সাত লোককবির ওপর আলোচনা গান আজ শুরম্ন শিল্পকলায়- সংস্কৃতি সংবাদ
বাঙালীর প্রাণের গান লোকসঙ্গীত। ঐতিহ্যবাহী এ ধারাটি সমৃদ্ধ করতে অসংখ্য বাউল সাধক ঘর ছেড়েছেন। অকৃত্রিম ভালবাসায় তাঁরা সৃষ্টি করে গেছেন একের পর এক গান।
লালন শাহ, হাছন রাজা, রাধারমন দত্ত, জালাল খাঁ, রমেশ শীল, বিজয় সরকার, শাহ আবদুল করিম তাঁদের অন্যতম। গ্রামে তো বটেই, তাঁদের সৃষ্টি এখন শহরকেও যেন নিত্য আভিজাত্য দেয়। তবে অনেকে বিকৃত সুরেও পরিবেশন করছেন এসব গান। আর এ প্রবণতাকে অনুৎসাহিত করতে আজ সোমবার থেকে শুরম্ন হচ্ছে লোকসঙ্গীত উৎসব। শিল্পকলা একাডেমীর এ আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন প্রত্যনত্ম অঞ্চলের সাধারণ শিল্পীরা। থাকবে সাত সাধকের জীবনের ওপর বিশেষ আলোচনাসহ নানা আয়োজন। বিকেলে উৎসব উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন।রবিবার শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী, পরিচালক মাহমুদ সেলিম, নজরম্নল হক, গোলাম সারোয়ার, সারাহ আরা মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, লোকসঙ্গীত আমাদের ঐতিহ্য। গর্বের ধন। জীবনাচার, সংগ্রামের ইতিহাস, উৎপাদনের ময়দানে শ্রমিকের ঘাম, কিংবা চোখের জলে সেচ দিয়ে ফসলের কাল গোনা_ এ সবই লোকসঙ্গীতের উপাদান। এই গানই শ্রেণী শোষণের বিরম্নদ্ধে আমাদের সচেতন করেছে। সাহস দিয়ে বলেছে, কাসত্মে ধরা কড়া হাতে রম্নখব সব অত্যাচার। তাঁরা বলেন, প্রমত্তা নদীব েশক্ত হাতে হাল ধরে মাঝি এসব গান গেয়ে যায়। কিন্তু আজ নদীর বুকের জল শুকিয়ে গেছে, মাঝি আর নৌকা বায় না, তার গলায় ওঠে না গান। আধুনিক যান্ত্রিকতার প্রবল তোড়ে বাংলার নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র এবং সঙ্গীত সম্ভারও যেন বিলীয়মান। এই পশ্চাদগামী প্রবণতাকে রম্নখতে হবে, না হলে আমাদের আপন পরিচয় হারিয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসবের সাত দিনে সাত লোক কবির গান পরিবেশন করা হবে। অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাও। বরেণ্য এ সাত লোককবি ও গায়কদের নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করবেন সুমন দাস, অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা, সাইমন জাকারিয়া, শামসুজ্জামান খান, গোলাম ফারম্নক খান, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ ও ড. আবুল আহসান চৌধুরী। এক প্রশ্নের জবাবে আয়োজকরা জানান, এ উৎসব ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে। আরও অনেক লোককবির সন্ধান করে তাঁদের নগরের শ্রোতাদের সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর চেষ্টা করা হবে।
No comments