সার বিপণন ব্যবস্থার চালচিত্র by এ এম এম শওকত আলী
প্রচলিত আইনে সার একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার মতাবান। তবে সংশ্লিষ্ট আইনটি ১৯৫৬ সালের। ঐ সময় থেকে নব্বই দশকের প্রায় শেষ পর্যন্ত উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থাপনার ধারণার প্রয়োগের কোন প্রয়োজন হয়নি।
কারণ চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে তেমন কোন বিরাট পার্থক্য ছিল না। সারের েেত্র বলা যায়, রাসায়নিক সারের ব্যবহার এ দেশে শুরু হয় পঞ্চাশ দশকের দ্বিতীয়ার্ধে। ঐ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ কাজটি করত। ষাটের দশকের প্রথম ভাগে অধিক খাদ্যশস্য ফলাও কর্মসূচীর প্রয়োজন অনুভূত হয়। এ ল্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন ছিল রাসায়নিক সার, উচ্চ ফলনশীল বীজ ও সেচের অধিকতর প্রচলন যার ধারণা বিশ্বব্যাপী সবুজ বিপ্লব সংক্রান্ত স্লোগান ও কর্মসূচীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়।সনাতনী পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারী দফতরের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে সারসহ অন্য দু'টি আবশ্যকীয় কৃষি উপকরণ কৃষকের দোরগড়ায় পেঁৗছানো সম্ভব ছিল না। এজন্য তদানীন্তন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্য ও কৃষি সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠন করে। এ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঐ সময়ে অর্থাৎ ১৯৬১ সালে পাকিস্তানের দু'টি অংশে দু'টি আধা সরকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলশ্রুতিতে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান কৃষি উন্নয়ন সংস্থা (ইপিএডিসি বর্তমানে বিএডিসি) একটি আইনের মাধ্যমে জন্মলাভ করে। এ সংস্থার আইনী দায়িত্ব ছিল সার, উচ্চ ফলনশীল বীজসহ সেচ সুবিধার সম্প্রসারণ করা। আইনে বলা ছিল, যতদূর সম্ভব বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ সংস্থাটি উলি্লখিত উপকরণসমূহ বিপণন করবে। আইনের এ ধারাটি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকেই সার বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বিদেশী অর্থায়নে শুরু হয়। এ প্রকল্পের সমাপ্তি ঘটে দ্বিতীয় পর্যায়সহ ১৯৯০ সালে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার অর্জন করা হয়। এর মূল ল্য ছিল যতটা সম্ভব ও প্রয়োজনীয় বিপণন ব্যবস্থায় বেসরকারী খাতকে সম্পৃক্ত করা। এ ধরনের কাঠামোগত চরমরূপ লাভ করে নব্বই দশকে। মূল দর্শন ছিল বিএডিসির প্রয়োজন নেই সারসহ অন্য দু'টি উপকরণের বিপণন ব্যবস্থায় জড়িত থাকা। নব্বই দশকের ক্রমবর্ধমান সার বিপণন ও ব্যবহারের উর্ধগতির পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে উপযুক্ত দর্শনের সার্থকতা প্রমাণ করার বাণী সংশ্লিষ্ট মহল প্রায়ই উচ্চারণ করে। তবে যে কথাটি ভুলে যায়, অনুসৃত দর্শনই এর একমাত্র কারণ ছিল না বা হতেও পারে না। এর পেছনে মূল কারণ ছিল অধিক শস্য ফলনের ল্যে কৃষকদের অবদান। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পশ্চিম বঙ্গ উন্মুক্ত বিপণন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেও একই ধারা অর্জনে সম হয়েছে।
