারে প্রিন্স-প্রিন্সের কোল জুড়ে আসে যে ৬টি অতিথি এসেছে, তাদের বড় দু’টির বয়স ৯ মাস, মাঝারি দু’টির বয়স ৬ মাস আর একেবার নতুন দুই অতিথির বয়স ৩ মাস।
একদিকে ভালোবেসে প্রিন্সকে সুদূর সিঙ্গাপুর থেকে নিয়ে এসে নিজ বাড়িতে ১২ বছর লালন-পালন করা পাখিপ্রেমী ইকরাম সেলিম। অপরদিকে নিঃসঙ্গ প্রিন্সকে নতুন জীবন দানকারী আরেক পাখিপ্রেমী ড. ওয়াদুদ।
এখন কোন পক্ষ জয়ী হয়, সেটি পরের বিষয়। কিন্তু পাখিপ্রেমী ও পাখি বিশেষজ্ঞসহ সকলেই চাচ্ছেন, যেন টিকে থাকে প্রিন্স ও প্রিন্সেসের ভালোবাসার সংসার, যেখানে রয়েছে তাদের ছয়টি বাচ্চা।
No comments