জরম্নরী অবস্থার নামে ফের ৰমতা নেয়া হলে গৃহযুদ্ধ জাতীয় পার্টির সম্মেলনে by আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, আবারও জরম্নরী অবস্থার নামে ৰমতা নেয়ার চেষ্টা করা হলে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে দেশকে রৰা করা যাবে না। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সংগ্রামী মানুষ।
আবারও ১/১১-এর মতো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় এজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের মতো দেশে গণতন্ত্রের পথ সুগম নয়। আমাদের গণতন্ত্রের পথ বিপস্নবের পৰে। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আওয়ামী লীগের ১০০ ভাগ সফলতার দাবির বিরোধিতা করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।'গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, দ্রারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, সুশাসন ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন কায়েমের আঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শুরম্ন হয় এবারের সম্মেলন। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ছিল আলোচনাপর্ব।
সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ১/১১-এর হোতারা আজও হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আবারও নৈরাজ্য ও গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করতে চায়। ৰমতায় যেতে চায় আবারও। রাষ্ট্রীয় সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী উপকৃত হচ্ছে না। তিনি বলেন, স্বৈরশাসন রাষ্ট্রের ৰতি করে। জরম্নরী অবস্থার আদলে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করা হয়েছিল। একবারের স্বৈরশাসন দেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে নিয়ে যায়। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পরবর্তী সরকারকে আবারও নতুন করে সবকিছু শুরম্ন করতে হয়। তিনি বলেন, জরম্নরী অবস্থার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কারা অনত্মরীণ করেছিল সেই নেতারা। তার মনে ৰোভ ও যন্ত্রণা রয়েছে। এর পরেও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হয়ত তাদের ৰমা করে দেবেন। মনে রাখা উচিত ৰমা করার কারণে বঙ্গবন্ধুকে ভুলের মাসুল গুনতে হয়েছিল। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন জরম্নরী। আমাদের মনে রাখতে হবে বিচ্ছিন্ন থেকে কোন দেশের উন্নতি হয় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দেশের স্বার্থরৰা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতের সঙ্গে তিনটি চুক্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশের স্বার্থবিরোধী কোন চুক্তি হয়নি। কিন্তু সরকারের বিরম্নদ্ধে বিএনপি-জামায়াত অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি ৰমতায় থাকার সময় মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দুবাইতে তারেক রহমানের একাধিকবার বৈঠক হয়। বৈঠকে তারেক জিয়া অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের চুক্তি করে। ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের চুক্তির ফলে এসব অবৈধ জিনিসপত্র দেশে আর প্রবেশ করতে পারবে না। কমবে সন্ত্রাস। যে কারণে যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তারা চুক্তির বিরোধিতা করছে। তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেয়া হলে প্রতিবছর আমাদের আয় বাড়বে সাত থেকে ১০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ১৯৮০, ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালে বিএনপি ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল। যৌথভাবে রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মজয়নত্মী পালন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত বিভ্রানত্মি ছড়াচ্ছে। সময় এলে ঘটা করে নজরম্নল জয়নত্মী পালন করা হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে যারা ১০০ ভাগ সফল বলছে তারা কোন পরীৰায় ৪০ ভাগ নম্বর পায়নি। যারা ১০০ ভাগ ব্যর্থ বলছে তাও হতে পারে না। দেশের দুই নেত্রীর বাসস্থানের সুব্যবস্থা থাকলেও মাওলানা ভাসানীর পরিবারের খোঁজ কেউ নেয় না। ভাসানী পরিবারের থাকার জায়গা নেই। পরনের কাপড় নেই তার মেয়েদের। মুক্তিযুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের কোন লাভ হয়নি। বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরম্নল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সী আবদুল লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা আহাদ চৌধুরী, জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, ঢাকায় ফিলিসত্মিনী রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ, পাকিসত্মান দূতাবাসের কাউন্সিলর ওবায়েদুর রহমান। সম্মেলনে ৭২টি জেলা কমিটি অংশ নেয়।
No comments