নব্বই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বর্তমান সরকার যখন মতা গ্রহণ করে তখন সার বিপণন ব্যবস্থায় ভতর্ুকিসহ বিএডিসির সীমিত ভূমিকা অব্যাহত রাখার নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। তবে সার বিপণনে ঝুঁকিভিত্তিক মজুদ (ঈলততণর র্ওমডপ) বিষয়টি এর পূর্ববর্তী সরকার কতর্ৃক গৃহীত হয়। অর্থাৎ ১৯৯৫ সালের ভয়ঙ্কর ইউরিয়া সারের সংকটের কারণেই এ ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছিল। ঐ সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, এ ধরনের মজুদ সরকারী ব্যবস্থাপনায়ই পরিচালিত হবে। বিদেশী সাহায্যদাত গোষ্ঠী এ নীতি পরিহার করার জন্য একযোগে একটি লিখিত চিঠির মাধ্যমে প্রত্যভাবে দাবি জানায়। তাঁদের মতে, এ ধরনের ব্যবস্থার কোন প্রয়োজনই নেই এবং এ ব্যবস্থা তাঁদের সাথে ইতোপূর্বে সরকার যে অঙ্গীকার করেছে তারই লঙ্ঘন। ১৯৯৫ সালের তদানীন্তন কৃষিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রবর্তিত প্রথাকে বিলুপ্ত করার প্রস্তাব কঠোরভাবে অস্বীকৃতি জানিয়ে পাল্টা চিঠি প্রেরণ করে। এ জন্য তিনি তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভার কোন পরামর্শই গ্রহণ করেননি।
১৯৯৬-২০০১ সময়কালে ইতোপূর্বে জেলাভিত্তিক বেসকারী ডিলার নিয়োগের প্রথাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর চিন্তাও একজন মন্ত্রীসহ দলীয় চাপ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি। কারণ তখনকার কৃষিমন্ত্রী এ বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন যে, ব্যবসায়িক েেত্র রাজনীতি অনুপ্রবেশ করলে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, কারণ ব্যবসারত ডিলাররা বহু বছর থেকেই সার বিপণনে নিযুক্তির ফলে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা নতুনভাবে নিযুক্ত ডিলাররা অনভিজ্ঞতার ফলে অনেক ভুল করতে পারে যা কৃষকদের জন্য মঙ্গলদায়ক হবে না।
সার বিপণন ব্যবস্থার অভিজ্ঞ বিশ্লেষকদের মতে, ২০০৯ সালে এ ব্যবস্থায় কিছু ব্যতিক্রমধর্মী পদপে গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি তিকারক এবং অন্যটি সুফলদায়ক হতে পারে। প্রথমোক্তটি হলো ওয়ার্ডভিত্তিক খুচরা বিক্রেতার নিয়োগ এবং একইসঙ্গে ইউনিয়নভিত্তিক একজন অতিরিক্ত ডিলার নিয়োগ। বলা বাহুল্য যে, সার বিপণন ব্যবস্থার প্রথম লগ্ন থেকেই খুচরা বিক্রেতার পদ্ধতি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ছিল। বাজার ব্যবস্থার চাহিদা অনুযায়ীই এ উন্মুক্ত ব্যবস্থার উন্মেষ ঘটে। সরকার কখনও এর মধ্যে হস্তপে করেনি। গ্রামেগঞ্জের ছোট, মাঝারি ও বড় বাজারে গেলেই এ বিষয়টি দৃশ্যমান হতো। বর্তমানে এটা হয়ে গেছে সরকার নিয়ন্ত্রিত বিপণন কাঠামো যা অন্য কোন অত্যাবশ্যকীয় বিপণন কাঠামোতে নেই। এমনকি খাদ্যশস্য অর্থাৎ ধান চালের েেত্রও নেই। ুদ্র পরিসরের বাজার কাঠামো নিয়ন্ত্রণ একটি দুরূহ বিষয়। এর ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি অযথা প্রসারিত হয়। ফলে সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় পায় না।
