ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকমর্ীর বিরম্নদ্ধে মামলা- ছাত্রদলের সংঘর্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের অভ্যনত্মরীণ কোন্দলের জের ধরে দু'পরে মধ্যে গত সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মীর নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাতসংখ্যক ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে ।
ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মীর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন সাতজন। তবে মামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক পরিচয় উলেস্নখ করা হয়নি। গত শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের অভিযোগটি শাহবাগ থানা পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহণ করলেও এখন পর্যনত্ম ওই অভিযোগে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। ঘটনার দিনই ছাত্রদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক এম কামরম্নজ্জামান বুধবার মামলা করতে গেলে শাহবাগ থানা পুলিশ তা অভিযোগ আকারে গ্রহণ করে। তদনত্মের পর শুক্রবার রাতে মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলার আসামিরা হচ্ছে, বাপ্পী, মহসিন হল ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলী, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, শাকের, রাহাত (মহসিন হল), কামরম্নল, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সাঈদ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক তুহিন , বরকত, মেহেদী, বাশার, জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত ও সভাপতি আব্দুর রহমান জীবন, জহুরম্নল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত । অভিযুক্ত বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের ৭ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বাকি ৭ জনও বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। তবে তাদের কারোরই সাংগঠনিক পরিচয় উলেস্নখ করা হয়নি। এজাহারে উলেস্নখ করা হয়েছে, ছাত্রদলের অভিযোগ, ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের মিছিলে সেদিন হামলা হয়। ছাত্রলীগের মদদেই টুকুর ওপর হামলা হয়।শাহবাগ থানা পুলিশ জানায়, গত বুধবার শাহবাগ থানায় দায়ের করা অভিযোগটি প্রাথমিক তদনত্ম শেষে শুক্রবার রাতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই না পেয়ে গত সোমবার ঢাবিতে সংগঠনের পদপ্রাপ্ত ও বঞ্চিত পরে মধ্যে বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষের সময় ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এর আগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। তাতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিরম্নল ইসলাম আলিমসহ কমিটির আটজনকে আসামি করা হয়।
এদিকে সোমবার রাতে ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রম্নপের নেতা হিসেবে পরিচিত শেখ আব্দুল হালিম খোকনের স্ত্রী শামীমা লাইজু ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনকে আসামি করে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
No comments