তবে এ ব্যবস্থার জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ঐ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ব্লক সুপারভাইজারদের একটি প্রত্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। এ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্লিপ প্রদান করতেন কৃষকদের। এ স্লিপের অধিকারী যারা হতো তারাই শুধু সার ক্রয়ের যোগ্য বলে বিবেচিত হতো। এর ফলে দুনর্ীতি কি পরিমাণ হয়েছিল তার কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। বর্তমানে উপজেলা/ ইউনিয়নভিত্তিক ডিলার এবং বিক্রয় প্রতিনিধি (ওটফণ্র ইথণর্ভ) নিয়োগে কি হয়েছে তারও কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। একটি নির্দিষ্টসংখ্যক বিক্রয় প্রতিনিধি (ওণফণ্র ইথণর্ভ) নিয়োগের অর্থই হলো কৃষকদের সার ক্রয় করার অধিকারকে ুদ্র পরিসরে আবদ্ধ রাখা, যার নাম সরকারী নিয়ন্ত্রণ। এ ধরনের নিয়োগ কতটুকু কৃষক বান্ধব হবে তার মূল্যায়ন প্রয়োজন। তবে একইসঙ্গে কৃষি উপকরণ কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা প্রবর্তন করে কৃষিমন্ত্রী যতদূর সম্ভব বিপণন ব্যবস্থাকে বিপন্মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছেন। অভিজ্ঞতার আলোকে এ ব্যবস্থাপনাকে অধিকতর ত্রুটিমুক্ত করা সম্ভব হবে মর্মে অনেকেই আশাবাদী।
সরকার নিয়ন্ত্রিত এ ধরনের ব্যবস্থার প্রয়োজন কেন, বিশেষ করে খুচরা বাজার ব্যবস্থার উন্মুক্ত ত্রেকে কেনই বা সঙ্কচিত করার প্রয়োজন। এ প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তি হলো চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতি। এ ঘাটতির ব্যাখ্যা প্রধানত দু'টি তথ্যের মধ্যে পাওয়া যায়। এক, সারের চাহিদা, বিশেষ করে ইউরিয়া সারের চাহিদার ক্রমবর্ধমান উর্ধগতি। দুই, বিসিআইসিসহ এর অধীনস্থ সকল সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে কঠোর সরকারী নিয়ন্ত্রণে রাখার অব্যাহত সরকারী দৃষ্টিভঙ্গি। এ দৃষ্টিভঙ্গির আওতায় সরকারী সব ধরনের নিয়মনীতি এ প্রতিষ্ঠানগুলো অনুসরণ করতে বাধ্য। এ ধরনের ব্যবস্থপনায় সরকারী অধিদফতর এবং আধ সরকারী বিধিবদ্ধ সংস্থার মধ্যে যে পার্থক্য থাকার কথা তা আর নেই। এর ফলে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। অনেক েেত্র অর্থের অপচয়ও হয় যার জবাবদিহি সরকার করে না। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, বিসিআইসি যথাযথ সরকারী নিয়ম অনুসরণ করে যে ক্রয় প্রস্তাব সুপারিশ করেছে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সরকারী মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে পুনর্দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। পুনর্দরপত্রে যে সর্বনিম্ন দরদাতা দর উল্লেখ করেছে তা পূর্ববর্তী সুপারিশকৃত দরের চেয়ে অনেক অধিক।
একই যুক্তি খাদ্য অধিদফতরের জন্যও প্রযোজ্য। এ েেত্রও দেখা গেছে কোন এক সুপারিশকৃত দরপত্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে প্রত্যাখ্যান করার ফলে পরবর্তী দরপত্রের সর্বনিম্ন দর অধিকতর সত্ত্বেও পণ্য ক্রয় করতে হয়েছে। এ থেকে সহজেই যে শিাটি গ্রহণ করা যায় তা হলো সরকারের নিয়ম ত্রে বিশেষে বিশেষ করে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংগ্রহকারী সরকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য যুক্তিসঙ্গতভাবে শিথিল করা প্রয়োজন। একই নিয়ম সকল েেত্র প্রয়োগ করা অর্থহীন। নিয়মের মাত্রা প্রয়োজন ও গুরুত্ব অনুযায়ী অবশ্যই করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন বিকেন্দ্রীভূত সংগ্রহ ব্যবস্থার প্রবর্তন যার জন্য প্রয়োজন হবে আর্থিক ও প্রশাসনিক সমতার বিকেন্দ্রীকরণ।
বিদেশ থেকে সার সংগ্রহ ও বিপণন ব্যবস্থায় বর্তমানে দ্বৈত প্রথা অনুসৃত হচ্ছে। বিসিআইসিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শুধু ইউরিয়া সার আমদানির জন্য। অবশ্য অনুমিত ঘাটতি অনুযায়ী। বিএডিসির দায়িত্ব অন্যান্য সার যথা টিএসপি ও এমওপির মধ্যে সীমাবদ্ধ। এরই ভিত্তিতে ঝুঁকি মজুদ ও বিপণনের দায়িত্ব দ্বিমুখী। এ দ্বৈত প্রথারও মূল্যায়নের সময় এসেছে। বিএডিসির প্রাসঙ্গিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে বর্তমানে সুদের পরিমাণ ১৮০ কোটি টাকায় নির্ধারিত হয়েছে। এ দায় শেষ পর্যন্ত সরকারকেই বহন করতে হবে। টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি জাতীয় সার বিএডিসি কেন আমদানি করবে। এ জাতীয় সারের চরম সঙ্কটের কোন তথ্যই পাওয়া যায় না। বেসরকারী খাতের আমদানি ও বিপণনে নিয়োজিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মতে, এর ফলে বিপণন ব্যবস্থায় যোগ হয়েছে একটি তিকারক মাত্রা। অনেক সময় জেলা/উপজেলা পর্যায়ে ইউরিয়া সার বিপণনের জন্য অনেকটা জোর করে যুক্ত করা হয় বিএডিসির অ-ইউরিয়া সার উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা। এর ফলে বেসরকারী খাত তিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি মূল্যায়নের দাবি রাখে।
সার বিপণন ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রকারের সারের মূল্য নির্ধারিত হয় সরকারী পর্যায়ে। সরকারী উৎপাদক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী আমদানি কারকরা নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করতে বাধ্য হয়। প্রয়োজন হয় ভতর্ুকি যার অন্য নাম বাণিজ্যিক মূল্য ঘাটতি যা, সময় এবং পরিমাণমতো সরকার পরিশোধ করে কিনা সে বিষয়টিরও সঠিক মূল্যায়ন প্রয়োজন। প্রচলিত আইন অনুযায়ী এ মূল্য ঘাটতি সরকার পরিশোধ করতে বাধ্য। সরকার কি আইন অনুযায়ী এ দায়িত্ব পালন করছেন? মূল্য নির্ধারণ অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে সুষম সার ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদানের সহায়ক শক্তি। অর্থাৎ ইউরিয়া ও অ-ইউরিয়া সারের মূল্যে বিরাট বৈষম্য কাম্য নয়। অর্থাৎ, ইউরিয়া সারের মূল্য যদি কেজিপ্রতি দশ টাকা হয় আর অ-ইউরিয়া সার যথা টিএসপির মূল্য যদি কেজিপ্রতি ৬০-৬৫ টাকা হয় কৃষকরা এ েেত্র কমমূল্যের সারেই অধিকতর আগ্রহী হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ইউরিয়ার মূল্য বৃদ্ধি করে অ-ইউরিয়ার মূল্য হ্রাস করা হয়েছিল। বর্তমান সরকার অ-ইউরিয়ার মূল্য দু'দফায় অধিকতর হ্রাস করেছে যা সুষম সার ব্যবহারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। তবে বিষয়টি নিবিড়ভাবে মাঠ পর্যায়ে পরিবীণযোগ্য। পরিবীণের ফলাফল যাচাই করে মূল্য নির্ধারণ করা যুক্তিযুক্ত হবে।
সব শেষে ভেজাল বা নিম্নমানের সার বিপণনের সমস্যা রয়েই গেছে মর্মে অনেকেই বিলাপ করেন। এর তথ্যভিত্তিক প্রমাণ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট বার্ষিক প্রতিবেদনে দৃশ্যমান। এতে দেখা যায় যে শতকরা ৪৯ থেকে ৫২ ভাগ এ জাতীয় সারের পরীতি নমুনার বিশ্লেষণে বলা আছে। এ সংস্থাটি প্রতিবছর কিছু সুপারিশও এ বিষয়ে করে থাকে যার ভিত্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক পদপে গ্রহণ করতে পারে। মন্ত্রণালয় যে এ কাজটি করছে তার কোন তথ্য এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় অধিকতর মনোযোগী হলে তা কৃষকদের জন্য মঙ্গলদায়ক হবে। এর ফলে জমির উর্বরতা সুরাও সম্ভব হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০১০
লেখক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
No comments